Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,

তিস্তা অভিমুখে ২ দিনের কর্মসূচি, অংশ নেবেন তারেক রহমান-ফখরুল

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫, ০৫:০২ পিএম


তিস্তা অভিমুখে ২ দিনের কর্মসূচি, অংশ নেবেন তারেক রহমান-ফখরুল

তিস্তা নদী পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা নদী তীরবর্তী অঞ্চলে আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ২ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, কর্মসূচির সার্বিক তত্ত্বাবধান করবেন রংপুর বিভাগের বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু।

বিএনপির সূত্র বলছেন, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ এই স্লোগানে দুদিনের কর্মসূচিতে তিস্তা নদীর কাউনিয়া সেতু, মহিপুর সেতু এবং তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টসহ বিভিন্ন পয়েন্টে তাঁবু করে এই সমাবেশ করবে দলটি।

এই কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী দিনে রাজনৈতিকভাবে ভারতকে চাপে রাখা যাবে মনে করেন বিএনপির নেতারা। তারা বলছেন, চীনের অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ভারত চাপে থাকবে। তবে, বিএনপি মনে করেন তিস্তা মহাপরিকল্পনায় যদি ভারত অর্থায়ন করে এতে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল তৎকালীন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতৃত্বে তিস্তা অভিমুখে লং-মার্চ করেছিল। সেই সময় উত্তরা থেকে লং-মার্চ গাড়িবহর যাত্রা শুরু হয়। যাওয়ার পথে গাজীপুর কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইল বাইপাস মোড়, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেইসময় ২২ এপ্রিল রাতে রংপুরে যাত্রাবিরতি থাকে।

পরদিন রংপুরে সমাবেশ পর নীলফামারীর ডালিয়া ব্যারেজ অভিমুখে লং-মার্চ যাত্রা শুরু হয়। ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারেজের কাছে সমাবেশের মধ্য দিয়ে দুই দিনের কর্মসূচি শেষ করে।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি রংপুরের কাউনিয়ার তিস্তা সড়ক সেতুর পাশে তিস্তা নিয়ে করণীয় শীর্ষক শুনানি করে অন্তর্বর্তী সরকার। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য চীনকে দুই বছরের সময় দিতে সম্মত হয়েছি দুটি শর্তে। আপাতত ৪৫ কিলোমিটারে ভাঙন রোধে বাঁধের জন্য টেন্ডার দেওয়া হবে।

চীনের ঋণ নিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে বিশদ সমীক্ষা করতে দেশটি যে পরামর্শ দিয়েছে তারই পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী কার্যক্রম বাস্তবায়নে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার।

গত বছরের ১৪ জুন সংসদে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছিলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের স্বার্থে সহজ শর্তের ঋণ পেতে চীন সরকারকে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

উত্তরবঙ্গের তিস্তা নদী পাড়ের মানুষের দুঃখ লাঘবে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছিলেন, এজন্য চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় সমীক্ষাও করা হয়েছে।

শায়রুল কবির খান বলেন, উত্তরাঞ্চল খরা পিড়িত এলাকায় ১৯৩৭ সাল তিস্তা ব্যারেজ নির্মাণ পরিকল্পনা হয়। কিন্তু দেশ স্বাধীন ১৯৭৯ সালে তা শুরু করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

তিনি আরও বলেন, ১৯৮৫ সালে সৌদি উন্নয়ন ও আইডিবি তহবিলে ১৯৯০ নির্মাণ শেষ হয়, ৫ আগস্ট চালু হয়। ৫ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা হয়।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, যে তিস্তা নদী এক সময় সুখ-সমৃদ্ধির উৎস ছিল তা আর নেই, তিস্তা এখন উত্তরাঞ্চলের দুঃখের কারণ। উচ্ছল জলধারার এই নদীর পানি এখন হাটুর নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই তিস্তা নদী ও এর অববাহিকার মানুষকে রক্ষায় পানির ন্যায্য হিস্যা এবং মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা জরুরি।

আরএস

Link copied!