Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪,

যাত্রাবাড়ী পূর্ব অঞ্চল জামায়াতের ওয়ার্ড সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ২৫, ২০২৪, ০৬:২৮ পিএম


যাত্রাবাড়ী পূর্ব অঞ্চল জামায়াতের ওয়ার্ড সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশে একটি সফল ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখে। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক এলাকা। এই ময়দানে যখন আল্লাহর দ্বীন বিজয়ের জন্য সবকিছু প্রস্তুত হয়ে যায় তখন সারাদেশে তা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সফলতা চলে আসে। তাই সংগঠনের সে লক্ষ্য পূরণে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণকে কঠিনভাবে চাষাবাদ করতে হবে।

বলেন- ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এই সময়ে রাষ্ট্র সংস্কার ও সমাজ পরিবর্তনে জামায়াতের ওয়ার্ড দায়িত্বশীলগণ হবেন নেতৃত্বদানকারী প্রথম ব্যক্তি। চরম ফ্যাসিবাদ স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন শেষে জনগণ প্রত্যাশা করছে সত্যিকার ন্যায়বিচার, শান্তি শৃঙ্খলা নিরাপত্তার এক বাংলাদেশ। সেখানে ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় মানুষ জামায়াতের দিকে তাকিয়ে আছে। জামায়াতে ইসলামী এদেশে গণমানুষের প্রাণের সংগঠন হিসেবেই পরিচিত। মানুষ এখন দলে দলে জামায়াতের সহযোগী হয়ে উঠছে। শান্তি শৃঙ্খলার দেশ প্রতিষ্ঠায় এখন সৎ লোক খুঁজে বেড়াচ্ছে মানুষ, আর সেই সৎ লোক জামায়াতের মধ্যে আছে এ কথাও জনগণ বুঝে গেছে।

জামায়াতের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশ গঠনে মানুষ এখন দেশ-বিদেশ থেকে জামায়াতকে সহযোগিতা করতে চায়। যে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহর কাছে ওয়াদা করেছেন সেই শপথ পূরণের সময় সামনে চলে এসেছে। এদেশের ছাত্র জনতাকে আশার আলো দেখাবে জামায়াতে ইসলামী এটা আমাদের বিশ্বাস। সাথে সাথে এটাও খেয়াল রাখবেন ব্যক্তি হিসেবে কোনো অহংকার যেন আপনার মনে অবস্থান না করে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হবে এবং জনগণ তাদের সকল ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে ইনশাআল্লাহ।

শনিবার দিবাগত রাতে পল্টনস্থ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের কার্যালয়ের নিজস্ব হল রুমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের যাত্রাবাড়ী পূর্ব অঞ্চল (জোন) জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত ওয়ার্ড দায়িত্বশীল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ওয়ার্ড দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও যাত্রাবাড়ী পূর্ব থানা আমির মো. শাহজাহান খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল আমিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য মীর বাহার আমিররুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, মিজানুর রহমান মালেক, বায়জিদ হাসান, মহসিন আহমেদ, আ. মালেক, একে আজাদ, মাহমুদ হোসাইন, মাওলানা মোজাহিদুল ইসলাম, থানা সেক্রেটারি ইমাম হোসাইন, মাহফুজুর রহমান, সাফিউল আলম, মোহাম্মদ জোনায়েদ, বেলাল আহমেদ প্রমুখ।

আব্দুস সবুর ফকির বলেন, জামায়াতের কর্মী হিসেবে আপনাকে মানুষের ভালোবাসা বুঝতে হবে। বিশ্ব মহামারি করোনা থেকে শুরু করে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে জামায়াত মানুষের পাশে যেভাবে ছিল সেই জায়গা থেকেই জামায়াতে ইসলামী মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, যে বাক্য দিয়ে মিথ্যাচার করে  দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে স্বৈরাচারী হাসিনা জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি কার্যকর করে বিচারিক হত্যাকাণ্ড করেছে সেই একই বাক্য আজ জাতীয় স্লোগানে পরিণত হয়ে গেছে। সেই স্লোগানেই স্বৈরাচারী হাসিনা দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে জীবননাশের পাশাপাশি কারো হাত কেটে ফেলতে হয়েছে আবার কারো পা কেটে ফেলতে হয়েছে। তাদের এই ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এক নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি। তাদের সেই অর্জনে আমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। নাম খ্যাতি অর্জনের জন্য নয় দায়িত্ব পালনের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।

ড. মাসুদ বলেন, আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসূল (সা) প্রদর্শিত একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান ইসলাম। শুধুমাত্র ইসলামই জনগণকে তার প্রকৃত নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করে। সুতরাং দেশের মানুষের মুক্তির জন্য, নির্যাতিত জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ইসলামের সু-মহান আদর্শের ভিত্তিতে একটি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়ে আল্লাহর দ্বীন বিজয়ের স্বপ্ন নিয়ে তার মঞ্জিলের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ফলে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের ওয়ার্ড দায়িত্বশীলদেরকে সংগঠনের সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

ইএইচ

Link copied!