Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,

প্রেনিউর ল্যাব ও আটলান্টিক কাউন্সিলের তরুণদের বুটক্যাম্প

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম


প্রেনিউর ল্যাব ও আটলান্টিক কাউন্সিলের তরুণদের বুটক্যাম্প

তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশ ও নীতি সংস্কারে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে প্রেনিউর ল্যাব ও আটলান্টিক কাউন্সিলের উদ্যোগে রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে ফ্রিডম ফেলোস কোহোর্ট ৮ ইন-পার্সন বুটক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইন্টারেক্টিভ লার্নিং, কমিউনিটি এনগেজমেন্ট এবং ডিজিটাল অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের সক্ষম করে তোলাই ছিল এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।

২০২১ সালে যাত্রা শুরু করা ফ্রিডম ফেলোস কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত সাতটি সফল কোহোর্ট সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে প্রেনিউর ল্যাব ৩০০-এর বেশি তরুণকে নীতি সংস্কার, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং নাগরিক সম্পৃক্ততার বিষয়ে দক্ষ করে তুলেছে। বুটক্যাম্পের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, যারা নিজেদের দক্ষতা ও সুপারিশের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম।

বুটক্যাম্পের শুরুতে প্রেনিউর ল্যাব ইয়ুথ অ্যান্ড ইনোভেশন ট্রাস্ট-এর হেড অফ অপারেশনস ও অ্যাডমিন এম আশরাফুল তানভীর অংশগ্রহণকারীদের জন্য একটি ইন্টারেক্টিভ সেশন পরিচালনা করেন, যেখানে তারা সহযোগিতা, নেটওয়ার্কিং এবং নেতৃত্ব বিকাশের কার্যকরী কৌশল সম্পর্কে শিখেন।

এরপর যুব নীতি বিশেষজ্ঞ ও এফএনএফ বাংলাদেশের সাবেক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ওমর মোস্তাফিজ “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গঠন: টেকসই উন্নয়নের জন্য শাসন ও নীতি সংস্কার” বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন, যেখানে তরুণদের নীতিনির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা রাখার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

ডেটা সাংবাদিক ও ‘ভয়েসেস অব বাংলাদেশ’-এর গবেষক মো. জাহিদ হোসেন খান নাগরিক দায়িত্ব ও শাসনে যুবকদের সম্পৃক্ততার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। তিনি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তরুণদের কণ্ঠস্বরকে কার্যকর করার জন্য সচেতন নাগরিক সম্পৃক্ততা ও সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করেন।

স্টার্ট২স্কেলআপের পরিচালক আল-আমিন প্রান্ত ডিজিটাল মিডিয়ার ব্যবহার করে নীতিগত অ্যাডভোকেসির জন্য কার্যকর কন্টেন্ট তৈরি করার কৌশল শেখান। তার সেশনে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য তথ্যনির্ভর ও আকর্ষণীয় গল্প বলার কৌশল তুলে ধরা হয়।

বুটক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীরা সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন সেশনে অংশ নেন, হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পান এবং নীতি সংস্কার ও অ্যাডভোকেসিতে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করেন। গ্রুপ ওয়ার্ক, মতবিনিময় ও ইন্টারেক্টিভ কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা ভবিষ্যতে সমাজ পরিবর্তনের জন্য সুপারিশ প্রণয়ন ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত।

প্রেনিউর ল্যাবের এম আশরাফুল তানভীর, হেড অফ অপারেশনস ও অ্যাডমিন, বলেন, “ফ্রিডম ফেলোস প্রোগ্রামটি যুব নেতৃত্বকে উৎসাহিত করে এবং নীতি ও কমিউনিটি উন্নয়নে তাদের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়। কোহোর্ট ৮-এর প্রতিটি অংশগ্রহণকারীর মধ্যে আমরা অসাধারণ সম্ভাবনা দেখতে পেরেছি, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

যুব নেতৃত্ব, ডিজিটাল অ্যাডভোকেসি এবং নীতি সচেতনতার ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনের সাথে, ফ্রিডম ফেলোস কোহোর্ট ৮ প্রোগ্রাম বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে টেকসই পরিবর্তন আনতে সক্ষম একটি সচেতন ও দক্ষ তরুণ সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।

ইএইচ

Link copied!