ডিসেম্বর ৯, ২০২২, ০৪:০০ পিএম
কাতার বিশ্বকাপের শেষ আটের লড়াইয়ে গতবারের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিলের। এই ম্যাচের আগে অতীত পরিসংখ্যান কিন্তু সেলেসাওদেরই পক্ষে। এখন পর্যন্ত চারবারের লড়াইয়ে তিনটিতে জিতেছে ব্রাজিল। যার মধ্যে দুটি আবার বিশ্বকাপে। একটি ড্রয়ে নিষ্পত্তি হয়েছে।
দুই দল সর্বমোট চারবার মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে ব্রাজিলই জিতেছে তিনটি ম্যাচ। বাকি এক ম্যাচ ড্র। এর মধ্যে বিশ্বমঞ্চে দুইবার মুখোমুখি হয় ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া। ২০০৬ বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে কাকার গোলে ইউরোপের দলটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল। ২০১৪ বিশ্বকাপেও গ্রুপপর্বে ক্রোয়েশিয়াকে হারায় লুইজ ফেলিপ স্কোলারির শিষ্যরা।
ম্যাচটিতে জোড়া গোল করেন নেইমার। এছাড়া অস্কারের পা থেকে আসে একটি গোল। শেষ পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়াকে ৩-১ গোলে হারায় সেলেসাওরা। অবশ্য ব্রাজিলের হজম করা গোলটি ছিল আত্মঘাতী। ওই গোলটি করেন মার্সেলো।
বিশ্বকাপের বাইরে দুই প্রীতি ম্যাচের মধ্যে প্রথমটিতে ২০০৫ সালে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল ব্রাজিল। ২০১৮ সালে সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচে জিতেছে ২-০ ব্যবধানে।
ক্রোয়েশিয়া কোচ জ্লাতকো দালিচ অবশ্য এই ম্যাচটাকে ‘ফাইনাল’ হিসেবে দেখছেন। চারবার বছর আগে ফ্রান্সের বিপক্ষে খেলা ফাইনালের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এই ম্যাচটা বহুল আকাঙ্ক্ষিত। গত বিশ্বকাপের ফাইনালের সঙ্গে এটাকে তুলনা করতে পারি। অসাধারণ প্রতিপক্ষ তাতে সন্দেহ নেই; চ্যালেঞ্জটাও বিশাল।’
এদিকে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা সবশেষ শিরোপা জিতে ২০০২ সালে। এরপর থেকে গত ৪ আসরে গ্রুপপর্ব পার হয়ে নকআউটে ইউরোপিয়ান কোনো দলের বিপক্ষে কখনো জিততে পারেনি ব্রাজিল। এদিন আবারও নকআউট পর্বের ম্যাচে ইউরোপীয় দলের মুখোমুখি হচ্ছে লাতিন আমেরিকার দলটি। ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে সেলেসাওরা কী পারবে এই খরা কাটাতে?
২০০৬ জার্মান বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ১-০ গোলে হারে ব্রাজিল। আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০১০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের কাছে হারে ২-১ গোলে। সবশেষ ২০১৪ ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হারে স্বাগতিক ব্রাজিল। এবারও কী একই পথে হাঁটবে সেলেসাওরা?
কেএস