Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ছাত্র-জনতার বিজয় উপলক্ষে দেশবাসীকে ছাত্রশিবিরের শুভেচ্ছা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ৬, ২০২৪, ০১:২৩ এএম


ছাত্র-জনতার বিজয় উপলক্ষে দেশবাসীকে ছাত্রশিবিরের শুভেচ্ছা

স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন নিশ্চিত করে ছাত্র-জনতার বিজয় ছিনিয়ে আনা উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, শত শহীদের রক্তস্রোতের ওপর দাঁড়িয়ে ফ্যাসিবাদের পতনকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে তারা বলেন, আজকের এই দিনে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি শহীদ আবু সাঈদ, শান্ত, ওয়াসিম, তানবীন, মুগ্ধসহ শত বীর শহীদদের, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে পেরেছি। পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ সবার শাহাদাতের কবুলিয়াত এবং আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী সবার সুস্থতা কামনা করছি।

নেতারা আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করে বলেন, বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে তথা, জুলুম-নিপীড়নের মূলোচ্ছেদ করে ভ্রাতৃত্ব ও ন্যায়ের সৌধের উপর এক আদর্শ সমাজ বিনির্মাণই ইসলামী ছাত্রশিবিরের আদি ও চিরন্তন উদ্দেশ্য। বৈষম্যবিরোধী এই মহাযাত্রায় ছাত্রসমাজের প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে এতটুকুও কার্পণ্য করেনি।

নেতারা বলেন, কোটা সংস্কার থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং এক দফা আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে ছাত্রশিবির নিজের ব্যানারকে, দলীয় প্রচারকে ও নিজস্ব ইমেজকে স্যাক্রিফাইস করে প্রতিটি আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে, ইনশাআল্লাহ। ২৮ অক্টোবর ২০০৬ লগি-বৈঠার পৈশাচিক গণহত্যা থেকে অদ্যাবধি, বিশেষত গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন ‘শিবির’ ট্যাগের আড়ালে বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী ছাত্রদের হত্যা-নির্যাতন অলিখিতভাবে বৈধ করে নিয়েছিল।

নেতারা আরও বলেন, বিগত ১৬ বছরে ছাত্রশিবির নজিরবিহীন দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে এই জুলুমের অবসানের জন্য কাজ করেছে। কিন্তু এতদিন ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়নি। ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানে আপামর ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণ এই জুলুমশাহীর পতন নিশ্চিত করেছে। সারা দেশে আপামর ছাত্র-জনতা যে অসাধারণ ত্যাগ স্বীকার করেছে, এই ত্যাগ আমাদের উজ্জীবিত ও কৃতজ্ঞ করেছে।

নেতারা আরও বলেন, “অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, রাজনৈতিক সহনশীলতা এবং সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা রক্ষা, সর্বোপরি একটি সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।

ইএইচ

Link copied!