Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ফেডারেশন কাপ

শেষ আটে শেখ জামাল; রাসেলকে হারিয়েছে ফর্টিস

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২৩, ২০২৪, ০৭:১৭ পিএম


শেষ আটে শেখ জামাল; রাসেলকে হারিয়েছে ফর্টিস

ফেডারেশন কাপের ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) কিংস অ্যারেনায় রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে শেখ জামাল। ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন ফয়সাল আহমেদ। দিনের আরেক ম্যাচে মুন্সিগঞ্জে ফর্টিস এফসি ৩-১ গোলে হারিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে। 

এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি শেখ জামাল। প্রিমিয়ার লিগে চার ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে ধানমন্ডির ক্লাবটি। গত শুক্রবার লিগের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে ৩-০ গোলে উড়ে যাওয়ার ক্ষত এখনো শুকায়নি। সেই ক্ষত চিহ্ন নিয়েই মঙ্গলবার বসুন্ধরার কিংস অ্যারেনায় ফেডারেশন কাপের প্রথম ম্যাচটি খেলতে নেমেছিল ধানমন্ডির ক্লাবটি। এই জয় পরের ম্যাচগুলোতে শেখ জামাল দলের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় কি না, তা দেখার অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।

ম্যাচের একাদশ মিনিটে ইগর লেইতের নিচু শট সরাসরি গোলরক্ষক বরাবর যাওয়ার পর অষ্টাদশ মিনিটে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। বাম দিক থেকে জয়নাল আবেদিন দিপুর ক্রসে লাফিয়ে ওঠে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড অগাস্টিন। ৩১তম মিনিটে দৃষ্টিনন্দন ভলিতে কাছের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ফাহিম। বিরতির আগে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ মুঠোয় নেয় শেখ জামাল। 

৮৫তম মিনিটে শেখ জামালকে জয়ের পথে আরও এগিয়ে নেন সাজ্জাদ হোসেন। ইগরের পাসে ছোট বক্সের ভেতর থেকে প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান দাউদা সিসে। কিন্তু শেখ জামালকে চেপে ধরার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না মোটেও। বরং দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে কোনাকুণি শটে দলের দাপুটে জয় নিশ্চিত করে দেন ফাহিম।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে কিংসের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করেছিল ফর্টিস। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ম্যাচের দশম মিনিটে পা ওমর বাবৌয়ের সফল স্পট কিকে এগিয়েও যায় দলটি। বক্সে গাম্বিয়ার এই ফরোয়ার্ডই হয়েছিলেন ফাউলের শিকার। শেখ রাসেলকে ৫১তম মিনিটের গোলে আরও কোণঠাসা করে ফেলে ফর্টিস এফসি। পা ওমরের আড়াআড়ি ক্রস ক্লিয়ার করতে পারেননি ডিফেন্ডারদের কেউ। 

দূরের পোস্টে ফাঁকায় থাকা বাপ্পি কোনাকুনি শটে পরাস্ত করেন মিতুল মারমাকে। দুই মিনিট পর সতীর্থের পাস ধরে বক্সে ভালো জায়গায় বল পেয়েছিলেন পা ওমর, কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। 

৬৮তম মিনিটে বক্সের ঠিক ওপর থেকে দারুণ বাঁকানো ফ্রি কিকে বল জালে জড়িয়ে শেখ রাসেলকে ম্যাচে ফেরার উপলক্ষ এনে দেন সেলেমানি। ম্যাচে তাদের উজ্জ্বল মুহূর্ত বলতে এতটুকুই। তিন মিনিট পরই শেখ রাসেলের ঘুরে দাঁড়ানোর পথটা ফের কঠিন হয়ে যায়। পাল্টা আক্রমণ থেকে দলের তৃতীয় গোলটি করেন পা ওমর।
 

Link copied!