নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ৮, ২০২৪, ০৮:২১ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ৮, ২০২৪, ০৮:২১ পিএম
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। যেই সমাজ ব্যবস্থায় কোন বৈষম্য থাকবে না, দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব থাকবে না। একটি বৈষম্যহীন কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির অন্যতম কর্মসূচি।জামায়াতে ইসলামীর সেই কর্মসূচি সঠিক অনুধাবন করতে পারার ফলে তরুণ প্রজন্ম ইউ ওয়ান জাস্টিস অর্থাৎ ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্লোগান দিয়ে একটি বৈষম্যমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত রাষ্ট্রের দাবিতে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে বিপ্লব অর্জন করে।
শুক্রবার বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দেবীনগর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে দেবীনগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল এসব কথা বলেন।
আজ দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে ইসলাম ব্যতীত শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না উল্লেখ করে মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, শান্তিকামী মানুষ আজ দলে-দলে ইসলামের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ছাত্র-জনতা আন্দোলন করে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ করেছে। ক্ষমতার পালাবদলের জন্য ছাত্র-জনতা জীবন আর রক্ত দেয়নি। ছাত্র-জনতার অর্জিত বিপ্লবের সুফল ভোগ করতে হলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশ গঠনে কাজ করতে হবে। আমি কী পাবো, আমার দল কি পাবে! এই হিসাব করার সময় এখন নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন হিসাব শুধু একটাই করতে হবে আমরা সম্মিলিতভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গড়বো। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পরাজিত শক্তি তাদের বিদেশি প্রভুদের ষড়যন্ত্রে সামনে প্রতিবিপ্লবের অপপ্রচেষ্টা চালাবে। সেটি ভয়ংকর রূপ নিতে পারে, সেজন্য সকল রাজনৈতিক দলকে ছাত্র-জনতার পক্ষে এককাতারে অবস্থান নিতে হবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, কোন একটি রাষ্ট্রকে ধ্বংস করতে পরাশক্তি প্রথম যেই কাজটি করে সেটি হচ্ছে ঐ রাষ্ট্রের জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা। দলমত, জাতি-গোষ্ঠী, ধর্ম-বর্ণ সকলে বাংলাদেশের নাগরিক পরিচয়ে এক ও অভিন্ন থাকতে পারলে কোন পরাশক্তি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার পথে আর বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং তার পরবর্তী সকল আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের বিজয় হয়েছে যুব সমাজের হাত ধরে। তাই যুব সমাজকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থেকে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নূরুল ইসলাম বুলবুল চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, গত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসররা জনগণের রক্ত চুষে খেয়েছে। পাড়া-মহল্লায় তারা ভিলেজ পলিটিক্স চালিয়েছে। এতে সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয় হওয়ার পাশাপাশি মানুষে-মানুষে হিংসা বিদ্বেষ ও বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। তারা এখনো ভিলেজ পলিটিক্সের অপচেষ্টা করছে। তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে সামাজিকভাবে প্রতিহত ও বয়কট করতে হবে। তিনি আগামীদিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জকে শান্তির নীড় হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের কাছে সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেবীনগর ইউনিয়ন সভাপতি মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি গোলাম মূর্শেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পথসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য জেলা নায়েবে আমির সাবেক এমপি অধ্যাপক লতিফুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু বকর, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মোখলেশুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর আমির হাফেজ মাওলানা গোলাম রাব্বানী, সদর উপজেলা আমির হাফেজ আব্দুল আলীম, সদর উপজেলা সেক্রেটারি গোলাম কবির, পৌর সহকারী সেক্রেটারি তোহরুল ইসলাম সোহেল, ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সেক্রেটারি সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ইএইচ