নভেম্বর ২২, ২০২২, ০৩:৪৫ পিএম
এখন পর্যন্ত চার বিশ্বকাপের মধ্যে ২০০৬, ২০১৪ ও ২০১৮ আসরে গোলের দেখা পেয়েছেন মেসি। শুধুমাত্র ২০১০ সালে কোনো গোল করতে পারেননি তিনি। বর্তমানে মেসির মোট গোল ৬টি। ২০০৬ সালে ১টি, ২০১৪ সালে ৪টি এবং ২০১৮ সালে ১টি গোল করেছিলেন তিনি। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ১০ গোল করেছেন বাতিস্তুতা। সাবেক এই তারকাবে টপকাতে ৫ গোল লাগবে এবার মেসির।
আজ মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে যাচ্ছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা দল। ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে বেশ কিছু রেকর্ডের সামনে মেসি। এবারের আসরে খেলতে নেমেই সর্বোচ্চ পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলা ক্লাবের সদস্য হবেন আর্জেন্টাইন এ তারকা।
কাতার বিশ্বকাপের আগে ২০০৬, ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৮ এই চার বিশ্বকাপ এক সঙ্গেই খেলেছেন মেসি ও রোনালদো। এর আগে মেক্সিকোর কিংবদন্তি গোলরক্ষক আন্তোনিও কারবাহাল, ডিফেন্ডার রাফায়েল মার্কেজ ও জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ জেতা মিডফিল্ডার লোথার ম্যাথিউস পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। এ পর্যন্ত চার বিশ্বকাপ খেলে ১৯টি ম্যাচ মাঠে নেমেছেন লিওনেল মেসি। রোনালদো সমান চারটি বিশ্বকাপ খেলে, মাঠে নেমেছেন ১৭টি ম্যাচে।
এ পর্যন্ত ফুটবল বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ২৫টি ম্যাচ খেলেছেন জার্মানির ম্যাথিউস। আর ৭টি ম্যাচ খেললেই ম্যাথাউসকে টপকে বিশ্বরেকর্ড গড়বেন মেসি। এ রেকর্ড টপকাতে ফাইনালে খেলতে হবে মেসির আর্জেন্টিনাকে। সেমি পর্যন্ত ৬টি ম্যাচ খেলবেন মেসি। গ্রুপপর্বে ৩টি, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমি মিলিয়ে মোট ৬টি। সেমিতে হেরে গেলে তৃতীয় স্থান নির্ধারণীসহ ৭টি ম্যাচ হবে মেসির। অথবা ফাইনালে উঠলেও এই আসরে ৭টি ম্যাচ হয়ে যাবে মেসির।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি জয় দেখেছেন জার্মানির সাবেক স্ট্রাইকার মিরোস্লাভ ক্লোসা। চার বিশ্বকাপে ১৭টি জয় আছে তার। অন্যদিকে মেসির ১২টি। এবারের আসরে গ্রুপপর্ব থেকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত সব ম্যাচ জিতলেই ক্লোসাকে পেছনে ফেলবেন মেসি।
অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেক্সিকোর সাবেক ডিফেন্ডার রাফায়েল মার্কেজ। এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনা, ১৬ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এছাড়া বিশ্বকাপে ১২ ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেসি। সেমিফাইনালে উঠলে মার্কেজকে ছাড়িয়ে যাবেন এই তারকা।
ইএফ