সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২, ০৯:৩৮ পিএম
পাকিস্তান জিতলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে এশিয়া কাপ ফাইনাল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তান নেমেছে সেটা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই। সেই লক্ষ্য পূরণের প্রাথমিক কাজটা সেরে ফেলেছেন পাকিস্তানের বোলাররা।
আফগানিস্তানের তো বিদায় নিশ্চিত হবেই, বিদায় হয়ে যাবে ভারতেরও। পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কার মধ্যে হবে ফাইনাল।
ফাইনাল নিশ্চিত করার এই ম্যাচে আফগানিস্তানকে মাত্র ৬ উইকেটে ১২৯ রানেই আটকে দিয়েছে বাবর আজমের দল। অর্থাৎ জিততে হলে করতে হবে ১৩০।
শারজায় এশিয়া কাপের মহাগুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইয়ে টস জিতে আফগানদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।
তবে টস হারলেও ব্যাটিংয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল আফগানিস্তান। ২৯ বলে ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন হজরতউল্লাহ জাজাই আর রহমানুল্লাহ গুরবাজ।
প্রথম ২ ওভারে ২০, ৪ ওভারে ৩৭; শুরুটা উড়ন্ত করেছিল আফগানিস্তান। ওভারপ্রতি তুলছিল প্রায় ১০ রান করে। তবে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরে পাকিস্তান। পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রানের গতি অনেকটাই কমে যায় আফগানদের।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে হারিস রউফকে টানা দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তৃতীয় বলেই ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন জাজাই। কিন্তু শর্ট থার্ডম্যান বাউন্ডারিতে সহজ ক্যাচ ড্রপ করেন নাসিম শাহ।
অবশ্য পাকিস্তানকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি উইকেটের জন্য। এক বল পরেই দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে গুরবাজকে (১১ বলে ২ ছক্কায় ১৭) বোল্ড করেন রউফ।
পরের ওভারে হাসনাইন বোল্ড করেন জাজাইকেও (১৭ বলে ২১)। ৭ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আফগানিস্তান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তারা তোলে ২ উইকেটে ৪৮ রান।
এরপরই রানের গতি কমে যায় আফগানিস্তানের। পাকিস্তানি বোলাররা রীতিমত চেপে ধরেন। প্রমোশন পেয়ে চার নম্বরে নেমেছিলেন করিম জানাত। কিন্তু ঠিক টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংটা করতে পারেননি। ১৯ বল খেলে মাত্র ১৫ রান করে মোহাম্মদ নওয়াজকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ হন জানাত।
১৪তম ওভারে শাদাব খানকে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। তবে পরিণতি ভালো হয়নি। ওই ওভারেরই শেষ বলে আরেকটি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লংঅনে ধরা পড়েন নাজিবুল্লাহ (১১ বলে ১০)।
পরের ওভারের প্রথম বলে আরও এক উইকেট হারায় আফগানরা। নাসিম শাহর দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ইনসাইডেজ হয়ে স্টাম্প হারান অধিনায়ক মোহাম্মদ নাবি, ফেরেন গোল্ডেন ডাকে। ৯১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে আফগানিস্তান।
ইব্রাহিম জাদরান ধীরগতিতে খেলছিলেন। ১৭তম ওভারে তাকে তুলে নেন হারিস রউফ। পাকিস্তানি পেসারের গতিময় এক ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন ইব্রাহিম (৩৭ বলে ৩৫)।
শেষদিকে রশিদ খানের ১৫ বলে ১৮ আর ওমরজাইয়ের ১০ বলে ১০ রানে ১২৯ পর্যন্ত গেছে আফগানিস্তান।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন হারিস রউফ। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন এই পেসার। আরেক পেসার নাসিম শাহ ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রানে নেন একটি উইকেট।