জুলাই ১৪, ২০২২, ১২:৪৯ এএম
শ্রীলঙ্কা জ্বলছে! গণবিক্ষোভে উত্তাল কলম্বো। জরুরি অবস্থা জারি। অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে। নজিরবিহীন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট। বিক্ষোভের মধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন দেশটির নয়া প্রধানমন্ত্রী। এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে সামরিক বিমানে দেশ ত্যাগ করেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। দেশ ছাড়ার খবরে কলোম্বোর রাস্তায় বের হয়ে আসেন লাখ লাখ বিক্ষোভকারী। তারা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও পার্লামেন্ট ভবনের কাছে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দখলে নিয়ে নেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ ও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। কারফিউ উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে অবস্থানরত আন্দোলরতদের হটাতে সক্ষমতা হারিয়ে ফেলে দেশটির বাহিনী। উত্তেজিত বিক্ষোভকারীদের ওপর দৃষ্টি রেখে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে সেনাবাহিনী অবস্থান নিয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। রাজনৈতিক দলটির ওপর সাধারণ জনগণের এতই আক্রোশ এতই ক্ষোভ যে, অবস্থানকারীদের এখনই সরানো যাচ্ছে না। তবে নয়া প্রেসিডেন্ট সামরিক বাহিনীকে শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দেন। অন্যদিকে, ২০ জুলাই শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট ভোট হবে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির স্পিকার।
এ পরিস্থিতি অন্যান্য দেশেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশকে সর্ব অবস্থায় সতর্ক থাকার কথা বলছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে অভিজ্ঞরা।
তারা বলছেন, শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির উৎস অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা। ওই দেশের কিছু দৃশ্যপট বাংলাদেশেও রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে রয়েছে কিছু দেশের নিষেধাজ্ঞা। যদিও বাংলাদেশ সব সময় অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ও রাজনৈতিক পদক্ষেপে সবসময় দূরদর্শিতা দেখিয়ে আসছেন। যেমন করোনা দুঃসময়ে গার্মেন্ট খুলে দিয়েছেন। রাজনৈতিক ক্ষোভ ও মতামতগুলো সবসময় সতর্কতার সাথে সমাধান করেছেন।
যেহেতু ভারতসহ অনেক দেশ এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করছে তাই বাংলাদেশকেও সতর্ক থাকতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে। কেননা, অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে জনগণের মধ্যে যখন গণবিস্ফোরণ ঘটেছে সে দেশের সরকার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সব ধরনের সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।
শ্রীলঙ্কায় নাক গলালে ভারতও চীনের মতো বিপদে পড়বে : কলম্বোর রাজনৈতিক গতিপথ কোন দিকে যাচ্ছে বা কারা আগামী দিনে দেশের কর্তৃত্ব নিতে পারে, তা নিয়ে এই মুহূর্তে ভারতের ধারণা যে খুব স্বচ্ছ নয় তা অবশ্য পরিষ্কার। দিল্লিতে পররাষ্ট্রনীতির বিশেষজ্ঞ ও শ্রীলঙ্কা পর্যবেক্ষক সুরেশ কে গোয়েলের মতে, ভারতের সেটা আন্দাজ করারও কোনো দরকার নেই— বরং শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলাতে গেলে ভারত বিরাট ভুল করবে।
মি গোয়েল বলছিলেন, ‘সেখানকার রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে ভারতের পুরোপুরি দূরে থাকা উচিত— নইলে কিন্তু ভারতও চীনের মতো একই ধরনের বিপদে পড়বে।’
চীন এক সময় শ্রীলঙ্কাতে খুব অ্যাক্টিভ ইন্টারেস্ট দেখিয়েছিল, এখনো হাম্বানটোটা বন্দরের পরিচালনার রাশ তাদেরই হাতে— কিন্তু বর্তমান সংকটে তারা কোনো সক্রিয়তা দেখাচ্ছে না বললেই চলে, বরং খুব সাবধানে পা ফেলছে।
গোয়েলের মতে, শ্রীলঙ্কার মানুষ চীনের ওপর ক্ষেপে আছে। তবে ভারতের সাহায্যও মানবিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই সীমিত রাখা উচিত হবে। কোনো রাজনৈতিক বার্তা দিতে গেলে ভারত কিন্তু শ্রীলঙ্কার সাথে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ককেই হুমকির মুখে ফেলবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ আমার সংবাদকে বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কায় যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আমাদের বাংলাদেশকে সতর্ক থাকতে হবে। শ্রীলঙ্কা সরকার সে দেশের অর্থনৈতিক যে বিপর্যয় ঘটেছে সেটি সমাধানে আনতে পারেনি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। আমাদের বাংলাদেশেও কিছু কিছু দৃশ্যপথ রয়েছে, তবে পুরোপুরি নয়। আমাদের মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি দেশ থেকে বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, রাজনৈতিক বিতর্ক সবসময় থাকে তাই বাংলাদেশ সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাজনৈতিক দূরদর্শিতা বিষয় আরো দক্ষতার প্রমাণ রাখতে হবে।’
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ আমার সংবাদকে বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কা পরিস্থিতির উৎস অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা। তাই শ্রীলঙ্কা যে বিষয়গুলোর সংকটের কারণে পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে সে বিষয়গুলোর প্রতি বাংলাদেশকে সতর্ক থাকতে হবে। আজকে শ্রীলঙ্কায় গণআন্দোলন হচ্ছে একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে। কারণ ওই দলটি জনগণের চাহিদা পূরণ করতে পারেনি, জনগণের কাছে রাজনৈতিক দলটি আস্থা অর্জন করতে পারেনি। তাই তারা অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্তির জন্য নতুন সরকার গঠনের জন্য আওয়াজ তোলে ঐক্যবদ্ধ হয়। যে ঐক্যবদ্ধতা সেখানকার রাজনৈতিক দল ও সরকার মোকাবিলা করার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। তবে আমাদের বাংলাদেশে ওই সমস্ত প্রেক্ষাপটগুলোতে দূরদর্শিতা দেখিয়েছে। যেমন আমাদের দেশে করোনা পরবর্তীতে যখন সরকার গার্মেন্ট খুলে দেয় তখন দেশের একটি অংশ বিরোধিতা করে কিন্তু এখন বোঝা গেল সরকারের সেই সিদ্ধান্ত দূরদর্শী ছিল। যুগোপযোগী ছিল। তাই বাংলাদেশে এ ধরনের প্রেক্ষাপট তৈরি না হলেও রাজনৈতিক মতবিরোধ রয়েছে, জনগণের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে সর্বাবস্থায় সতর্ক থাকতে হবে।’
পারিবারিক শাসনের অবসান : শ্রীলঙ্কার বিমান বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে ৭৩ বছর বয়সি প্রেসিডেন্ট তার স্ত্রী এবং দুই জন নিরাপত্তা কর্মকর্তা সহ প্রতিবেশী দেশ মালদ্বীপে আশ্রয় নিয়েছেন। স্থানীয় সময় ভোর ৩টায় তিনি মালদ্বীপের রাজধানী মালে পৌঁছান। ৯ জুলাই উত্তেজিত জনতা তার বাসভবনে প্রবেশ করার পর থেকে নিরুদ্দেশ ছিলেন গোতাবায়া রাজাপাকসে। বুধবার তার পদত্যাগ ঘোষণা করার কথা ছিল। তার দেশ ত্যাগের মাধ্যমে রাজাপাকসে পরিবারের কয়েক দশকের শাসনের অবসান হলো। গণমাধ্যম সূত্রগুলো জানিয়েছে, রাজাপাকসে মালদ্বীপে অবস্থান করবেন না। তিনি তৃতীয় কোনো দেশে চলে যাবেন বলে জানা গেছে। তার ভাই সাবেক অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপাকসে ইতোমধ্যেই শ্রীলঙ্কা ত্যাগ করেছেন এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রয়েছেন।
জ্বালানি সংকট : কয়েক মাস ধরে দেশটিতে ভয়াবহ জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য ও ওষুধ সংকট চলছে। দেশটির ইতিহাসের সবচাইতে বড় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য সেখানকার জনগণ রাজাপাকসে পরিবার ও তাদের অধীনে পরিচালিত প্রশাসনকে দায়ী করে।
শ্রীলঙ্কার জাতীয় টেলিভিশনের সমপ্রচার স্থগিত : শ্রীলঙ্কার জাতীয় টেলিভিশন রুপাভিহিনির সমপ্রচার স্থগিত করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কার্যালয়ে ভিড় জমালে প্রকৌশলীরা সমপ্রচার বন্ধ করে দেন। গতকাল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইন শ্রীলঙ্কার চলমান অস্থিরতা নিয়ে দেয়া লাইভ আপডেটে এই তথ্য দিয়েছে।
সামরিক বাহিনীকে শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের নির্দেশ : শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে গতকাল বিকেলে এক টেলিভিশন ভাষণে সামরিক বাহিনীকে শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্য যা যা করা দরকার তা করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিক্রমাসিংহে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় ভবন দখলকারী বিক্ষোভকারীদের জায়গাগুলো ছেড়ে যেতে এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করতে আহ্বান জানান। গণবিক্ষোভে মাহিন্দা রাজাপাকসের পদতাগের পর কিছুদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা রনিল বিক্রমাসিংহে বলেন, আমরা আমাদের সংবিধানকে ছিন্নভিন্ন করতে পারি না। আমরা ফ্যাসিস্টদের ক্ষমতা দখল করতে দিতে পারি না। গণতন্ত্রের স্বার্থে এই ফ্যাসিবাদী হুমকির অবসান ঘটাতে হবে আমাদের।
২০ জুলাই শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘোষণা স্পিকারের : গতকাল ভোরে কলম্বো থেকে পালিয়ে মালদ্বীপের ভেলানা বিমানবন্দরে পৌঁছান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেও বিক্ষোভকারীদের একাংশের হুমকির শিকার তিনিও। এ পরিস্থিতিতে আগামী ২০ জুলাই নয়া শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে বলে গতকাল জানিয়েছেন সে দেশের পার্লামেন্টের স্পিকার য়ুপা অবেবর্ধনে। অবেবর্ধনে বলেন, ‘সংবিধানের ৩৭(১) ধারা অনুযায়ী কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে। ২০ জুলাই হবে নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।’ তবে আগামী ২০ জুলাই শ্রীলঙ্কায় নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা করলেও কী পদ্ধতিতে তা হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি। ভারতের মতো শুধু সাংসদ-বিধায়করা নন, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন সে দেশের প্রত্যেক নাগরিক। এত কম সময়ের মধ্যে সেই আয়োজন কার্যত অসম্ভব। এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভোটে নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা।
আলবেনিয়া, আর্জেন্টিনা, পানামা, কেনিয়া, ঘানায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ : শ্রীলঙ্কাই একমাত্র দেশ নয়, যেখানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে পরিবারগুলো হিমশিম খাচ্ছে। অনেক দেশেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে। যার ফলে ওইসব দেশগুলোতে প্রতিবাদ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বিখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বসে তথ্য জানিয়েছে। দুর্নীতি এবং দ্রব্যমূল্যের ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে হাজার হাজার আলবেনিয়ান গত সপ্তাহে রাজধানী তিরানায় মিছিল করে। আলবেনিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদ হার ১.২৫ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। ওই সময় (জুন মাসে) আনুষ্ঠানিকভাবে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬.৭ শতাংশ। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত সপ্তাহে আর্জেন্টিনার হাজার হাজার নাগরিক রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে মিছিল করেছে। মে মাসে সুদ হার ৫২ শতাংশ এবং মুদ্রাস্ফীতি ৬০.৭ শতাংশ ছিল। বিক্ষোভকারীরা নাগরিকদের জন্য কঠিন শর্তে দেয়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ নিতে প্রত্যাখ্যান করে সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানায়।
পহেলা জুলাই পানামায় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা সরকারের কাছে উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয় মোকাবিলা করার দাবি জানায়। তারা বেশি বেতন, কম দ্রব্যমূল্য এবং সাপ্লাই চেইনের প্রতিবন্ধকতা দূর করার দাবি জানায়। কেনিয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম আকাশচুম্বী হয়ে পড়েছে। সমপ্রতি হাজারো বিক্ষোভকারী রাজধানী নাইরোবিতে মিছিল করে সরকারকে খাদ্যের দাম কমানোর আহ্বান জানিয়েছে। রাষ্ট্র কর্তৃক অত্যধিক ঋণ গ্রহণ এবং ব্যাপক দুর্নীতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে বলে বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন। কেনিয়ায় সরকারিভাবে মুদ্রাস্ফীতির হার ৭.৯১ শতাংশ এবং সুদ হার ৭.৫০ শতাংশ। জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়ের প্রতিবাদে ঘানার নাগরিকরা জুন মাসে রাস্তায় নেমে আসে। মুদ্রাস্ফীতি ২৭.৬ শতাংশে পৌঁছানোর পরে এবং সুদ হার ১৯ শতাংশে উন্নীত করার পরও যখন কোনো লাভ হচ্ছিল না, তখন সরকার আইএমএফের সাথে ‘বেইলআউট’ নিয়ে আলোচনা করতে সক্ষম হয়। অত্যধিক ঋণের কারণে ঘানার অর্থনীতি বিপর্যস্ত।