Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,

ইসলামী ছাত্রশিবির

আমরা ছাত্রদলকে শত্রু মনে করি না

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫, ১২:৪৮ এএম


আমরা ছাত্রদলকে শত্রু মনে করি না

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, ছাত্রদলকে আমরা শত্রু মনে করি না। আমাদের লড়াই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। তাদেরকে সরাসরি কিংবা কৌশলে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি— ‘অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে গঠনমূলক ছাত্ররাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন’। কিন্তু বন্ধুপ্রতিম সংগঠনটি আমাদের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে বিগত ফ্যাসিস্ট ও তাদের শাহবাগী দোসরদের পরামর্শে অগ্রসর হচ্ছেন। যার প্রতিফলন মঙ্গলবার কুয়েটে প্রমাণিত হলো। আজকের ঘটনা আর জুলাই-আগস্টে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে শিবিরের নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রদলের উদ্দেশ্যে বলেন- আমরা আপনাদের শত্রু নই। বিগত সময়ে আপনাদের যতটুকু ত্যাগ (কম হোক বা বেশি হোক), তার স্বীকৃতি দিতে আমরা কৃপণতা করি না। কিন্তু আপনারা হাঁটছেন ঠিক আগের মতো উল্টোপথে। দখলদারিত্বের মনোভাব পরিহার করে, শিক্ষা ও সেবামূলক ছাত্ররাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সামর্থ্যের আলোকে ভূমিকা রাখুন।

তারা বলেন, যাদের পরামর্শে অগ্রসর হচ্ছেন, তারা ছাত্রলীগকে যে পরিণতি বরণ করিয়েছে, আপনাদেরও একই পরিণতি করতে ছাড়বে না। শুভবুদ্ধির উদয় হোক— এই কামনা। নতুবা সকল ব্যর্থতা ও পরিণতির দায় নিজেদেরই নিতে হবে। দায় চাপানোর রাজনীতি এখন চলে না। এই প্রজন্ম যথেষ্ট সচেতন।

বিশেষ অনুরোধ— ছাত্রশিবিরের উদারতাকে দুর্বলতা ভাববেন না। ছাত্রশিবির কোনো ব্যক্তি বা দলের পূজা করে না। এক আল্লাহর গোলাম হিসেবে শুধুমাত্র রবের কাছেই মাথা নত করে।

অপর এক বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের এই দুই শীর্ষনেতা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধসহ ৪ দফা দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থানরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। বিভিন্ন মিডিয়া ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্রদল বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে এই হামলায় নেতৃত্ব দেন। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।

বিবৃতিতে ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুনভাবে ছাত্ররাজনীতির ইতিবাচক ধারা তৈরির যে সুযোগ এসেছে, সেই সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করতে একটি দল পুনরায় ক্যাম্পাসে দখলদারি ও সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করেছে। তারা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের ওপর তাদের এই ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

আমরা আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে, হামলায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষাঙ্গনে পুনরায় ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা প্রতিহত করতে প্রশাসনকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি একটি ছাত্রসংগঠন নিজেরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে বরাবর নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের স্টাইলে ছাত্রশিবিরের ওপর দায় চাপানোর হীন চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা এমন ঘটনায় বিস্মিত ও গভীর উদ্বিগ্ন। আমরা এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করছি।’

ইএইচ

Link copied!