নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ২৪, ২০২৫, ১১:১৬ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ২৪, ২০২৫, ১১:১৬ পিএম
যুক্তরাজ্যে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ১৭ দিন পর হাসপাতালের ছাড়পত্র পেয়েছেন।
শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটায় (লন্ডনের সময় রাত ৯টা) দ্য লন্ডন ক্লিনিক থেকে তিনি সরাসরি ছেলে তারেক রহমানের বাসায় উঠবেন। আপাতত বাসায় চলবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা।
প্রয়োজন হলে ফলোআপের জন্য আসবেন হাসপাতালে। তবে স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে লিভার প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি।
লন্ডন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার এ তথ্য জানান।
এই চিকিৎসক বলেন, ম্যাডাম লন্ডনের সময় রাত ৯টা হাসপাতালে থেকে তারেক রহমানের বাসায় উঠবেন। তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বিবেচনায় লিভার প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি। লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা লিভার সার্জারি এলাউ করেননি।
এই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, ম্যাডামের হার্টের সমস্যার সমাধান হয়েছে। এখন মূল সমস্যা কিডনিতে। এভার কেয়ার হাসপাতালে যে চিকিৎসা ছিল তা লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা প্রথমে সাপোর্ট করেননি। তারপর নতুনভাবে কিডনির চিকিৎসা শুরু হয়। কয়েক দিন আগে ক্রিয়েটিনিন মাত্রা (কিডনির কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে সাহায্য করে) বর্ডার লাইন ক্রস করে। এতে অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে। এরপর আরও নতুন কিছু চিকিৎসার ফলে এখন অনেকটা রিকোভারি হয়েছে।
কবে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া? জবাবে এই চিকিৎসক জানান, বলা যায় মূল চিকিৎসা শেষ। এখন ফলোআপ করতে হবে। কবে দেশে ফিরবেন এটা ম্যাডামের ওপর নির্ভর করছে।
এর আগে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক জানান, খালেদা জিয়া রাতে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় উঠবেন। সেখানে পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান, শর্মিলা রহমান ও তিন নাতনির সঙ্গে থাকবেন। বাসা থেকে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চলবে। খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। খালেদা জিয়াকে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া প্রয়োজন হবে না। লন্ডন ক্লিনিকেই সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এখানে বিশ্বখ্যাত চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিচ্ছেন। তারা বাংলাদেশি চিকিৎসকদের প্রশংসা করেছেন।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন লন্ডনে সাংবাদিকদের জানান, ছুটি পেলেও খালেদা জিয়া সার্বক্ষণিক প্রফেসর জন প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রস, এই দুইজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন থাকবেন এবং মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরাও থাকবেন।
ইএইচ