সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২, ১২:২৬ এএম
এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের দেখায় পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। আর সুপার ফোরে এসে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের শেষ ওভারে এক বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয়ে সেই প্রতিশোধ তুলে নিল পাকিস্তান।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত পাকিস্তান লড়াইয়ের শেষ হাসি হাসল পাকিস্তান।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেছেন বিরাট কোহলি। ৪৪ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪ বাউন্ডারি ও এক ছক্কা দিয়ে।
জবাব দিতে নেমে ১ বল হাতে রেখে জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫১ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলেছেন এই ওপেনার।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত শুরু করে ভারত। আগের ম্যাচগুলোতে ভারতের ওপেনিং জুটি সেভাবে ক্লিক করেনি। তবে আজ রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল মিলে শুরুর জুটিতেই তোলেন ৫৪ রান।
ষষ্ঠ ওভারে এই জুটি ভাঙেন হারিস রউফ। পাকিস্তানি পেসারের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে খুশদিল শাহের হাতে ক্যাচ দেন রোহিত। বিদায় নেন ১৬ বলে ২৮ রান করে। রোহিত ফেরার পর স্থায়ী হলেন না রাহুলও। ঠিক ২৮ রানের মাথায় তাঁকেও বিদায় কঢ়ে পাকিস্তান। শাদাব খানের বলে আউট হওয়ার আগে তিনি ২০ বলে করেন ২৮।
আগের ম্যাচে ঝড় তোলা যাদব এই ম্যাচে থিতু হতে পারেননি। জ্বলে ওঠার আগেই তাঁকে থামান মোহাম্মদ নেওয়াজ। তবে টিকে যান পুরোনো ছন্দে ফেরার আভাস দেওয়া কোহলি। পন্থের সঙ্গে কিছুক্ষণ দলকে এগিয়ে নেন তিনি।
তবে এই জুটিকেও বড় হতে দেননি শাদাব খান। ১৪ রানে পন্থকে নিজের শিকার বানান শাদাব। উইকেটে টিকতে পারেননি পান্ডিয়াও। তবে থিতু হয়ে ছিলেন কোহলি। তাঁর ব্যাটে চড়ে ভারত পায় শক্ত পুঁজি।
রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই হারায় অধিনায়ক বাবর আজমকে। ১০ বলে ১৪ করে ফেরেন পাকিস্তান অধিনায়ক। এই টুর্নামেন্টে এখনো জ্বলে উঠতে পারেননি বাবর।
এরপর উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি ফখর জামান। তাঁকে ১৫ রানে সাজঘরের পথ দেখান চাহাল। তবে জোড়া ধাক্কা খাওয়ার পরও দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। মোহাম্মদ নেওয়াজ আর রিজওয়ান মিলে গড়ে তোলেন ৭৩ রানের চমৎকার জুটি। স্ট্রাইক ধরে খেলেন রিজওয়ান আর তাণ্ডব চালান নেওয়াজ। এই জুটিতেই মূলত ম্যাচের নাগাল পেয়ে যায় পাকিস্তান।
ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দিয়ে ২০ বলে ৪২ রান করে ফেরেন নেওয়াজ। এরপর বাকিদের নিয়ে পাকিস্তানকে জয়ের নাগাল দেন রিজওয়ান। শেষ দিকে বাকি কাজ সারেন আসিফ আলি ও খুশদিল শাহ।
ইএফ