Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

মাঠ ছাড়বে না কেউ

আবদুর রহিম ও রফিকুল ইসলাম

আবদুর রহিম ও রফিকুল ইসলাম

সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২, ০৪:২২ এএম


মাঠ ছাড়বে না কেউ

সংঘাতের পথে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতি। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, অন্যতম মাঠের দল বিএনপিসহ প্রভাবশালী দলগুলো আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ মাঠ ছাড়বে না। মাঠ দখলের টার্গেট সবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা না দেয়ার নির্দেশনা দিলেও কেউ তা মানছে না। রাজনৈতিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে ঘটছে নিহতের ঘটনা। পুলিশ, সাংবাদিক, বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের বহু নেতা আহত ও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

অনেকেই বলছেন, চীন ইস্যু, তিস্তা ইস্যু, রাজনৈতিক ইস্যুকে কেন্দ্র আগামী দ্বাদশ নির্বাচনের আগে পরিবেশ আরও খারাপ হতে পারে। দেশের উত্তপ্ত রাজনীতির জন্য হতে পারে নানা ষড়যন্ত্র। এর মধ্যে থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য অতিউৎসাহী হয়ে যেতে পারে। যা সরকারের জন্য বিপদ নিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছে গোয়েন্দা সংস্থা। 

তারা বলছে, রাজনৈতিক উত্তপ্ত পরিবেশ চলমান সরকার কোনোভাবেই চাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু অতিউৎসাহী সদস্য পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করছে। বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আচরণও সহনশীল নয় বলেই দৃশ্যমান হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও মারমুখী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা বিরোধী দলকে দাঁড়াতেই দেবে না, এমন ঘোষণা অনেকের। মনোনয়ন পেতে স্থানীয় রাজনীতিতে শক্তি প্রদর্শন চূড়ান্তভাবে দেখানো হচ্ছে। 

এবার বিএনপিও ছাড় না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অল্প কিছুতেই কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিকে মাঠে নামিয়ে একটি সহিংস পরিস্থিতি ঘটিয়ে তৃতীয় কোনো পক্ষ ফায়দা নিতে পারে বলেও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।

নির্বাচনের আগে কোনো ধরনের সহিংসতা কাম্য নয় উল্লেখ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন আমার সংবাদকে বলেন, প্রতিটি পলিটিক্যাল পার্টিকে সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু সরকার জায়গা দেবে না। ওরা (বিরোধী) জোর করে নিবে। একজন আরেকজনকে জায়গা দিবে না । তা তো হয় না। এতে সংঘাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কোনো ধরনের সহিংসতা কাম্য নয়। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের এখনো অনেক সময় বাকি আছে।

নির্বাচনের আগে অনেক কিছুই ঘটবে। নির্বাচনের পরিবেশ কেমন হবে এখন বলা যাচ্ছে না। তবে যেকোনো সংকটময় পরিস্থিতিতে তৃতীয় কোনো শক্তির উত্থানের একটি আশঙ্কা সাধারণ মানুষের মনে সবসময়ই থাকে। অতীতেও বাংলাদেশের রাজনীতিতে কিন্তু এই ধরনের ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে এবং দেখা গেছে, এই ধরনের ঘটনায় যে শক্তি ক্ষমতায় আসে তাদের সাধারণ জনগণ ব্যাপকভাবে সমর্থনও জানায়।

আ.লীগ সূত্রে জানা গেছে, সমপ্রতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পুলিশের ওপর হামলা বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। তারা বলছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির নামে বিএনপি অপরাজনীতির দিকে হাঁটছে। রাজনীতির মাঠে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির অপচেষ্টা করছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে ২০১৩-১৪ সালের মতো আগুন-সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি শুরু করতে চায় বিএনপি। টার্গেট পেছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করা।

জানা যায়, বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য-তাণ্ডব, পুলিশের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ, মিছিল-সমাবেশ করেছে যুবলীগ। এতে সংগঠনটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভ, মিছিল-সমাবেশে যোগ দিয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, বিএনপি-জামায়াত তাদের মিথ্যা ও নৈরাজ্যের রাজনীতির অবতারণা করছে। এটা তাদের চরিত্র।

ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে নষ্ট করে দেয়ার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিএনপি। বিএনপি-জামায়াত এদেশের শান্তিপ্রিয় মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটায়, জনগণের বন্ধু পুলিশের ওপর হামলা করে, জনগণের জান-মালের ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তাহলে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রত্যেক নেতা-কর্মী রাজপথে থেকে তার দাঁতভাঙা জবাব দেবে।

জানতে চাইলে যুবলীগেরে প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজ উদ্দিন আহমেদ আমার সংবাদকে বলেন, দেশের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে দেয়া হবে না। কোনো রাজনৈতিক দল যদি এই ধরনের কার্যক্রম করতে চায়। যুবলীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করবে। শুধু যুবলীগ নয়, বিএনপি-জামায়াতের অপরাজনীতি ও নৈরাজ্য-তাণ্ডবের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। গতকালও পুরো ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে নগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা। 

এছাড়াও ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগসহ আওয়ামী লীগের সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপির নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক রয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক আমার সংবাদকে বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলের সভা-সমাবেশ ও মিছিল-মিটিং করার সুযোগ করে দিয়েছেন। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা সারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির অপচেষ্টা করছে। তারা সুযোগ বুঝে পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাথর ছুড়ছে, গুলি ছুড়ছে, পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করছে। তাদের নিজের গুলিতে নিজ দলের কর্মীরা নিহত হচ্ছে এবং সেই দোষ দেয়া হচ্ছে সরকারের ওপর।

তিনি আরও বলেন, খুনি, সন্ত্রাস, স্বাধীনতাবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, মানবতাবিরোধীদের রাজনৈতিক দল হচ্ছে বিএনপি। এই দলের আন্দোলন মানেই আগুন-সন্ত্রাস ও মানুষ পোড়ানো, হত্যা, খুন এবং গুম করা। বিএনপির টার্গেট পেছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করা। তারা কোনোভাবেই নির্বাচনে বিশ্বাসী নয়। বিএনপির রাজনীতির নামে মানুষ হত্যার অপরাজনীতি কঠোরভাবে দমন করা হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ আমার সংবাদকে বলেন, আন্দোলন-সংগ্রাম সব রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। সব দল আন্দোলন করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই কাম্য নয়।

বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনীতির নামে কেউ যদি সহিংসতা করে, সেটা অবশ্যই আইনশৃঙ্খাবাহিনীর সদস্যরা দেখবে। দেশের শান্তি স্থাপনের জন্য যা যা করা দরকার, তারা সব করবে।

গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৩-১৪ সালের মতো আবারও আগুন-সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি শুরু করছে বিএনপি। তারা যখনই রাজপথে আসে, তখনই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির এসব কর্মকাণ্ডের জবাব দেবে।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার নারায়াণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে যুবদল নেতা শাওন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। দলের মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। কোনো ইস্যুতে মাঠ ছাড়তে চাচ্ছেন না বিএনপিও।

জানা যায়, সমপ্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে দলটির সঙ্গে হামলা সংঘর্ষ হয়েছে। নেত্রকোণায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েলসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন। সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এসময় ইটপাটকেল, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেলের আঘাতে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। মানিকগঞ্জে  কর্মসূচিতে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। নাটোরে ছাত্রলীগের হামলায় শামীম হোসেন নামের একজন যুবদল কর্মী আহত হয়েছেন। রংপুরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের একই সময়ে কর্মসূচি ঘিরে ছিলো মারমুখি পরিস্থিতি। পুলিশ অনেক সতর্ক থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন। মাদারীপুরে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে কর্মসূচি। নড়াইলের কালিয়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  

এদিকে গত ২২ আগস্ট থেকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিএনপির শতাধিক কর্মসূচিতে হামলা হয়েছে। যশোরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলামের বাড়িতে, জেলার সাধারণ সম্পাদক সাবেরুল ইসলাম সাবু, মিজানুর রহমান, নোয়াখালীতে শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির বাড়িতে হামলা, টাঙ্গাইলের সফীপুরে আহমেদ আজম খানের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

দলটির দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গি, গাইবান্দার গোবিন্দগঞ্জ, নোয়াখালীর সেনবাগ, ফেনীর ছাগলনাইয়া-ফুলগাজী, মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর, ময়মনসিংহের ফুলপুর, ত্রিশাল, বরিশালের মেহিন্দিগঞ্জে, খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি, খুলনার দৌলতপুর, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, সফীপুর, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া, নেত্রকোনার কেন্দুয়া, চট্টগ্রামে সন্দ্বীপ ও বাঁশখালী, ঝালকাঠি, যশোর, ঝিনাইদাহের শৈলকুপা, নরসিংদীর রায়পুরা, রাজশাহীর কাশিডাঙ্গায় হামলা হয়েছে।

ওই ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তেলের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে আমাদের কর্মসূচিতে ৫০টির অধিক স্থানে হামলা হয়েছে, আহত হয়েছে প্রায় তিন শতাধিক ও গ্রেপ্তার হয়েছে প্রায় দুই শতাধিক। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে প্রায় ২০টার মতো জায়গায়, আসামি করা হয়েছে প্রায় দুই হাজার মানুষকে এবং মামলা করা হয়েছে ১৫টারও বেশি।

জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আমার সংবাদকে বলেন, নারায়ণগঞ্জের গড ফাদার শামীম ওসমানের নেতৃত্বে পুলিশ নির্বিচারে গুলি করে যুবদল কর্মী শাওনকে হত্যা করেছে এবং অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করেছে। পুলিশের গুলিতে আহত এখনো অনেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন হাসাপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হামলা করা হচ্ছে।

একই সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়ে, হত্যা  করে এখন তাদের বিরুদ্ধেই মামলা করার পাঁয়তারা করছে। আমরা এই সরকারকে আর ছাড় দেব না। দেশের মানুষ উঁকিয়ে আছে কবে শেখ হাসিনার বিদায় হবে। বিএনপি এবার রাজপথে থেকে এই সরকার বিদায় করার সব কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা আবার একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে পেতে চাই। আমরা আন্দোলন শুরু করেছি, আমাদের লক্ষ্য একটাই এই ভয়াবহ দানবীয় মনস্টার একটা শক্তি যারা ক্ষমতায় বসে আছে এদেরকে সরানো এবং এদের সরিয়ে গণতান্ত্রিক একটা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই সরকার আমাদের নিরপরাধ নেতাকর্মীদের গুলি করে হত্যা করছে।

Link copied!