আমার সংবাদ ডেস্ক
জানুয়ারি ১৬, ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
জানুয়ারি ১৬, ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
‘আমরা প্রশ্ন করেছি যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সাড়ে পাঁচ মাস পর ঘোষণাপত্রের প্রয়োজন ছিল কি না। যদি থেকেই থাকে তাহলে তার রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক ও আইনি গুরুত্ব নির্ধারণ করতে বলেছি। যেন এই ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে ফাটল না ধরে’।
প্রধান উপদেষ্টার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
এছাড়া জুলাই ঘোষণাপত্রের রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক ও আইনি কী গুরুত্ব রয়েছে, তা নির্ধারণ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
তিনি বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত ঘোষণাপত্র নিয়ে আজ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনা হয়েছে। সবাই তাদের মতামত ও পরামর্শ দিয়েছেন।
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সর্বদলীয় বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সেখান থেকে বেরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে অংশ নেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কোনো দলিল যদি রাজনৈতিক ঐতিহাসিক দলিলে পরিণত হয় তাহলে অবশ্যই আমরা সেটিকে সম্মান করি। সেটি প্রণয়ন করতে গিয়ে যেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাদের পরামর্শ নেওয়া হয় ও আলোচনা করা হয়, সেই পরামর্শ দিয়েছি।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং সব উপদেষ্টাকে এসব বিষয়ে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি, যেন জাতীয় ঐক্যের মধ্যে কোনো ফাটল সৃষ্টি না হয়, যেন কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে ঐক্য গড়ে উঠেছে, সেটিকে গণঐক্যে রূপান্তরিত করে আমরা যেন রাজনৈতিকভাবে চর্চা করতে পারি। সেটিকে যেন রাজনৈতিক সংস্কৃতির ভেতরে আনতে পারি। সেই ঐক্য ধরে রেখে জাতিকে যেন সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারি, সেটিই আমাদের এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ছিলেন, আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তাদের সবাইকে নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক বক্তব্য আমরা দিতে চাই। কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তার দোসররা যেন ঐক্যের ভেতরে অনৈক্যের বীজ বপন করতে না পারে, সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
আরএস