এপ্রিল ১৬, ২০২৩, ০৫:২৩ পিএম
রাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহের সঙ্গে গরম বাতাসও বয়ে যাচ্ছে। আকাশে মেঘ নেই, পাশাপাশি বাতাসে আর্দ্রতা কমে গেছে। এতে বাড়ছে গরমের তীব্রতা। তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন। প্রয়োজনে যারা বাইরে বের হচ্ছেন, তারা পড়ছেন বেশ অস্বস্তিতে। রোদ এবং গরমের তীব্রতার সঙ্গে বাড়ছে মানুষের বিভিন্ন রোগ এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি। সকল প্রকার চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এহেন পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য বাংলাদেশ আইম্মাহ্ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। তাপপ্রবাহে রোজাদারদের কষ্টও বেড়েছে। রোগ-বালাইয়ের ঝুঁকি বেড়েছে। তাপদাহে আমের গুটি, ধানের শিষ ঝরে যাচ্ছে। সবজি খেতসহ সকল প্রকার চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা। হাসপাতালে শিশু রোগের সংখ্যা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই উদ্ভুত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমাদেরকে আল্লাহমুখী হতে হবে। রাসূল (সা.) অনাবৃষ্টি ও তাপদাহে সম্মিলিতভাবে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। রাসুল (সা.) বৃষ্টির নামাজ পড়ার রীতি অনুসরণ করে "সালাতুল ইসতিসকা" আদায়ের জন্য সারাদেশের খতীব ও ইমামদের নিকট তিনি উদাত্ত আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, আল্লাহর নিকট সকলের তওবা এবং ক্ষমা চাওয়া উচিত। সকলকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে। তাই আল্লাহর বান্দাদের সাথে সদ্ব্যবহার, যাকাত, নামায ও যিকর সহ অন্যান্য নফল আমল আঞ্জাম দিতে হবে। আল্লাহর বান্দাদের জন্য কাজ সহজ এবং তাদের দুঃখ দূর করতে হবে। হয়তো এর মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করবেন এবং আমরা যা চাই তা আমাদের দিবেন।
এছাড়া তিনি আরো বলেন, মহানবী (সা.)-এর সুন্নত পালনের মাধ্যমে মহান আল্লাহর কাছে প্রয়োজন প্রকাশ করার জন্য এবং তাগিদ দেওয়ার জন্য সমর্থবান পুরুষরা এই সালাত আদায় করবেন। আল্লাহ দেশ ও জাতীকে তীব্র গরমের তাপদাহ থেকে হেফাজত করুন।
রোববার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা এক মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি লেখেন, সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় আফতাবনগর এল ব্লক খেলার মাঠে ইস্তিসকার সালাত অনুষ্ঠিত হবে ইন-শা-আল্লাহ। (কমেন্টে গুগল লোকেশন) যাদের সুযোগ আছে, অংশগ্রহণ করি।
তিনি আরও লেখেন, গরমের তীব্রতা চরমে পৌঁছেছে। জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ (সা.) লোকদের নিয়ে ইস্তিসকার (বৃষ্টি প্রার্থনা) সালাত আদায় করতেন। বর্তমান অনাবৃষ্টির সময়ে প্রিয়নবী (সা.)-এর অপ্রচলিত সুন্নাহটি পুনরুজ্জীবিত করা সময়ের দাবি।
সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় ইস্তিসকার সালাত আদায়ের আহ্বান জানাচ্ছি।
এআরএস