Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব

কম পুঁজি বেশি লাভ কৃত্রিম মাঠে

মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো

মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো

অক্টোবর ৪, ২০২৩, ০৯:১৬ পিএম


কম পুঁজি বেশি লাভ কৃত্রিম মাঠে

সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২-৩টা পর্যন্ত কৃত্রিম ঘাসের তৈরি মাঠে ফুটবলপ্রেমী খেলোয়াড়েরা মেতে উঠেন ফুটবল খেলায়। ১৬ বছর থেকে ৫৫-৬০ বছরের মানুষ নিয়মিত খেলতে আসেন কৃত্রিম ঘাসের মাঠে। ঘণ্টা প্রতি ভাড়ায় খেলেন খেলোয়াড়রা। দুই হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা ঘণ্টায় গুণতে হয় খেলোয়াড়দের।

চট্টগ্রাম নগরীতে ফুটবল বা কোন খেলার মাঠ নেই বল্লে চলে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে বা একটু বিনোদনের জন্য কৃত্রিম ঘাসের মাঠে যাচ্ছেন বিভিন্ন বয়সীরা। কৃত্রিম ঘাসের মাঠের মালিকরা খেলোয়াড়দের আগ্রহ দেখে দাম বেশি নিচ্ছেন। পুঁজি অনুসারে অতিরিক্ত লাভের ব্যবসায় রুপ নিয়েছে কৃত্রিম ঘাসের খেলার মাঠ।

খেলোয়াড়ের অভিযোগ মাঠ ভাড়া বেশি নিচ্ছেন। সরকারকে কোন কর দিতে হচ্ছেনা। মাঠের ভাড়া কমানোর দাবি জানাচ্ছি। বর্তমান বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে সব কিছুর দাম নাগালের বাইরে। কোন বৈষম্য না রেখে সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে মাঠের ভাড়া কমানো উচিৎ।

বর্তমান মানুষের আয় অনুসারে ব্যয় অনেক গুণ বলে মাঠের ভাড়া কমানোর দাবি করেন চট্টগ্রাম কৃত্রিম ঘাসের মাঠের খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠিত টার্ফ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও ফেসবুকের জনপ্রিয় গ্রুপে চট্টগ্রাম লীগ অফ লিজেন্ড এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সামির আশফাক বলেন, চাকরিজীবী ব্যবসায়ী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ নিজের স্বাস্থ্যকে ফিট রাখার জন্য এবং মনের একঘেয়েমি দূর করার জন্য সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ফুটবল খেলায় মেতে উঠে কৃত্রিম ঘাসের মাঠে। মাঠের ভাড়া বেশি হওয়ার কারণে  যেখানে ৬ জনের বিপরীতে ৬ জন খেলতে পারবেন। সেখানে ৮ জন করে খেলতে গিয়ে খেলার সৌন্দর্য থাকেনা। একই ভাবে ৭’র স্থলে ৯ এবং ৯ এর স্থলে ১২-১৩জন খেলোয়াড় খেলতে হয়।

সুতরাং ভাড়া কমানো দরকার।আবার সরকার টার্ফ ব্যবসায়ীদের সকল সুযোগসুবিধার সাথে কর মুক্ত করার দাবি করেন তিনি।

খুব কম পুঁজিতে রাতারাতি পুঁজি তুলে লাভের পাহাড় দেখছেন টার্ফ ব্যবসায়। অধিকাংশ মালিকরা শুধুমাত্র কোন মতে কৃত্রিম মাঠ করে দিচ্ছেন ভাড়া। মাঠের ভাড়া অনুপাতে দিচ্ছেন না কোন সুবিধা।

যেমন সাওয়ার রুম লকার এবং গ্যালারি ইত্যাদি। খেলোয়াড়দের খেলা শেষে ঘাম গায়ে শুকিয়ে উল্টো স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে। নগরীতে প্রায় ৩০টির মতো কৃত্রিম ঘাসের মাঠ বা টার্ফ হয়েছে। এর মধ্যে কোনমতে মানসম্মত ১০টির অধিক হবেনা। কম পুঁজি বেশি লাভ হওয়ায় শহর ছেড়ে গ্রামেও গড়ে তুলেছেন কৃত্রিম ঘাসের মাঠ বা টার্ফ।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, প্রথমে কৃত্রিম ঘাসের মাঠ করে খেলোয়াড়দের খেলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মাঠ বা টার্ফ মালিকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।পাশাপাশি মাঠের পরিমাপ এবং সুযোগসুবিধা অনুসারে মাঠ ভাড়া রাখার অনুরোধ করেন।তিনি আরো বলেন মাঠের সুযোগসুবিধা এবং ভাড়া নিয়ে অভিযোগ উঠলে টার্ফ মালিকদের নিয়ে বসে একটি নীতিমালা করা হবে।

এআরএস

Link copied!