আগস্ট ২৬, ২০২২, ০২:৩৮ পিএম
রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে আইসিসির ইভেন্ট কিংবা এশিয়া কাপ ছাড়া এখন আর ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ দেখা যায় না। আর তাই বিশেষ এ ম্যাচগুলো ঘিরে সমর্থকদের যেমন থাকে বাড়তি উন্মাদনা, তমনি সাবেক ক্রিকেটাররাও করেন ভবিষ্যদ্বাণী ও কথার কাদা ছোড়াছুরি।
এশিয়া কাপ শুরুর দ্বিতীয় দিনেই অর্থাৎ ২৮ আগস্ট মাঠে গড়াবে বহুল প্রতীক্ষিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।
উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকা ম্যাচটি ঘিরে অনেক কিংবদন্তিই নিজের মতামত জানিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি যদিও সরাসরি কাউকে ফেভারিট বলেননি, তবে কৌশলী উত্তরে জানিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে, টুইটারে এক অনুরাগী শহিদ আফ্রিদির কাছে জানতে চান, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোন দল শক্তিশালী এবং (এশিয়া কাপে) কারা জিতবে? আফ্রিদির জবাবটা ছিল কৌশলী। জানান, ‘কোন দল (ম্যাচে) কম ভুল করবে, এটা নির্ভর করছে তার ওপর।` অর্থাৎ, ম্যাচের দিন যে দল কম ভুল করবে, তারাই জিতবে ভারত-পাক লড়াইয়ে, এমনটাই মত আফ্রিদির।
কদিন আগে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই নিয়ে আইসিসির এক অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি রিকি পন্টিং এগিয়ে রাখলেন ভারতকেই। জানান, মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকবে ভারত এবং শিরোপাও জিতবে তারা।
পন্টিং বলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিংবা এশিয়া কাপ যেকোনো টুর্নামেন্টেই ভারতকে টক্কর দেয়া কঠিন। যেকোনো টিমের চেয়ে তাদের দলের গভীরতা বেশি। আর তাই মনে করি, এবারের এশিয়া কাপ ভারতই জিতবে।
ম্যাচটি ঘিরে ছড়াচ্ছে উত্তাপ। চলছে কথার লড়াই। যেন বাইশ গজের লড়াইয়ের আগে অন্য এক লড়াই। যে লড়াইয়ে শামিল সীমান্তের দুই পারের মানুষই।
পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনুস এবং সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার ইরফান পাঠানের মধ্যেও একচোট কথার লড়াই হয়ে গেল সামাজিক মাধ্যমে। যদিও কেউ কারো নাম ধরে আক্রমণ করেননি, তবে পরোক্ষভাবে যে কটাক্ষের কাজ সেরেছেন তা বলাই বাহুল্য।
শাহীন আফ্রিদির ইন্জুরি নিয়ে সাবেক পাক ক্রিকেটার ওয়াকার ইউনিস টুইট করে খোঁচা মেরেছেন ভারতীয় দলকে। বলেছেন, ভারতীয় টপ অর্ডারের জন্য বিশাল স্বস্তি নিয়ে এসেছে শাহীন আফ্রিদির ইনজুরি।
ওয়াকারের টুইট দেখে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন দেশটির সাবেক অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান। সোমবার এক টুইটে ইরফান লিখেছেন, ‘(জশপ্রীত) বুমরাহ এবং হার্শালের (প্যাটেল) এশিয়া কাপে না খেলাটা অন্য দলগুলোর জন্য স্বস্তির বিষয়।
ভারত স্কোয়াড
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), কে এল রাহুল (সহ-অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, দীপক হুডা, রিশভ পন্ত, দীনেশ কার্তিক, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহাল, রবি বিষ্ণোই, ভুবনেশ্বর কুমার, আর্শদীপ সিং ও আভেশ খান।
পাকিস্তান স্কোয়াড
বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), ফখর জামান, হায়দার আলি, হ্যারিস রউফ, ইফতেখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নেওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, নাসিম শাহ, শাহ নেওয়াজ দাহানি ও উসমান কাদির।