Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ভোট বিশ্লেষণ: ফরিদগঞ্জ

দু’দশকের সর্বনিম্ন ভোটে এমপি সাংবাদিক শফিকুর রহমান

আতাউর রহমান সোহাগ, ঢাকা

আতাউর রহমান সোহাগ, ঢাকা

জানুয়ারি ১৬, ২০২৪, ০৭:১১ পিএম


দু’দশকের সর্বনিম্ন ভোটে এমপি সাংবাদিক শফিকুর রহমান
ছবি: আমার সংবাদ

গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে যে দু’জন প্রার্থী ১০ শতাংশের নিচে ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের একজন চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান। নির্বাচনে এ আসনটিতে নৌকা প্রতীক যে পরিমাণ ভোট পেয়েছে তা গত দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। মাত্র ৩৬ হাজার ৪৫৮ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী। ভোটারের হিসাবে তিনি মাত্র ৯.৮৭ শতাংশের সমর্থন পেয়েছেন।

এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে শফিকুর রহমান নৌকা প্রতীকে এক লাখ ৭৩ হাজার ৩৭৯ ভোট পেয়ে বিএনপির প্রার্থীর চেয়ে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে জয় লাভ করেন। তবে এবারের নির্বাচনে ফরিদগঞ্জে নৌকা পাঁচ গুণ কম ভোট পেয়েছে। তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সাংবাদিক শফিকুর রহমান ফরিদগঞ্জে নৌকার টিকেটে যে চারবার নির্বাচন করেছেন এবারই তিনি সর্বনিম্ন ভোট পেয়েছেন।

গত তিনদশকে দলটির নেতা-কর্মীরা চাঁদপুর-৪ আসনটিতে নৌকার ভোট বিপর্যয়ের এমন চিত্র আগে কখনো দেখেননি। এর আগে একাধিক নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী পরাজিত হলেও এতো কম ভোট পাননি কখনো। নৌকার প্রার্থীকে পড়তে হয়নি সর্বনিম্ন ভোটের রেকর্ড লজ্জায়। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের জনপ্রিয়তায় এমন ধসের জন্য ফরিদগঞ্জে সংগঠনটির অভ্যন্তরীণ গৃহবিবাদ আর অনৈক্যকে দায়ী করছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

ফরিদগঞ্জে নব্বই পরবর্তী নির্বাচন

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে তৎকালীন চাঁদপুর-৬ আসনে (বর্তমানে চাঁদপুর-৪) বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আলমগীর হায়দার খাঁন ৩৭ হাজার ৬৬১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তখন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাকারিয়া চৌধুরীর পেয়েছিলেন ২৭ হাজার ৩১৪।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আলমগীর হায়দার খান ৪৮ হাজার ৪৮২ ভোট পেয়ে আবারো জয় লাভ করেন। ওই নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শফিউল্লাহ পেয়েছিলেন ২৯ হাজার ৯২৪ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো বিএনপির প্রার্থী আলমগীর হায়দার খানের কাছেই পরাজিত হতে হয় আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আলমগীর হায়দার খানের প্রাপ্ত ভোট ৮৫ হাজার ৮৫৬। অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংবাদিক শফিকুর রহমান পেয়েছিলেন ৪৮ হাজার ৯২১ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ আসনে মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ২৩ হাজার ৫৯৭ জন। ওই নির্বাচনে ভোট পড়ে ১ লাখ ৭৭ হাজার ১১৪টি। ভোটের হার ছিল ৭৮.১৯ শতাংশ। নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হারুনুর রশিদ ৮৮ হাজার ৯০৫ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুর রহমানের প্রাপ্ত ভোট ৮১ হাজার ৮৩৮ ভোট। নির্বাচনে ৭ হাজার ৬৭ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয় ধানের শীষ।

দশম সংসদ নির্বাচন: ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. মোহাম্মদ শামসুল হক ভুঁইয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে কোনো ভোটের লড়াইয়ে নামতে হয়নি। আদালতের নির্দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হওয়ার পর এটি ছিল দলীয় সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচন।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুহম্মদ শাফিকুর রহমান নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট এক লাখ ৭৩ হাজার ৩৭৯। ওই নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির প্রার্থী মো. হারুনুর রশিদ ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৩০ হাজার ৭৯৯ ভোট। তবে দলীয় সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হওয়াসহ কারচুপির ব্যাপক অভিযোগ করে আসছিলো বিরোধী দলগুলো।

উপজেলা নির্বাচন: সর্বশেষ ২০১৯ সালে দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী বিপুল ভোটে জয় লাভ করে। যদিও ওই নির্বাচনে ভোটের স্বচ্ছতা নিয়ে তুমুল বির্তক রয়েছে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: সর্বশেষ একটি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) নির্বাচনী আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি। নির্বাচনে এ আসনে মোট ভোটার ছিলো ৩ লাখ ৬৯ হাজার ১২৯। নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৯৫ হাজার ৮৪০টি। প্রদত্ত ভোটের হার প্রায় ২৬ শতাংশ। এর মধ্যে ৩৬ হাজার ৪৫৮ ভোট পায় নৌকা। যা প্রদত্ত ভোটের ৩৮ শতাংশ। মোট ভোটারর ৯.৮৭ শতাংশ। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. শামছুল হক ভূঁইয়া ঈগল প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ৩৫ হাজার ৪২৫। ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জালাল আহম্মেদের প্রাপ্ত ভোট ১৮ হাজার ৭৬০। নির্বাচনে অংশ নেওয়া স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। নির্বাচনে বাকি পাঁচ প্রার্থী পেয়েছেন ২ হাজার ৪৩৩ ভোট। তারা সবাই জামানত হারিয়েছেন। এর মধ্যে আলোচিত ছিলেন বিএনএমের মহাসচিব ড. শাহজাহান।

সর্বমোট ১১৮টি কেন্দ্রের ফলাফলে ৬৪ কেন্দ্রে ভোটে এগিয়ে ছিল ঈগল, ৪৭ কেন্দ্রে নৌকা ও ৮টিতে ট্রাক। একটি কেন্দ্রে নৌকা ও ঈগল সমান সংখ্যক ভোট পেয়েছিলো। সর্বোচ্চ ৭১.৩৫ শতাংশ ভোট পড়ে পূর্ব বড়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। সেখানে ট্রাক প্রতীক পায় ১১২২ ভোট। এছাড়া লক্ষ্মীপুর গফুর চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫২.৭৬ শতাংশ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পড়ে। এখানে নৌকা পায় ১১৭৪ ভোট। এছাড়া তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোট পড়ে সাচনমেঘ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এখানে নৌকার প্রাপ্ত ভোট ১৭২৫। বালিথুবা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪১ শতাংশ ভোট পড়ে, এখানে ৮০৯ ভোট পায় নৌকা। সাফুয়া লিটল ফ্লাওয়ার একাডেমিতে ৪২ শতাংশ ভোট পড়ে। তবে ভোট খরার নির্বাচনে সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ হারে ভোট পড়ে মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাহেবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে।

এদিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা, ভোটার উপস্থিতি নিয়ে তীব্র বির্তক ও সমালোচনা রয়েছে। ঈগল প্রতীকের প্রার্থী চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ড. শামছুল হক ভূঁইয়া ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছে দাবি করে ফলাফল প্রত্যাখান করেন।

স্থানীয় পাঁচ জন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে তাদের মন্তব্য দিনের অধিকাংশ সময় ভোটকেন্দ্র ছিল ভোটার শূন্য। বিরোধীদল বিএনপিসহ সমমনাদের নির্বাচন বর্জন ও আওয়ামী লীগের অন্তঃকোন্দলের কারণে ফরিদগঞ্জে ভোটার উপস্থিতে ধস নেমেছে বলে মনে করেন তারা। এদিকে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ঈগল-ট্রাক সমর্থকদের অনেকেই নৌকা সমর্থকদের হামলার ভয়ে এলাকা ছাড়া। অনেকে আবার এলাকায় থেকেও মারধরের শিকার হচ্ছেন। নৌকা-ঈগল-ট্রাক-এর কর্মীরা সবাই আওয়ামী লীগের কর্মী হলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত আরও তীব্র হতে দেখা যাচ্ছে।

স্থানীয় নেতাদের বক্তব্য

ছাত্রলীগ: ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বাকি বিল্লাহ বলেন, ছাত্রলীগ চেষ্টা করেছে নির্বাচনে ভোট বিপ্লব ঘটাতে, তবে আশানুরূপ ভোটার উপস্থিতি হয়নি। কারণ হচ্ছে নির্বাচনের আগের দিন রাতে বিএনপি-জামায়াত ফটকা পুটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। এছাড়া নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে। বর্তমানে ঈগলের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাকে অপপ্রচার বলে দাবি করেন তিনি।

যুবলীগ: উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অবু সুফিয়ান শাহীন বলেন, নির্বাচনে বিএনপিসহ অন্যান্য দল ভোট বর্জন করায় ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে। এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বি ঈগলের প্রার্থী একজন মামলাবাজ লোক। তার ভয়ে আওয়ামী লীগের অনেক কর্মী ভোট কেন্দ্রে আসেনি। এছাড়া ফরিদগঞ্জে নৌকা-স্বতন্ত্রসহ তিন প্রার্থীই আওয়ামী লীগের ছিলেন। নৌকা-ঈগল-ট্রাক তিন প্রার্থী মিলে প্রায় ৯৩ হাজার ভোট পেয়েছে। আমি মনে করি সব ভোটই আওয়ামী লীগের ছিল।

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের পর এখানে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কিংবা থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে আমরা আগামীতে আওয়ামী লীগের বিভাজন কমানোর চেষ্টা করবো।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহম্মেদ ভূঁইয়া: উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তোফায়েল আহম্মেদ ভূঁইয়া বলেন, এ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে ফরিদগঞ্জে আ.লীগের সাংগঠনিক দুরবস্থার করুন চিত্র বেরিয়ে এসেছে। দলের ভোট ৪১ শতাংশ হলেও এখানে ভোট পড়েছে মাত্র ২৬ শতাংশ। তাহলে বাকি ভোটার গেলো কই। আমি মনে করি এখানে এমপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কর্মীদের দুরত্ব এবং সাংগঠনিক দুর্বলতাই দায়ী। আর নির্বাচনের পর যে সহিংসতা হচ্ছে তা নিন্দনীয় এবং দু:খজনক। এখন যাকে আঘাত করা হচ্ছে সেও দলের লোক।

আবু সাহেদ সরকার: ভোটার উপস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার বলেন, নির্বাচনের দিন আমি কমপক্ষে ৪০টি কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছি। এর মধ্যে কিছু কেন্দ্রে কোনো ভোটারই দেখিনি। একমুখী নির্বাচন হওয়াতে মানুষ আর ভোটে বিশ্বাস করবে না। তিনি প্রশ্ন করেন, সভা-সমাবেশে যারা এসেছিল নির্বাচনের দিন ওই ভোটাররা গেলো কই।

আবু সাহেদ সরকার আরও বলেন, নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি ভোটে অংশ না নিয়ে ভোটের আগের দিন রাতে উপজেলাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পাশাপাশি ফরিদগঞ্জে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নৌকার প্রার্থী এমপি শফিকুর রহমানের কোন সর্ম্পক নেই বললেই চলে। যার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে। নেত্রীর নির্দেশে আমি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছি। তবে নির্বাচনের পর ফরিদগঞ্জের চিত্র ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের আমলের চেয়ে ভয়াবহ। নব্য আওয়ামী লীগারদের হামলায় এলাকা ছাড়া ত্যাগীরা। বর্তমানে এখানে দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ বিভাজন থেকে উত্তরণের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন ।

এআরএস

Link copied!