Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

‘দুর্নীতি করে সরকারি কর্মকর্তারা, দোষ হয় রাজনীতিবীদদের’

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ২৬, ২০২৪, ১২:২৯ এএম


‘দুর্নীতি করে সরকারি কর্মকর্তারা, দোষ হয় রাজনীতিবীদদের’

সরকারি কর্মকর্তারা বাড়িগাড়ি করে দেশে-বিদেশে, বেগম পাড়ায়। সুইস ব্যাংকে টাকা রাখে। দোষ হয় রাজনীতিবীদদের। জিরো টলারেন্স নীতির পরেও দুর্নীতি দমন করা যায়নি। সরকারি কর্মচারীদের দফায় দফায় বেতন বাড়ানো হয়েছে। তারপরও কেন দুর্নীতি হবে? দুর্নীতি সরকারের সমস্ত অর্জন ম্লান করে দিচ্ছে।

জাতীয় সংসদে আলোচনায় অংশ নিয়ে মঙ্গলবার এসব বলেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই সংসদ সদস্য। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার

হোসেন ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব মন্তব্য করেন। সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

কুষ্টিয়া-২ আসনের এমপি মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, দুর্নীতি সরকারের সমস্ত অর্জন ম্লান করে দিচ্ছে। জিরো টলারেন্স নীতির পরেও দুর্নীতি দমন করতে পারেনি বা দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। আজকে বাজারে অস্থিতিশীল দেখা যায়, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়। বাজার কখনো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না, যদি বাজারে দুর্নীতির অবাধ প্রবাহ থাকে।

হানিফ বলেন, এবার দুটি ঘটনা সারা দেশে আলোচিত হয়েছে। একটা গরু এক কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে। এটা কারা কিনল? কেন কিনল? বৈধ উপায়ের আয়ে এটা কিনতে পারে না। যাদের অবৈধ উপায়ে আয় তারা খামখেয়ালিভাবে এভাবে কিনতে পারে। একটা ছাগল কিনল ১৫ লাখ টাকা দিয়ে। এটা কারা করতে পারে? যাদের অবৈধ আয় আছে তারা। বৈধ আয়ের টাকা কখনো পানিতে ফেলতে পারে না। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে দুর্নীতিটাকে আগে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

আলোচনায় অংশ নিয়ে লালমনিরহাট-১ আসন থেকে নির্বাচিত সদস্য এবং সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন বলেন, ১৯৮৫ সালে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার সময় হাতিবান্ধায় ১০টি ইউনিয়ন ছিল। ১৯৮৭ সালে জরিপ করে দেখেছি ওই সব ইউনিয়নের পাকাবাড়িগুলোর মধ্যে ৯২ শতাংশ বাড়ি সরকারি কর্মকর্তাদের। এখন তো আর বলার অপেক্ষাই রাখে না। এত বাড়ি, এত জমি, এত ঘরবাড়ি হলো- দেশে এত ইন্টেলিজেন্স, কেউই টের পেল না। রক্ষক ভক্ষক হলে যা হয়।

তিনি বলেন, প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থাকতে নিয়োগ কমিটিতে জেলা প্রেসিডেন্ট বা সাধারণ সম্পাদককে সদস্য রেখেছিলাম। তিন বছর আগে সেটাও তুলে দেওয়া হয়েছে। সব দুর্নীতি নাকি রাজনীতিবীদরা করে। আর উনারা সব কিছু করেন। অন্য কিছু করে না। বাড়িগাড়ি করে দেশে-বিদেশে, বেগম পাড়ায়। কোন কোন পাড়ায় বাড়ি করে, সুইস ব্যাংকে টাকা রাখে? আজকে দোষ কিন্তু পলিটিশিয়ানদের। আমাদের পেছনে-সামনে তো এত লোক লাগানো আছে। সাংবাদিক ভাইয়েরা তো আছেনই। একটি বেফাঁস কথা বললেই...।

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিবিদরা আনক্লাসিফাইড হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি না থাকলে দেশের উন্নয়ন হবে না। মানুষের মঙ্গল করা যাবে না। আমরা তো পেছনে পড়ে গেছি। বরাদ্দের জন্য মন্ত্রীর সাথে দেখা করতে গেলে বলেন সচিব সাহেবদের সাথে কথা বলেন।

ইএইচ

Link copied!