জানুয়ারি ১০, ২০২৩, ০৩:৫৮ পিএম
- গণঅনশন, লংমার্চ, অবরোধ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাওয়ের ভাবনা
- ঢাকায় বৃহৎ জমায়েতের প্রস্তুতি; গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপি কৌশলী
- আরেকটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় তৎপর বিএনপি সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলার চেষ্টা
যে ছকে ঢাকায় কর্মসূচি-
পল্টনে থাকবে বিএনপি
মগবাজার কর্নেল অলি
প্রেসক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চ
পুরানা পল্টনে ১১ দল
বিজয়নগর ১২ দলীয় জোট
মতিঝিলে গণফোরাম
কাল নতুন কর্মসূচি আসবে। আমি মনে করি শিগগিরই আসবে সরকার পতনের নতুন কর্মসূচি
-আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান
আগামীকাল ঢাকা থেকে গণআন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি। দলটির সাথে যুগপৎভাবে একই কর্মসূচি দেবে ৩২টি দলসহ আরো কয়েকটি সমমনা দল। সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনসহ ১০ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দফায় কর্মসূচি ১১ জানুয়ারি বিভাগীয় শহরে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্য রাজনৈতিক দল ও জোটও একই দিনে একই কর্মসূচি রয়েছে। মানববন্ধন, লংমার্চ, গণঅনশন, সমাবেশের কর্মসূচি আসতে পারে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও, অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সরকারের ওপর চাপ তৈরির জন্য কূটনৈতিক উপায়কে বড় হাতিয়ার হিসেবে নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত বিএনপির। মানবাধিকার লঙ্গন ও দুর্নীতির বিষয়টি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা হচ্ছে। একটি বাহিনীর উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নতুন করে আরেকটি ইস্যু নিয়ে চলছে চেষ্টা। বর্তমানে আরেকটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় তৎপর দলটি। এতে সরকারের জন্য অস্বস্তি মাধ্যমে আন্দোলের ফসল ঘরে তোলা হবে।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সরকারবিরোধী ডান-বাম ঘরানার দলগুলোকে নিয়ে মাঠে নেমেছে এক সময়ে তিনবার রাষ্ট্র নেতৃত্ব দেয়া দলটি। সরকার বিরোধী দলগুলোকে এক সূত্রে গেঁথে একটি বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজপথে যুগপৎ আন্দোলন ইতোমধ্যে শুরু করেছে। যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি হিসেবে আগামী ১১ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। ওইদিন গণঅবস্থানে বড় জমায়েতের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। কর্মসূচি সফল করার জন্য ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে বিভাগীয় টিম গঠন করা হয়েছে। ব্যাপক লোকসমাগম ঘটনার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। ঐদিন গণ অবস্থান থেকেই নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে। বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলন অংশগ্রহণকারী সকল দলই এই কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু আমার সংবাদকে বলেন, ১১ জানুয়ারি থেকে আমাদের আন্দোলনের গতি বা গতিবেগ দিন দিন বাড়ানো হবে। নতুন কর্মসূচি আসবে। আমি মনে করি শিগগিরই আসবে সরকার পতনের নতুন কর্মসূচি। সেই আন্দোলনে সরকার পদত্যাগে বাধ্য হবে।
জানা গেছে, রাজপথের আন্দোলন জোরদারের মাধ্যমে দাবি আদায়ের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে দলটি। ১০ দফা দাবি আদায়ে মাঠে আছেন তারা। সাথে যুক্ত হয়েছে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ২৭ দফার রূপরেখা’ও।
বিএনপি নেতারা বলছেন, রাষ্ট্র একটি গর্তে পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে আবার উঠে দাঁড়ায়। বর্তমানেও রাষ্ট্র গর্তের মধ্যে আটকে আছে। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তারেক রহমানের নেতৃত্ব দরকার। ১০ দফা দাবি আদায়ের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে রাষ্ট্রকে দখলদারমুক্ত করতে হবে। এরপর ২৭ দফা রূপরেখা অনুযায়ী রাষ্ট্রের কাঠামো ঠিক করা হবে। এর মধ্যে নির্বাচন নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। বর্তমান রাষ্ট্র কাঠামোতে নির্বাচনে যাওয়ার পরিবেশ নেই। সরকারকে হটিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিবে বিএনপি।এরই মধ্যেই যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ১২ দলীয় জোট, ৭ দলের গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলের সমন্বয়ে ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণফোরামসহ কয়েকটি সংগঠন।
ইতোমধ্যে বিএনপির ১০ দফা ও রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখা নিয়ে জনমত গঠন করতে জেলায় জেলায় সফর করছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। ধারাবাহিক এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সক্রিয় ও ঐক্যবদ্ধ করা হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। বিএনপির পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনের থাকা দলগুলো আলাদাভাবে কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঢাকায় কর্মসূচি ব্যতীত দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে কর্মসূচি পালন করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দল ও সংগঠনগুলো।
বিএনপি নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা মহানগরী বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারের ভয়ে নেতাকর্মীরা বাড়িতে থাকতে পারছে না। কিন্তু হামলার মাধ্যমে চলমান আন্দোলনকে থামিয়ে রাখা যাবে না বলেও মনে করেন তারা। কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করার পরেও বিএনপি এবং সাধারণ সম্পন্ন করেছে এবারও গণঅবস্থান কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সফল হবে বলে মনে করেন বিএনপি নেতারা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডাক্তার এজেডএম জাহিদ হোসেন আমার সংবাদকে বলেন, আমাদের দলের সিদ্ধান্ত ১১ জানুয়ারি গণঅবস্থান কর্মসূচি বেলা ১১টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত নয়া পল্টনে অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে প্রস্তুতি যতটুকু গ্রহণ করা প্রয়োজন ততটাই নেওয়া হয়েছে। আশা করছি আমাদের গণ অবস্থান কর্মসূচি অতীতের কর্মসূচির মত সফল হবে। এছাড়া পুলিশের যে গণগ্রেপ্তার, ভুয়া মামলায় গ্রেপ্তার এটা তারা অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয় নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম বা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে লড়াই সেটা মামলা মোকাদ্দমা বা গ্রেপ্তার করে থামানো বা দমিয়ে রাখা যাবে না। কারণ ৭-৮ ডিসেম্বর আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করার পরেও বিএনপি নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ কর্মসূচি গুলো সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এবারও গণ অবস্থান কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সফল হবে বলে আশাবাদী।
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আমার সংবাদকে বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচির জন্য ব্যাপক প্রস্তুত নেওয়া হয়েছে। ১১ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নয়া পল্টনে বিএনপি কেন্দ্র কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। তিনি বলেন, বিএনপি নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও আমরা আমাদের নেতাকর্মীরা আন্দোলন কর্মসূচি থেকে পিছপা হইনি। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু আমার সংবাদকে বলেন, ঢাকায় গণবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপির ব্যাপক প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বরের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিদিন বিএনপির সঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে কেউ বাড়ি ঘরে থাকতে পারছে না। ৩০ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত শুধু দক্ষিণ বিএনপির অন্তত ৫০ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু দক্ষিণ নয়, ঢাকা উত্তর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদেরকেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার বন্ধ নেই, গ্রেপ্তার চলছেই।
তিনি বলেন, ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের আগ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুধুমাত্র ঢাকা দক্ষিণ বিএনপি`র ৩৭৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যুবদলের রয়েছে প্রায় দুই শতাধিকের মতো। যুবদলের রয়েছে ২৫০ জনের মত, স্বেচ্ছাসেবক দলের রয়েছে, উত্তর বিএনপি রয়েছে তিনশোর মত, উত্তর যুবদলের রয়েছে আড়াইশোর মত। সব মিলে পাঁচ হাজারের মতো বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গেছে, যুগপৎ আন্দোলন সফলের লক্ষ্যে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির নেতারা জোটের বাইরে থাকা বিভিন্ন দল ও সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বিভিন্ন দল ও জোটকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন দল ও সংগঠন জোট গঠন করে আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
১১ জানুয়ারি গণঅবস্থান কর্মসূচি: বিএনপির সাথে যে সকল গণ অবস্থান কর্মসূচিতে মাঠে থাকবে-১১ জানুয়ারি ১০ সাংগঠনিক বিভাগে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা গণঅবস্থানে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। রাজধানীর পূর্ব-পান্থপথস্থ এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। ঢাকা বিভাগের গণঅবস্থানে নেতৃত্ব দেবেন এলডিপির মহাসচিব ডক্টর রেদোয়ান আহমেদ। এই তথ্য জানিয়েছে এলডিপি যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১১ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা গণঅবস্থান করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের অন্যতম নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এই তথ্য জানিয়েছেন। একই সময়ে ১১টি দলের সমন্বয়ে গঠিত নতুন এই জোটের নাম ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ পুরানা পল্টন প্রিতম টাওয়ারের সম্মুখে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা জানান জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। অন্য ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কের সামনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গণঅবস্থান কর্মসূচি হবে বলে জানিয়েছেন জোটের নেতা ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। এদিকে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনে শরিক থাকবে গণফোরাম (একাংশ)। ১১ জানুয়ারি মতিঝিল নটরডেম কলেজের উল্টো দিকের রাস্তায় গণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বলে জানিয়েছেন গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
এছাড়া বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নিতে ১৫টি সংগঠনের সমন্বয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘সমমনা গণতান্ত্রিক জোট’। রোববার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশে আসে এই জোট।এছাদাও যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যসহ কয়েকটি সংগঠন।
১০ বিভাগে থাকবেন বিএনপির যেসব নেতা: বিএনপির বিভাগীয় গণঅবস্থান কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে কুমিল্লা বিভাগের দলনেতা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চট্টগ্রাম বিভাগের দলনেতা মো. শাহজাহান, ময়মনসিংহ বিভাগের দলনেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু, ঢাকা বিভাগের দলনেতা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, খুলনা বিভাগের দলনেতা শামসুজ্জামান দুদু, রাজশাহী বিভাগের দলনেতা বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, ফরিদপুর বিভাগের দলনেতা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার, সিলেট বিভাগের দলনেতা যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বরিশাল বিভাগের দলনেতা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল এবং রংপুর বিভাগের দলনেতা দলের যুগ্ম মহাসচিব হারুন-অর-রশিদ।
এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কর্মসূচি পালনে সমন্বয় করবেন সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। সদস্য হিসেবে থাকবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের অধিবাসী জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা, সাবেক এমপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি/আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিব, জেলা/মহানগর বিএনপির সভাপতি/আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিব/প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও যুগপৎ আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বাংলাদেশের কোনো মানুষ চায় না আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হোক। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাকশালী সরকারের কারণে দেশ যখন গর্তে পড়ে যায়, তখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশ আবার ঘুরে দাঁড়ায়। এখন ফ্যাসিবাদ সরকারের কারণে দেশ আবার গর্তে পড়েছে। এই গর্ত থেকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য তারেক রহমানের ১০ দফা। দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
কেএস