আমার সংবাদ ডেস্ক
ডিসেম্বর ৭, ২০২৪, ০১:২৯ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
ডিসেম্বর ৭, ২০২৪, ০১:২৯ পিএম
ভারত তাদের নিজস্ব স্বার্থ রক্ষা করতো শেখ হাসিনাকে দিয়ে। তাদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্যই তারা শেখ হাসিনার জন্য এখন কুমিরের কান্না কাঁদছে সেটা অত্যন্ত সত্য প্রমাণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, আজকে সেই পলাতক স্বৈরাচারের জন্য মায়া কান্না কাঁদছে পার্শ্ববর্তী দেশের রাজনীতিবিদরা, নীতি নির্ধারকরা, আত্মা বিক্রিকারী মিডিয়ার লোকেরাসহ আরও অনেকেই।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে আয়োজিত ‘আমরা বিএনপি পরিবার কর্মসূচী’ শীর্ষক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত চিকিৎসারতদের পরিদর্শনে এসে এসব বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী একটা রক্ত পিপাসু নীতির ওপর ভিত্তি করে ক্ষমতাকে আঁকড়ে রেখেছিলেন। আজকে যারা সেই পলাতক প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয় দিয়েছেন এবং সেখান থেকে নানান উস্কানিমূলক কথা, অপপ্রচার, অপতথ্য বিতরণ করছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, একবার বাংলাদেশে দেখেন, আন্দোলনের চারমাস অতিক্রমের পরেও এই আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার কি করুন ভয়াবহ এবং নৃশংস অবস্থা। আতদের ওপর কী পাশবিকতা চালানো হয়েছে তার দৃষ্টান্ত আপনারা দেখতে পাবেন।
কারো মুখ ছিড়ে গেছে। কারো দুই হাত অদৃশ্য হয়ে গেছে। কারো চোখের কর্নিয়া বিদ্ধ হয়েছে শর্টগানের গুলিতে। কারো আবার পা চলে গেছে। জীবন যেনো তাদের কাছে একটা অভিশাপ হয়ে নেমে এসেছে। আমাদের চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসা করে পৃথিবীতে বসবাসের উপযোগী করার চেষ্টা চালাচ্ছে। শেখ হাসিনা তাদের চেহারার মধ্যে যে চিত্র একে দিয়েছে এই পাপের পরিনতি কি হতে পারে? কি বিচার হতে পারে সেটা যারা প্রত্যক্ষ করেছেন তারা বুঝতে পারবেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে দিয়ে ভারত তাদের নিজস্ব স্বার্থ রক্ষা করতো। এজন্যই তারা এখন শেখ হাসিনার জন্য কুমিরের কান্না কাঁদছে। ওরা এতোদূর গেছে যে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির পতাকা ছিঁড়েছে। এটা ভয়ংকর রকমের আন্তর্জাতিক গুরুতর অপরাধ। কিন্তু তারা একবারও চিন্তা করেনি যে শেখ হাসিনা কি নিষ্ঠুরতা করেছে, কি নির্দয়তা করেছে। কি হিংসাশ্রয়ী আচরণ করেছে তার নিজ দেশের মানুষের উপর।
বিআরইউ