Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

আইনমন্ত্রী

পেস-মেকার বসানোর পর খালেদা জিয়া সুস্থ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ২৪, ২০২৪, ০২:৪৪ পিএম


পেস-মেকার বসানোর পর খালেদা জিয়া সুস্থ
ছবি: সংগৃহীত

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, পেসমেকার বসানোর পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখন সুস্থ আছেন। আজ সোমবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার যে চিকিৎসা প্রয়োজন তা দেশে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাচ্ছেন। এ জন্য এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন তিনি। যে অসুখগুলো আছে এর অনেকটা নিরাময়যোগ্য না। ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। এর আগে বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার অনুমতি দিতেও সরকার কার্পণ্য করেনি। সরকারের আন্তরিকতার অভাব থাকলে সেটা সম্ভব ছিল না।

এ সময় আইনমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি নেতারা চিকিৎসা নিয়ে যে অভিযোগ করছেন তাতে তাদের মানসিক ভারসাম্য ঠিক আছে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। তিনি বলেন, ‘আশা করি চিকিৎসা নিয়ে তারা ব্যক্তিগত আক্রমণ করবে না।’

এর আগে, গতকাল (২৩ জুন) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেস-মেকার বসানোর কাজ শুরু করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) হৃদরোগের সমস্যা পূর্ব থেকেই ছিল। সেজন্য হার্টে ব্লক ছিল, একটা স্টেনটিংও করা ছিল। সব কিছু পর্যালোচনা করে এখন মেডিকেলে বোর্ড ম্যাডামের হার্টে পেস-মেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকেরা পেস-মেকার বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তাঁকে বিশেষায়িত কক্ষে নেওয়া হয়েছে।’

গতকাল সকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেস-মেকার বসানোর কাজ চলছে। তিনি জানান, আইন অনুযায়ী দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই খালেদা জিয়ার।

পেস–মেকার হৃদযন্ত্রকে নিয়মিত ছন্দে চলতে সাহায্য করে। হৃদযন্ত্রের স্পন্দন ঠিকমতো চলছে কিনা সেটাও এই যন্ত্র তদারকি করে।

চিকিৎসকেরা জানান, হৃৎপিণ্ডের ডান অ্যাট্রিয়াম প্রাচীরের ওপর দিকে অবস্থিত বিশেষায়িত কার্ডিয়াক পেশিগুচ্ছে গঠিত ও স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্রে নিয়ন্ত্রিত একটি ছোট অংশ যা বৈদ্যুতিক তরঙ্গ প্রবাহ ছড়িয়ে দিয়ে হৃৎস্পন্দন সৃষ্টি করে এবং স্পন্দনের ছন্দময়তা বজায় রাখে এই পেসমেকার।

গত শুক্রবার (২১ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। সেখানে তাঁকে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার জানান, রাত দেড়টার দিকে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন বেগম খালেদা জিয়া। শরীরে ইলেক্ট্রলাইটের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়।

এরপর থেকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় বেশ কয়েক দফা মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হৃৎপিণ্ডে পেসমেকার বসানোর সিদ্ধান্ত দেন চিকিৎসকেরা।

গত ২ মে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় বেগম জিয়াকে। ওই সময় চিকিৎসকেরা তাঁকে সিসিইউতে রেখে দুদিন চিকিৎসা দেন। এর আগের মাসেও ২ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে এ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

৭৯ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিজটিলতাসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন।

আরএস

Link copied!