Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,

রুহুল কবির রিজভী

রাজনৈতিক কর্মসূচি দমনে গুলিবর্ষণের ক্ষমতা ‘চিরতরে নিষিদ্ধ’ করতে হবে

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৬:০৮ পিএম


রাজনৈতিক কর্মসূচি দমনে গুলিবর্ষণের ক্ষমতা ‘চিরতরে নিষিদ্ধ’ করতে হবে
বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী -ফাইল ছবি

রাজনৈতিক কর্মসূচি দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার যে গুলিবর্ষণের ক্ষমতা দিয়েছিলো তা ‘চিরতরে নিষিদ্ধ’ করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ সকালে শেরে বাংলা নগরে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে মুন্সীগঞ্জ বিএনপি’র নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির মিজানুর রহমান সিনহা ও সদস্য সচিব মহিউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের কাছে এই দাবি তুলে ধরেন রুহুল কবীর রিজভী। এ সময় বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ এবং প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

এখন থেকে কোনো বর্বর শাসকের কোনো বর্বর আইন প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের ১৬ বছরে বিক্ষোভ, আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শর্টগান দিয়ে গুলি করে হত্যার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তবে এখন থেকে এই নীতি আর চলবে না। আন্দোলন দমানোর অথবা যেকোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিকে দমনের জন্য গুলির ব্যবহার, শর্টগানের ব্যবহার চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে।

রিজভী বলেন, ওই পরিবেশ থেকে এমন একটি পরিবেশের উত্তরণ ঘটাতে হবে, এমন সংস্কার করতে হবে যাতে কোনো সরকারই যেন রক্তচক্ষু দেখিয়ে জনগণকে দমন করতে না পারে। আমরা সেই পরিবেশ চাই। আমরা আমাদের স্বাধীন চিন্তা, স্বাধীন মতামত প্রকাশে কেউ যেন আমাদের বাধা হয়ে না দাঁড়াতে পারে।

হরতাল-অবরোধ ঘোষণার নামে ‘ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা তার বর্বর শাসন ফিরে পাবার জন্য মরিয়া। উনি আরেকটি পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আশ্রয় পেয়ে বাংলাদেশের ভেতর উস্কানিমূলক কাজ এবং চক্রান্ত করার জন্য তার নেতা-কর্মীদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন। কিন্তু জনগনের সাড়া না পেয়ে এখন তারা অনলাইনে হরতাল আর অবরোধ করছেন। কারণ, জনগনের মধ্যে তারা আর যেতে পারছে না।

দ্রুত ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ’ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রুহুল কবীর রিজভী বলেন, নির্বাচনের ডেটলাইন দিতে হবে। আমরা ১৬/১৭ বছর বঞ্চিত হয়েছি, জনগণ বঞ্চিত হয়েছে সেই বঞ্চনার দুঃস্বপ্ন যাতে দূর হয় সেই জন্য অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের একটা তারিখ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ঠভাষায় বলতে চাই, বিএনপি সংস্কারের বিরুদ্ধে নয়। কারণ, সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া, এটা যুগ যুগ ধরে চলবে। তবে জনগনের যে দাবি এই দাবির ওপর ভিত্তি করেই তো সংস্কার হবে। কিন্তু তার জন্য নির্বাচন আটকিয়ে রাখার কোনো মানে হয় না।

আরএস

Link copied!