নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম
বাংলাদেশের নানা সংস্কার করার এই সময়ে প্রিয় রাসূল (সা.) এর জীবনী সবার আগে অনুসরণ করা মুসলিম দেশ হিসেবে অত্যাবশ্যকীয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
বলেছেন, একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশকে উগ্রবাদীতার মাধ্যমে অস্থিতিশীল করতে চায়। ঐক্যবদ্ধভাবে তাদেরকে রুখে দিতে হবে। তাদের মূল টার্গেট ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা। এজন্যই দেশের জনগণ মনে করে পার্শ্ববর্তী একটি দেশে বসে তিনি বাংলাদেশে নানা ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে ব্যস্ত হয়ে গেছেন। জনগণ জানে তাদের জ্ঞানের সামান্যতম চর্চা নেই। এখনো তারা দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিতিশীল করতে চক্রান্ত করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইতোপূর্বেও আমরা দেখেছি বিডিআর বিদ্রোহের নামে দেশের চৌকস সেনা অফিসারদের হত্যা করা হয়েছিল। আজকে রিকশা শ্রমিক লীগ নামে বিদ্রোহ, গার্মেন্টস শ্রমিক বিদ্রোহ, ইত্যাদি নামে বিদ্রোহের মূল্য উদ্দেশ্য হচ্ছে আওয়ামীদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করা। এদিকে হাতে তরবারি নিয়ে প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা করছে একদল উগ্রবাদী অথচ তারা গরু হত্যাকে মহাপাপ বলেন কীভাবে! জনগণ মনে করে হাসিনার নির্দেশেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ইসকন নিষিদ্ধ করুন এবং অবিলম্বে আইনজীবী সাইফুলকে হত্যায় জড়িত সবার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
শুক্রবার সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতার হল পরিদর্শনে রাজধানীর পুরানা পল্টন কলেজে গিয়ে তিনি গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন।
সিরাতুন্নবি (সা.) উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পরীক্ষায় ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের অর্ধ লক্ষাধিক কর্মী-সহযোগী জনশক্তি অংশগ্রহণ করে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ড. মাসুদ ৩টি দাবি জানিয়ে বলেন, ১. প্রিয় নবী সা. এর সিরাত পাঠ করেই জাতিকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে। কোনো কথিত জাতির পিতাকে আর দেশের জনগণ পড়তে চাই না। এজন্য জাতীয় জীবনে রাসূল (সা.) এর সিরাত চর্চা করতে হবে।
২. শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের কাজে সরকার যেন আমাদের এই সিরাত পাঠ পরীক্ষা দেখে দেশের ১৮ কোটি মানুষের নৈতিকতার মান উন্নতিতে রাসূল (সা.) এবং কুরআন সুন্নাহর প্রকৃত শিক্ষা প্রণয়ন করেন।
৩. জাতিকে সাজাতে একটি ঐক্যবদ্ধ সহনশীলতার মূলনীতি প্রণয়ন করতে হবে। প্রিয় রাসূল (সা) সোনার মদিনা রাষ্ট্রে যা প্রতিফলিত হয়েছিল।
সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতার হল পরিদর্শনে পুরানা পল্টন কলেজে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও পল্টন দক্ষিণ থানা আমির শাহীন আহমেদ খান, মহানগরী মজলিসের শূরা সদস্য ও পল্টন উত্তর থানা আমির মুজিবুর রহমান, মহানগরী মজলিসের শূরা সদস্য ও পল্টন দক্ষিণ সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মারুফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, এনামুল হক সহ বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের দায়িত্বশীলবৃন্দ।
ড. মাসুদ বলেন, জামায়াতে ইসলামী তার কর্মী, সহযোগী, রুকনদের জ্ঞানের পরিসি বৃদ্ধিতে সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। জামায়াতের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দকেও পড়াশোনা করে অগ্রসর হতে হয়। আমরা দেখেছি বাংলাদেশে নৈতিকতার শিক্ষাকে স্ব-মূলে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। আজকে আমাদের এখানে যারা পরীক্ষা দিতে এসেছেন প্রত্যেকে সবার নিজ নিজ অবস্থানে অত্যন্ত সচেতন ব্যক্তি। তারা কখনোই পরীক্ষক বা অন্য কাউকে ভয় পায় না বরং তারা মহান স্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে ভয় করেন।
পরীক্ষার হল পরিদর্শন কালে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, স্থিতিশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাসূল (সা)-এর জীবন আদর্শ অনুসরণই মুক্তির একমাত্র পথ। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) জীবনী যত জানা যাবে ততো মানা সহজ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সেজন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ অন্যান্য বছরের মতো এবছরও আয়োজন করেছে সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতা। আমরা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত করে জামায়াতের জনশক্তিদের পাশাপাশি সংগঠনের সুধী, শুভাকাঙ্ক্ষী, সহযোগী ও কর্মী, রুকন, দায়িত্বশীল সকলের জন্যই আমরা এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি।
ইএইচ