নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগস্ট ২৯, ২০২৪, ১১:৫৩ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগস্ট ২৯, ২০২৪, ১১:৫৩ এএম
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন," বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যার জন্য আওয়ামী লীগ কে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিচারের আওতায় আনতে হবে। সরকার কে এই বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।"
বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীর আজিমপুর এস্টেট জনকল্যাণ সমিতি কমিউনিটি সেন্টারে (আজিমপুর ছাপড়া মসজিদের পূর্ব পাশে) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জ্ঞাপন, দোয়া ও আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যারা শহীদ হয়েছেন আল্লাহ পাক তাদের বিষয়ে বলেন, ‘যারা শহীদ হয়েছেন, তোমরা তাদের কে মৃত বলো না। তাঁরা জীবিত তা তোমরা বুঝতে পারো না। শহীদরা মাটিতে রক্ত পড়ার সাথে সাথে জান্নাত দেখে।আল্লাহ শহীদ পরিবারের সদস্যদের কে মর্যাদাবান করেছেন,কেয়ামতের পরেও শেষ বিচারের দিন সম্মানিত করবেন।’
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ নতুন স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন।শহীদদের সংখ্যা হাজারের বেশী। ছোট্ট শিশু (দেড় মাসের বাচ্চা) থেকে শুরু করে বৃদ্ধকে পর্যন্ত হত্যা করা হয়েছে।
আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যার জন্য আওয়ামী লীগ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিচারের আওতায় আনতে হবে।
প্রতিটি শহীদ পরিবার কে ২ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা জানান তিনি। আহতদের চিকিৎসা দায়িত্ব নিয়েছে জামায়াত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পাশে থাকার ঘোষণা দেন।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি
দেলোয়ার হোসেন ও ডক্টর কামাল, লালবাগ থানার আমীর শামীমুল বারী প্রমুখ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, "সম্মান ও মর্যাদার সাথে বসবাস করার শহীদ পরিবার কে উত্তম কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।"
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারকে শহীদ পরিবারের উপহার হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শহীদ সাইফুল ইসলাম সুমনের মা,শহীদ ইয়াকুবের মা,শহীদ সুমনের স্ত্রী, শহীদ শরফুদ্দিনের মেয়ে , শহীদ নয়নের ছোট ভাই মুহসীন,শহীদ দুলাল মাহমুদের স্ত্রী ফারহানা , রিপনের বাবা ফারুক সহ ১০/১২ জন শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
অনুষ্ঠান শেষে জামায়াত নেতারা শহীদ পরিবারের সদস্যদের কাছে অনুদানের টাকা হস্তান্তর করেন।
বিআরইউ