জুলাই আন্দোলনে গুলি চালানো আসামি পাড়ি জমাচ্ছে প্রবাসে

জুলাই আন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে নিরীহ ছাত্র জনতাকে আহত করা আওয়ামী লীগের দোসর জাহিদ খান সৌরভ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে অস্ট্রিয়ায়।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই  নিউমার্কেট থানা এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করতে ছাত্রদের উপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া সহ হামলায় নেতৃত্ব দেন জাহিদ খান সৌরভ। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন ঢাকা কলেজের মেহেদী হাসান ও রানা নামের দুইজন। এছাড়া ঢাকা কলেজের সজিব সহ অসংখ্য ছাত্র জনতা আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়।

এই ঘটনায় ঢাকা কলেজ ছাত্র সজিব উদ্দিন বাদী হয়ে গত ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি  এজহারনামীয় ৪৮ জনসহ অজ্ঞাতনামা ১০০ জনকে আসামি করে নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলার ৩৯ নাম্বার আসামি করা হয় জাহিদ খান সৌরভকে। মামলার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে নিজেকে আত্মগোপন করতে সে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর দিয়ে আগামীকাল একটি ফ্লাইটে অস্ট্রিয়া পাড়ি জমানোর খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক  নারী কেলেংকারীর খবর পাওয়া গেছে। সাথী আক্তার নামক এক ভুক্তভোগী নারী জানান, সে লম্পট প্রকৃতির লোক, আমাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে আমার যত জায়গা থেকে বিয়ে এসেছে সে ভেঙে দিয়েছে। সে আমার জীবনটা নরক বানিয়ে ফেলেছে। সে ফ্যাসিস্টের আমলের আইন সচিবের লোক হওয়ায় তার ক্ষমতা সকল অপকর্ম করে বেড়িয়েছে। এবং সে নিরীহ ছাত্রদের উপর গুলি করেছে এটাও সত্য।

এবিষয়ে সৌরভের মুঠোফোনে ফোন দিলে ফোনটি সে তার নিকট আত্মীয় জলি নামক একজনকে দিয়ে রিসিভ করিয়ে জানান, ৫ ফেব্রুয়ারি রাতের একটি ফ্লাইটে সে স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রিয়া চলে যাচ্ছে, সে নির্দোষ ছেলে। একটি মেয়ের সাথে সম্পর্ক থাকার সুবাদে ঐ মেয়েকে বিয়ে না করায় হয়তো তাকে আসামি করা হতে পারে।

মামলার বাদী সজিব উদ্দিন জানান, ফ্যাসিস্টের দোসর যেন কোনভাবে এয়ারপোর্ট দিয়ে পালিয়ে যেতে না পারে আমি ইমিগ্রেশন পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।

এবিষয়ে নিউমার্কেট থানার ওসি মহসিন জানান, বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অবগত হয়েছি আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে সকল ধরনের ব্যবস্থা নিব।

আরএস