আমার সংবাদ ডেস্ক
এপ্রিল ১৭, ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
এপ্রিল ১৭, ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম
‘নেইমার জুনিয়র’ আর ‘ইনজুরি’ যেন ছায়া-সঙ্গীর মতো। দেশের জার্সি হোক কিংবা ক্লাব ফুটবল, গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বারবার ছিটকে পড়া— ক্যারিয়ারের ট্র্যাজেডি যেন একটাই। এবারও ব্যতিক্রম হলো না।
ভিলা বেলমিরোতে সান্তোসের জার্সিতে শততম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন নেইমার। গ্যালারি ছিল উচ্ছ্বাসে ভরা, মুহূর্তটা ছিল উৎসবমুখর। কিন্তু সেই স্বপ্নময় দিনটা ভেসে গেল চোখের জলে। ম্যাচের ৩৪ মিনিটেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
মাত্র পাঁচ দিন আগে চোট কাটিয়ে ফিরেছিলেন মাঠে। ফিরেই আবার ছিটকে পড়া যেন হয়ে উঠছে তার নিয়তি। মাঠে পড়েই কাতরান, পরক্ষণেই শুরু হয় কান্না। স্ট্রেচারে করে যখন মাঠ ছাড়ছেন, চোখের পানি তখন যেন সব প্রশ্নের জবাব দিচ্ছে— কবে শেষ হবে এই ইনজুরির পালা?
সান্তোস শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে জিতলেও নেইমারের ইনজুরি ছিল দিনটির প্রধান আক্ষেপ। মাঠে সতীর্থদের সান্ত্বনা কিংবা গ্যালারির ভালোবাসা— কিছুই থামাতে পারেনি তার কান্না।
সান্তোস ক্লাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছে, ‘প্রিন্স! পুরো সান্তোস তোমার সঙ্গেই আছে।’
নেইমার শেষ কবে একটি মৌসুম পূর্ণ খেলেছেন, তা খুঁজতে হলে ফিরতে হবে ২০১৬–১৭ মৌসুমে, তখন অন্তত ৩৫ ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। এরপর প্রায় প্রতি মৌসুমেই ইনজুরি তাকে বসিয়ে রেখেছে মাঠের বাইরে।
এমন দিনে চোট পাওয়া নেইমারের জন্য শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও কঠিন এক ধাক্কা। ভক্তদের জন্যও এক দীর্ঘশ্বাস— যে মুহূর্তটা হতে পারত স্মরণীয়, সেটাই হয়ে গেল যন্ত্রণার প্রতীক।
বিআরইউ