শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
জুলাই ৪, ২০২২, ০৩:১৩ এএম
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
জুলাই ৪, ২০২২, ০৩:১৩ এএম
শরণখোলায় কোরবানির হাট মাতাতে আসছে ৩২ মণ ওজনের ‘অগ্নি’। গরুটির দাম চাওয়া হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। চিতলমারী উপজেলায় ‘রাজাবাবুর’ পর এই অগ্নিই জেলার মধ্যে এখন পর্যন্ত এ বছরের সেরা।
শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের রাজেশ্বর গ্রামের হালিমা ডেইরি ফার্মে দুবছর ধরে লালন-পালন করা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান ফিজিয়ান জাতের সাদা-কালো মিশ্রণের ৩২ মণের এই অগ্নিকে।
ফার্মের পরিচালক কলেজছাত্র মো. জাবের হোসেন বলেন, তার ফার্মেই দুবছর আগে জন্ম হয় অগ্নির। সেই থেকে অতিযত্নে লালন-পালন করা হয় গরুটিকে। তাকে সয়াবিনের খৈল, গমের ভুসি, মুগডালের ভুসি ও নেপিয়ার ঘাস খাওয়ানো হয়।
তবে কোনো ধরনের মোটা-তাজাকরণের ক্ষতিকর খাবার খাওয়ানো হয়নি। বর্তমানে প্রতিদিন খাবার হিসেবে তার জন্য প্রায় এক হাজার টাকার মতো খরচ হয়। খাবার ও অন্যান্য মিলিয়ে দুই বছরে প্রায় চার লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে অগ্নির পেছনে।
জাবের হোসেন জানান, অগ্নির দাম চাওয়া হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। গত শনিবার সকালে এক ব্যবসায়ী ১০ লাখ টাকা দাম বলেছেন। তবে ১২ লাখ হলে বিক্রি করার আশা তার। তার ফার্মে অগ্নি ছাড়াও ফিজিয়ান জাতের ১২টি গাভিসহ মোট ১৫টি গরু রয়েছে। তার জানামতে জেলার মধ্যে অগ্নিই এ বছরের সবচেয়ে বড় গরু।
ফার্মার জাবের হোসেন এ বছর শরণখোলা সরকারি কলেজ থেকে বিবিএ পাস করেছেন। তিনি ফার্ম পরিচালনার ষ এরপর পাশাপাশি লেখাপড়াও চালিয়ে যাচ্ছেন। এই গরুটি দেখার জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসে তার ফার্ম পরিদর্শনে।
এ ব্যাপারে শরণখোলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট সিরাজুল ইসলাম জানান, শরণখোলার ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় গরু বলে জানা গেছে। গরু লালন-পালনের জন্য তারা ফার্মারদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত তারা খোঁজ-খবর রাখছেন।
তিনি আরও জানান, হালিমা ডেইরি ফার্মের এই গরুটি এলাকার জন্য অনুকরণীয়। এতে অনেকেই গরু পালনে উৎসাহিত হবেন।