জানুয়ারি ১১, ২০২৫, ০৭:০২ পিএম
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, সাড়ে ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার সারাদেশের মানুষের ওপর যে অত্যাচার, জুলুম ও নির্যাতন চালানো হয়েছে তা বর্ণনাতীত। দেশের সকল প্রতিষ্ঠানের ন্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অত্যাচার, জুলুম ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।
শনিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের বিশেষ সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোররমের ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান কার্যালয়, বিভাগ, জেলা, ইসলামিক মিশন, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি, দারুল আরকাম মাদরাসা, মডেল মসজিদ এবং মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমসহ কর্মচারী ইউনিয়নের মাঠ পর্যায়ের প্রায় ৫০০ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে মহিববুল্লাহ ও মো. আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মুহাম্মাদ ওবায়দুর রহমান।
ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে সমগ্র দেশের সকল প্রতিষ্ঠানের ন্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অত্যাচার, জুলুম ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। হয়রানি, পদোন্নতি বঞ্চিত করাসহ নানাবিধভাবে হয়রানি করা হয়েছে। ৩৬ জুলাইয়ের চেতনায় অবিলম্বে এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য বর্তমান সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নিমিত্ত কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি এছাড়াও ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে অধিদপ্তর করা, গণশিক্ষাসহ সকল প্রকল্প ও আউটসোর্সিং স্থানান্তর, সকল পদে পদোন্নতি চালু করা, সার্ভিস রুল সংশোধন করা, অবৈধভাবে চাকরির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধর্ম উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বিশেষ অতিথি আতিকুর রহমান বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন ছিনতাই করে, নিয়োগ, বদলি বাণিজ্য করাই তাদের কাজ। নিপীড়নের দিন শেষ। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এবং সহযোগী ইউনিয়ন-নিজেরা অন্যায় সহ্য করবে না। উপস্থিত সদস্য-কাউন্সিলদের এ ব্যাপারে সজাগ থাকার পর্যায়ের সদস্যগণসহ শ্রমিক নেতা মো. মিজানুর রহমান, মো. মহিববুল্লাহ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মুহাম্মাদ ওবায়দুর রহমান অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এ সময় শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে ৩ ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র সংশোধন ও যুগোপযোগী করে প্রণয়নের জন্য উপস্থাপন করা হয়। নির্বাচন উপ-কমিটি এবং অপর একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়।
ইএইচ