স্পোর্টস ডেস্ক
ডিসেম্বর ১১, ২০২৪, ১১:০১ এএম
স্পোর্টস ডেস্ক
ডিসেম্বর ১১, ২০২৪, ১১:০১ এএম
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও একই পরিণতি বাংলাদেশের। স্বাগতিকদের কাছে পাত্তাই পায়নি টাইগাররা৷ আবারো সঙ্গী হয়েছে বড় ব্যবধানে হার। সেই সাথে এক ম্যাচ হাতে রেখে হাতছাড়া হয়েছে সিরিজও৷ ভেঙেছে এক দশকের দাপুটে সাম্রাজ্য।
গত ছয় বছরে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে হারেনি বাংলাদেশ, সেই তাদের বিপক্ষে এক দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার হারলো টাইগাররা। মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হার ৭ উইকেটে।
তাতে থেমেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের অপরাজেয় যাত্রা। ক্যারিবীয়দের কাছে ১০ বছর পর ওয়ানডে সিরিজ হাতছাড়া করল টাইগারর৷ ২০১৪ সালে যা ঘটেছিলো শেষবার।
এ দিন সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে টসে হেরে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ। ব্যাটিং করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়া দলটা শেষ পর্যন্ত ৪৫.৫ ওভারে ২২৭ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে ১৩ ওভার ১ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
রান তাড়ায় চাপ নেয়নি স্বাগতিকেরা৷ দেখেশুনে উদ্বোধনী জুটিতেই এভিন লুইস ও ব্রেন্ডন কিং মিলে যোগ করেন ১০৯ রান। বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচটা ফসকে যাওয়া তখব কেবল সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
২০.১ ওভারে ৪৯ রান করে রিশাদ হোসেনের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন লুইস। তবে কোনো চাপই আসতে দেননি কিং। তিনে নামা কেসি কার্টিকে নিয়ে আরো ৬৬ রান যোগ করেন তিনি। দলীয় ১৭৫ রানে ভাঙে এই যুগলবন্দী।
নাহিদ রানার বলে বোল্ড হবার আগে ৭৬ বলে ৮২ রান করেন কিং। এরপর ফিফটি থেকে পাঁচ রান দূরে থাকতে আফিফের শিকার হোন কার্টি। তবে চতুর্থ উইকেটে শেরফান রাদারফোর্ড এবং শাই হোপ মিলে ৩৩ রানের জুটি গড়ে দ্রুতই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
হোপ অপরাজিত ছিলেন ১৭ রানে। রাদারফোর্ডের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। বাংলাদেশের হয়ে নাহিদ রানা, রিশাদ ছাড়া অন্য একটা উইকেট নেন আফিফ।
এর আগে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দ্রুতই বেরিয়ে আসে ইনিংসের লেঁজ। তবে অষ্টম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম মিলে ৯২ রান যোগ করলে ৪৫.৫ ওভারে ২২৭ রানে পর্যন্ত পৌঁছায় টাইগাররা।
বাংলাদেশের শুরুটা ছিলো আজও আক্রমণাত্মক। তবে হেসেছে কেবল তানজিদ তামিমের একার ব্যাট। সৌম্য ফেরেন ৩.১ ওভারে সিলসের প্রথম শিকার হয়ে ৫ বলে ২ করে। থিতু হতে চেষ্টা করেও ১৯ বলে মাত্র ৫ রান করতে পারেন লিটন।
সিলশের হাত থেকে রক্ষা পাননি মেহেদী মিরাজও। বাংলাদেশ অধিনায়ক ফেরেন ১ রানে। ৩ উইকেট হারালেও পাওয়ার প্লেতে ৫৫ রান আসে কেবল তানজিদ তামিমের কল্যাণে। তামিম থামেন প্লে শেষ হতেই। ৩৩ বলে ৪৬ রান করে।
এরপর আফিফ হোসেন আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখলেও তা উড়ে যেতে সময় লাগেনি। ৩৬ যোগ হতেই ভাঙে জুটি। আফিফকে ফেরান মোতি। জাকের আলি (৩), রিশাদ হোসেনও (০) থিতু হতে পারেননি।
তাতে ২৫.৩ ওভারে ১১৫ রানে ৭ উইকেট হারায় টাইগাররা। তবে এরপরেই মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম সাকিব ধরেন দলের হাল। সময় উপযোগী জুটি গড়েন দু`জনে। তানজিম উপহার দেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
যদিও ফেরেন ফিফটি না স্পর্শ করতে পারার আক্ষেপ নিয়ে, ৬২ বলে ৪৫ রানে। তবে মাহমুদউল্লাহ টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত ৪৪.১ ওভারে সিলসের চতুর্থ শিকার হবার আগে করেন ৯২ বলে ৬২ রান। শরিফুল করেন ৮ বলে ১৫ রান।
বিআরইউ