Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫,

মির্জা ফখরুল

নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারছে না অন্তর্বর্তী সরকার

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

জানুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৩:২৪ পিএম


নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারছে না অন্তর্বর্তী সরকার

অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে শহীদ আসাদের ৫৬তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, ‘আমি এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেছি, অন্তর্বর্তী সরকার যদি নিরপেক্ষ না থাকে, নির্বাচনের সময়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার দরকার আছে, আমি এই কথাটা বলেছি এই কারণে যে, আমরা দেখছি কিছু বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারছে না। তাই অনুরোধ করবো, প্রত্যাশা করবো, আমরা আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। দেশে যে সংকট আছে সে সংকট থেকে মুক্ত করার জন্য দায়িত্ব পালন করবে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন থেকে আমরা প্রায় ১৫ বছর বঞ্চিত। এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের জনগণ তাদের একজন প্রতিনিধি নিয়োগ করার একটা সুযোগ পাবেন। এখন জোড় করে যদি বিষয়টাকে বিতর্কিত করে ফেলা হয় তাহলে জনগণ আবার তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, এ ধরনের নির্বাচন যদি দ্রুত না করা হয়, সময়ক্ষেপণ করা হয়, তাহলে সেখানে অন্যান্য শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে থাকে। তারপর জনগণের যে চাহিদা, সেই চাহিদা থেকে পুরোপুরিভাবে বঞ্চিত হয়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এই কথাটা বারবার বলতে চাই, এখন যে অন্তর্বর্তী সরকার আছে, সে সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। স্বাভাবিকভাবেই একটি গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকজনক হলেও সত্য, এখন পর্যন্ত যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে সেখানে আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না যে বেশি প্রত্যাশা পূরণ হবে।’

তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক কথা আছে, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন রকমের প্রোগ্রাম আছে, কর্মসূচি আছে, সে কর্মসূচিগুলোতে সবাই একটা জায়গায় একমত, একটা নির্বাচন হওয়া দরকার। নির্বাচন শুধু একটি দলকে ক্ষমতায় পাঠানোর জন্য না, নির্বাচনটি একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার জন্য একটি পথ সৃষ্টি করা।’

‘আজ সবগুলো সংস্কার করে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্ন উঠেছে। তাহলে কি আমরা ৪/৫ বছর ধরে অপেক্ষা করবো? যতদিন সম্পূর্ণ সংস্কার না হবে ততদিন ধরে অপেক্ষা করবে জনগণ? তারা তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।’ যোগ করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো দেখছি যে আমলাতন্ত্র আগে যে অবস্থায় ছিল, এখনো সচিবালয় থেকে শুরু করে সমস্ত প্রশাসনে একইভাবে তাদের ভূমিকা পালন করছে। কোনো রদবদল হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লেখাপড়া একদম বন্ধ হয়ে গেছে, স্কুল-কলেজগুলোতে সেভাবে লেখাপড়া হচ্ছে না। স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। এগুলো অতীত থেকেই এসেছে। সেগুলো পরিবর্তন এত অল্প সময়ে সম্ভবও নয়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেজন্যই আমরা বলছি, নির্বাচন দ্রুত হওয়া দরকার। নির্বাচন দ্রুত হলে যে সরকার আসবে, রাজনৈতিক কমিটমেন্ট যেগুলো থাকবে সে কমিটমেন্টগুলো পালন করার জন্য অবশ্যই দায়বদ্ধ থাকবে।’

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জহির উদ্দিন স্বপন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও শহীদ আসাদের ভাই আজিজুল্লাহ এম. নুরুজ্জামান নূর উপস্থিত ছিলেন।

আরএস

Link copied!