ক্রীড়া ডেস্ক
ডিসেম্বর ৮, ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
ক্রীড়া ডেস্ক
ডিসেম্বর ৮, ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
টুর্নামেন্টে এর আগেও খুব বেশি বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। সর্বোচ্চ ছিল ২২৮ রান। দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে সেই সংগ্রহ পর্যন্তও যেতে পারেনি আজিজুল হাকিমের দল। গুটিয়ে গেছে ১৯৮ রানে। অর্থাৎ, শিরোপা ধরে রাখতে হলে এখন মূল কাজটা বোলারদেরই করতে হবে।
বাংলাদেশের সংগ্রহটা আরও কমও হতে পারত। স্কোর ২০০ রানের কাছাকাছি হয়েছে মূলত নবম উইকেটে ফরিদ হাসান ও আল ফাহাদের ৩১ রানের জুটির কল্যাণে। ১৬৭ রানেই ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য আশা জাগানিয়া ছিল। প্রথম ওভারে যুধাজিৎ গুহর বলে ছক্কা মেরে বাংলাদেশের রানের খাতা খোলেন জাওয়াদ আবরার। অন্য প্রান্তে কালাম সিদ্দিকী অবশ্য রান বের করতে পারছিলেন না।
যুধাজিতের বলে আউট হন ১৬ বলে ১ রান করে। জাওয়াদও আউট হন পাওয়ার প্লে শেষ হতেই, ২০ রান করে। রানের মধ্যে থাকা আজিজুল হাকিমও আজ ইনিংস বড় করতে পারেননি, আউট হন ১৬ রানে। আজিজুলের উইকেট বড় ধাক্কা হয়ে আসে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিভাগে। কারণ, এই টুর্নামেন্টে এক সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে অনেকটা একাই টানছিলেন আজিজুল।
মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শিহাব আজও বড় ইনিংসের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। সেমিফাইনাল ২৬ রান করা শিহাব আজ ফিরেছেন ৪০ রান করে। শিহাব যখন আউট হন, বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১২৮।
সেখান থেকে ৩৯ রান যোগ করতে বাংলাদেশ হারায় আরও ৪ উইকেট। এই সময়ে ৪৭ রান করা রিজান হোসেনকেও হারায় বাংলাদেশ। এরপর ফরিদ-ফাহাদ জুটিতে ২০০ রানের গণ্ডি পারের সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত সেটা আর হয়নি। ৪৯.১ ওভারে বাংলাদেশ ১৯৮ রানেই থেমে যায়। ভারতের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার যুধাজিৎ, চেতন ও বাঁহাতি স্পিনার হার্দিক।
এখন দেখা যাক বাংলাদেশের বোলাররা কেমন করেন। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক বাংলাদেশ দলের দুই পেসার আল ফাহাদ ও ইকবাল হোসেন। দুজন নিয়েছেন ১০টি করে উইকেট। ফাইনালেও নিশ্চয়ই তাঁদের জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় থাকবেন আজিজুলরা।
আরএস