আবু ছালেহ আতিফ
এপ্রিল ২৬, ২০২৩, ০১:৫০ পিএম
আবু ছালেহ আতিফ
এপ্রিল ২৬, ২০২৩, ০১:৫০ পিএম
এলাকার আয়তন হিসেবে মশকনিধনকর্মী কম
—আশিক, মশক সুপারভাইজার
প্রায় এক থেকে দেড়শ বড় বদ্ধ জলাশয়। যেখানে করা হয় মাছচাষসহ নানান ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। আর জলাশয়ে জমে থাকা বদ্ধ পানির কারণে সৃষ্টি হচ্ছে মশার উপদ্রব। এমনকী মশার কামড় এমন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, মশার কামড়ের ভয়ে যদি রাত-দিন সবসময় মশারি টানিয়ে রাখতে হয়, তবেই এ অবস্থা থেকে কবে বের হতে পারবে ভুক্তভোগীরা। দক্ষিণ সিটির ৬৫নং ওয়ার্ডের মাতুয়াইলের বর্তমান অবস্থা অনেক দিন ধরেই এমন। তবে এমন অস্বাভাবিক মশার উপদ্রবের কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে পুরো মাতুয়াইলজুড়ে এসব বদ্ধ জলাশয় খুব নোঙরাভাবে পড়ে আছে।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিশনারের দাবি— এসব জলাশয়ের কারণেই অনেক চেষ্টা করেও এখানে মশার উপদ্রব কমানো যাচ্ছে না। এসব জলাশয়ের মালিকানায় রয়েছেন স্থানীয় বিভিন্ন প্রভাবশালী বাড়ির মালিক, প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং বিভিন্ন কোম্পানি। মনে হচ্ছে এগুলো দেখার যেন কেউ নেই। এ ছাড়াও মশার সৃষ্টির আরও অন্যতম যেসব কারণ রয়েছে সেগুলোও মাতুয়াইলে চলমান। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখার কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে। যার কারণে অনায়াসেই মশা পাড়তে পারে ডিম। সিটি কর্পোরেশনের কাছে ভুক্তভোগীদের দাবি— শিগগিরই এ অবস্থার অবসান হোক।
সরেজমিন মশার উপদ্রবের কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে, স্থির হয়ে কোথাও বসা বা কিছুই করা যায় না। দিন-রাত সবসময় মশা কামড়াতেই থাকে। মশার কামড় থেকে বাঁচতে সারাক্ষণ দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখতে হয়। এমনকী দিনের বেলায়ও মশারি টানিয়ে রাখতে হয় মাতুয়াইলে— বলছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজধানীর মাতুয়াইলে বসবাসরত কিছু বাসিন্দা। স্থায়ী ও অস্থায়ী এসব বাসিন্দাদের এখানকার (মাতুয়াইল) স্বাভাবিক জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে শুধু মশার কামড়ে।
রাজধানীতে মশার চাপ কমবেশি সবখানেই আছে কিন্তু মাতুয়াইলের মতো মশার অত্যাচার কোথাও নেই —দাবি ভুক্তভোগীদের। বিশেষ করে যাদের ঘরে ছোট বাচ্চা রয়েছে তাদের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।
সব মিলিয়ে অশান্তিতে আছেন মোমেনবাগ, আদর্শবাগ, রহমতপুর, মধুবাগ, মুসলিমনগর, মোগলনগর, খুরিয়াপাড়া, কেরানীপাড়া, দক্ষিণপাড়া, ভূইয়াবাড়ি, খানবাড়ি, রায়েরবাগ, হাশেম রোড, রায়েরবাগ খানকা, মাতুয়াইল মেডিকেল ও সাদ্দাম মার্কেট, তুষারধারা, গিরিধারা ও বিশ্বরোডের দক্ষিণ অংশের বাসিন্দারা। আবার আগের চেয়ে মশার উৎপাত কয়েকগুণ বেড়েছে। মশা বেড়ে যাওয়ায় কয়েলের দামও