Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫,

বেনামাজি ব্যক্তি যে ৫টি ক্ষতির মুখোমুখি হবেন

আমার সংবাদ ধর্ম ডেস্ক

জানুয়ারি ২৬, ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম


বেনামাজি ব্যক্তি যে ৫টি ক্ষতির মুখোমুখি হবেন

যে ব্যক্তি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে তার সব আমল ঠিক হওয়ার সুসংবাদ শুনানো হয়েছে হাদিসে। রাসূল সা. বলেছেন, যার সালাত সুন্দর হবে তার অন্যান্য আমলগুলোও শুদ্ধ ও সঠিক হয়ে যাবে। বিপরীতে যার সালাত শুদ্ধ নয়, তার অন্য আমলও শুদ্ধ হবে না। (সহিহ তারগীব, হাদিস : ৩৬৯)।

এছাড়াও অন্য হাদিসে রাসূল সা. বলেছেন, প্রতিদিন পাঁচ বার গোসল করলে যেমন কোন ময়লা থাকে না, তেমনই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করলে তার সমস্ত গুনাহ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দেন।(বুখারি, হাদিস : ৫২৮)

আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, কবীরা গুনাহ না করলে প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ও জুমাবারের জুমা আদায়-এর মধ্যবর্তী সময়ে হয়ে যাওয়া পাপরাশি এমনিতেই মুছে যায়। (মুসলিম, হাদিস : ২৩৩)

এমন ফজিলত জানার পরও অনেকেই নামাজ আদায়ে অবহেলা করেন। নামাজে অবহেলাকারীদের জন্য পরকালে রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। কোরআনে কারিমের আল্লাহ তায়ালা বলেছেন—

কেয়ামতের দিন জাহান্নামীদের জিজ্ঞাসা করা হবে— ‘কেন তোমরা সাকার নামক জাহান্নামে এলে? তারা বলবে, আমরা তো নামাজি ছিলাম না এবং আমরা মিসকিনদের খাবার দিতাম না; বরং আমরা সমালোচনাকারীদের সঙ্গে সমালোচনায় নিমগ্ন থাকতাম। এমনকি আমরা প্রতিদান দিবসকে (কেয়ামত) অস্বীকার করতাম। আর এভাবেই হঠাৎ আমাদের মৃত্যু এসে গেল।’ (সুরা মুদ্দাসসির, আয়াত : ৩৮-৪৭)

নামাজ না পড়লে শুধু পরকালেই নয়, দুনিয়ার জীবনেও নেমে আসে অশান্তি, হতাশা, অভাব-অনটন, দুঃখ-কষ্ট। 

দুনিয়ার জীবনে বেনামাজি ব্যক্তি ৫টি ক্ষতির মুখোমুখি হবেন-

১.আল্লাহ তায়ালা নামাজ ত্যাগকারীকে দুনিয়ার জীবনে সব কাজের বরকত থেকে বঞ্চিত করেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তির আসরের সালাত কাজা হয় তার পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদ সবই যেন ধ্বংস হয়ে গেল। (মুসলিম, হাদিস : ১৩০৪)

২. নিয়মিত নামাজ না পড়া ব্যক্তির চেহারায় কোনো নূর বা উজ্জ্বলতা থাকে না।

৩. যে ব্যক্তি নামাজ ছেড়ে দেয়, ওই ব্যক্তি দুনিয়ার অন্যান্য ভালো কাজের কোনো পুরস্কারও পাবে না।

৪. নামাজ ত্যাগকারী ব্যক্তির জন্য কোনো লোক দোয়া করলে, তা কাজে আসবে না।

৫. নামাজ পরিত্যাগকারী ব্যক্তি দুনিয়ার প্রতিটি পদক্ষেপেই আল্লাহ তায়ালা সব সৃষ্টিজীবের কাছে ঘৃণিত। কোনো সৃষ্টিজীবই তাকে পছন্দ করবে না।  (শারহুল আকিদাতুত তাহাবি)

আরএস

Link copied!