নোয়াখালী প্রতিনিধি
জুলাই ৩০, ২০২২, ০১:৩৪ এএম
নোয়াখালী প্রতিনিধি
জুলাই ৩০, ২০২২, ০১:৩৪ এএম
সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। প্রথমে প্রেমের অভিনয়, তারপর দেখা করা, একপর্যায়ে জোর করে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিত লাখ লাখ টাকা।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে এমন চক্রের দুই নারী সদস্যকে আদালতে সোপর্দ করেছে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ। এর আগে খবর পেয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলা শহর মাইজদীর হাউজিং এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, নোয়াখালী মাইজদী শহরে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভিডিও চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ হয়। আবার অনেক সময় নির্জন কক্ষে ডেকে নিয়ে জোর করে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে।
পরে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে বা পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠাবে হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করত চক্রের সদস্যরা।
পুলিশ আরও জানায়, এমন প্রতারণার শিকার এক ভুক্তভোগী প্রতিকার চেয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বরাবর অভিযোগ জমা দিলে তিনি বিষয়টি সুধারাম মডেল থানাকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন।
সুধারাম মডেল থানা অনুসন্ধান করে সত্যতা পেলে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা নেয়া হয়। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে জেলা শহর মাইজদীর হাউজিং এলাকা থেকে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন— এমন বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পাঁচ-ছয় বছর ধরে তারা কয়েকজন মিলে মানুষের সঙ্গে প্রথমে সম্পর্ক স্থাপন করে আসছে। এসময় অন্তরঙ্গ হওয়ার মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে নেয় মোবাইল ফোন বা বিশেষ ক্যামেরায়। তারপর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে নেয়।
সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা এ অভিযোগে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করি। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে ধারণ করা বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও উদ্ধার করি। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।