ক্রীড়া প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম
ক্রীড়া প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম
ক’দিন আগেই শেষ হয়েছে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা। তবে টুর্নামেন্টের ইতি ঘটেছে নানা নাটকীয়তায়। ভারত-বাংলাদেশ ফাইনাল যেমন হওয়ার কথা ঠিক তেমনই হয়েছে। চরম উত্তেজনার ম্যাচ শেষ হয় ১-১ সমতায়। এরপপরেই কি ভুলটাই না করে বসলেন সাফের এই ম্যাচ কমিশনার! বাইলজে টসের কথা কোথাও উল্লেখ নেই, তবুও আচমকাই ম্যাচ কমিশনার ডি সিলভা জয়াসুরিয়া রেফারিকে ডেকে নিয়ে টসের মাধ্যমে শিরোপা নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত দেন।
মুদ্রা নিক্ষেপের লড়াইয়ে ভারত জিতে যাওয়ার পর বাইলজের প্রসঙ্গ টেনে আপত্তি জানায় বাংলাদেশ। পরে অনেক আলোচনার পর যৌথভাবে দুই দলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়। তারপর নানা নাটকীয়তার পর দু দলকেই যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। ভারত শিরোপা নিয়ে ঘরে ফিরেছিল ফাইনালের পর। বাংলাদেশের মেয়েরা ট্রফি বুঝে পেল রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি)।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনের সামনের মাঠে হওয়া আয়োজনে মুঠোভরে পেয়েছেন সাগরিকা। সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারের পাশাপাশি এই উঠতি ফরোয়ার্ড পেয়েছেন সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতিও। ফাইনালের পরই ভারত দল দেশে ফিরে যাওয়ার সময় ট্রফি নিয়ে যায়। ১০ দিন পর ট্রফি বুঝে পেল বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে ৪টি করে গোল করেন তিন জন-সাগরিকা এবং ভারতের পুজা ও শিবানি দেবি। তিন জন যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। নেপালের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জেতা ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন সাগরিকা। এরপর রাউন্ড রবিন লিগে ভারতকে ১-০ ব্যবধানে হারানো ম্যাচে জয়সূচক গোলটিও করেন তিনি।
ফাইনালে শিবানির গোলে এগিয়ে যাওয়া ভারত শিরোপা পথেই ছিল। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে বাংলাদেশকে সমতার স্বস্তি এনে দেন সাগরিকা। টুর্নামেন্ট জুড়ে আক্রমণভাগে দ্যুতি ছড়ানো এই ফরোয়ার্ড তাই হয়েছেন সেরা খেলোয়াড়। টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার খবরটা এদিনই পেয়েছেন তিনি।
সাগরিকা বলেন, আজ সকালেই জেনেছি, আমি সর্বোচ্চ গোলাদাতা হওয়ার সাথে সাথে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও পেয়েছি। টিভিতে নাকি আব্বা-আম্মা আগে দেখেছিল, কিন্তু তারাও আমাকে কিছু বলেনি। আমি জেনেছি সকালে। এই পর্যায়ে (অনূর্ধ্ব-১৯) এটা আমার প্রথম টুর্নামেন্ট। দুই পুরস্কার পেয়ে অনেক ভালো লাগছে।