ক্রীড়া ডেস্ক
জানুয়ারি ১১, ২০২৫, ০৭:১০ পিএম
ক্রীড়া ডেস্ক
জানুয়ারি ১১, ২০২৫, ০৭:১০ পিএম
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সফল ব্যাটার তামিম ইকবালকে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যাবে না। গতকাল শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন। এই তারকা ওপেনারের বিদায়ে সতীর্থরা যেমন আবেগাপ্লুত, তেমনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকেও জানানো হয়েছে বিশেষ বার্তা।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিসিবি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে তামিম ইকবালের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি পোস্ট প্রকাশ করেছে। তামিমের ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ওপেনার তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটেছে এক অসাধারণ অধ্যায়ের। অগণিত স্মরণীয় মুহূর্ত আর দারুণ সব সেঞ্চুরিতে আপনি ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে চিরকাল উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন।’
তামিমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিসিবি আরও লিখেছে, অসম্ভবের বিপক্ষে লড়াই করে জয় চিনিয়ে আনা, আমাদের বিশ্বাস করতে শেখানো, স্বপ্ন পূরণের অনুপ্রেরণা দেওয়া, নতুন করে আশা জাগানো এবং আমাদের আবার স্বপ্ন দেখতে শেখানোর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ব্যাটারদের একজন হিসেবে অবসরে গেলেন তামিম ইকবাল। তার অসাধারণ ক্যারিয়ারে রয়েছে অসংখ্য রেকর্ড। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক (৮ হাজার ৩৫৭ রান) তামিম, যা তাকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫টি সেঞ্চুরির মালিকও তিনি।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি (১৪টি) করেছেন তামিম। এছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান হওয়ার গৌরবও তার। তার ঝুলিতে রয়েছে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৫০ ছাড়ানো ইনিংস (১১৯টি)।
তামিম শুধু রান সংগ্রাহকই ছিলেন না, বরং অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ জয়ের অন্যতম পথপ্রদর্শকও ছিলেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল বহু স্মরণীয় জয় পেয়েছে।
তামিমের বিদায়ে ভক্তদের হৃদয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ তার অবদান স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়েছেন, কেউবা তার অবসরের সময় নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তবে সবাই একমত যে, তামিম ইকবাল বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায়।
তামিমের বিদায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক যুগের সমাপ্তি ঘটল, যা বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের স্মৃতিতে চিরকাল অম্লান হয়ে থাকবে।
আরএস