ক্রীড়া ডেস্ক
জানুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
ক্রীড়া ডেস্ক
জানুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
টানা দ্বিতীয়বারের মতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতলেন আরিয়ান সাবালেঙ্কা। ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কার পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন সাবালেঙ্কা। অন্যদিকে কোনো সেট না হেরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তিতে তিনি পঞ্চম। একপেশে ম্যাচে সাবালেঙ্কার কাছে পাত্তাই পাননি চীনের কিনওয়েন ঝেং।
বছরের প্রথম এই ওপেনে র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর খেলোয়াড় হিসেবে খেলতে এসেছিলেন এই খেলোয়াড়। যেখানে ফাইনালে তার প্রতিপক্ষ ১২তম বাছাই কিনওয়েন ঝেং। তবুও মেলবোর্নে দুজনের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি নিয়ে টেনিস বিশ্ব উচ্ছ্বাস নিয়ে অপেক্ষায় ছিল। তবে তাদের দুর্ভাগ্য, জমজমাট লড়াই দেখা গেল না ফাইনালে! কোনো সুযোগ না দিয়েই ঝেংকে ৬-৩, ৬-২ সেটে হারিয়েছেন সাবালেঙ্কা। ম্যাচটি শেষ হয়েছে মাত্র ৭৬ মিনিটে। যেখানে শুরুর ২ মিনিটেই প্রথম গেম জিতে নেন বেলারুশের ২৫ বছর বয়সী তারকা।
একটু পরই আবার তিনি ঝেংয়ের সার্ভ ব্রেক করে এগিয়ে যান ২–০তে। এরপর নিজের সার্ভ থেকে স্কোরলাইন করেন ৩-০! কিছু বুঝে ওঠার আগেই যেন ম্যাচটি হাত ফসকে যেতে থাকে ঝেংয়ের। ঝেং পরের গেমে ঘুরে দাঁড়ান। সহজেই জিতে স্কোরলাইন করেন ৩-১। কিন্তু নিজের সার্ভ পেয়ে সাবালেঙ্কা সেটা করে ফেলেন ৪-১। ম্যাচের তখন মাত্র ১৬ মিনিট কেটেছে। সাবালেঙ্কার প্রথম সেট জেতা যখন সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল, তখনই আবার ঘুরে দাঁড়িয়ে সাবালেঙ্কার সার্ভ ব্রেক করে সপ্তম গেমটি জিতে নেন ঝেং। পরের গেমটিও জিতে স্কোরলাইন করেন ৫-৩। কিন্তু প্রথম সেটটি ৯ গেমের ওপারে যেতে দেননি সাবালেঙ্কা। ৩৩ মিনিটেই ৬-৩ গেমে জিতে নেন প্রথম সেট।
সাবালেঙ্কা দ্বিতীয় সেটটা যেন আবার সেখান থেকেই শুরু করেন। ঝেংয়ের সার্ভ ব্রেক করে প্রথম গেম জয়ের পর নিজের সার্ভে করেন ২-০। তৃতীয় গেমেই অবশ্য ঝেং ঘুরে দাঁড়ান। কিন্তু দৌড়টা ওই পর্যন্তই। এবারের সেটটা সাবালেঙ্কা শেষ করেন ৮ গেমের মধ্যে, জেতেন ৬-২ গেমে। এই সেটের শেষ দিকে চারবার চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট সেভ করে সাবালেঙ্কাকে ম্যাচ পয়েন্টটা নিতে কিছুটা বিলম্ব করানো ছাড়া আর কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেননি ঝেং। ফলে একেবারে একপেশে জয় সাবালেঙ্কার।
এ নিয়ে দু’বার টেনিসের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন সাবালেঙ্কা। অথচ ক্রীড়ার এই অন্যতম জনপ্রিয় ইভেন্টে তার আগমনটা ছিল ব্যতিক্রম। সাবালেঙ্কার বাবা ছিলেন আইস হকি খেলোয়াড়। হঠাৎ করেই টেনিস শুরু করেন তার মেয়ে। রাস্তায় টেনিস কোর্টের খেলা দেখেই নাকি তার শুরু, এ নিয়ে সাবালেঙ্কা বলেছিলেন, বাবার সঙ্গে গাড়িতে করে কোথাও যাচ্ছিলাম। রাস্তায় টেনিস কোর্ট দেখে বাবাকে গাড়ি দাঁড় করাতে বলি। খেলা দেখে ভাল লেগে যায়। এরপরই ইচ্ছা হয় টেনিস খেলার। বাবা ভর্তি করে দেওয়ার পর থেকেই শুরু।
এদিন একটি সার্ভেও ঝেংকে সুযোগ না দেওয়া সাবালেঙ্কা মনে করিয়ে দিয়েছেন সাবেক কিংবদন্তি সেরেনা উইলিয়ামসকে। ২০০৭ সালে সাবেক এই মার্কিন তারকা একটি সার্ভও না হেরে ফাইনাল জিতেছিলেন। সাবালেঙ্কাও আজ সেটাই করে দেখালেন। তার আক্রমণাত্মক টেনিসের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারলেন না চিনের টেনিস তারকা।