আগস্ট ১৯, ২০২২, ০১:৫৩ এএম
বাংলাদেশের সিনেমার নন্দিত জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূরের অভিনয়কে ভালোবেসে, তারই অভিনয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে সিনেমায় নায়িকা হিসেবে নিজের নাম লিখিয়েছেন এ প্রজন্মের নায়িকা শিরীন শিলা। তার ভাষ্যমতে, ছোটবেলা থেকে তিনি শুধু শাবনূরের সিনেমাই দেখতেন।
তবে হলে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার সুযোগ ছিল না। শাবনূর অভিনীত বিশেষত সালমান সাহর সঙ্গে অভিনীত সিনেমাগুলোই তার বেশি দেখা হয়েছে। শিরীন শিলা শাবনূরের সিনেমার কথা উল্লেখ করে জানান, তার অভিনীত ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘মহা মিলন’, ‘বিচার হবে’, ‘সুজন সখি’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘স্বপ্নের নায়ক, ‘ফুল নেবো না অশ্রু নেবো’, ‘স্বপ্নের বাসর’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’, ‘দুই নয়নের আলো’সহ আরও বেশকিছু সিনেমা তিনি এত এত দেখেছেন যে, এসব সিনেমা দেখে দেখেই শাবনূরের অভিনয়ের প্রেমে পড়েছেন শিরীন শিলা।
শাবনূরের নাচ দেখেই তিনি একটু একটু করে নিজেকে নাচে পারদর্শী করে তুলেছেন। পরবর্তীতে সিনেমায় যখন শিরীন শিলার যাত্রা শুরু হলো, শাবনূরকে কাছ থেকে দেখার আকাঙ্ক্ষা যেন আরও বেড়ে গেলো।
একই পথে চলতে চলতে একটি সময় শাবনূরের সঙ্গে তার দেখাও হয়ে যায়, শাবনূরের প্রতি তার পরম ভালো লাগার কথা, ভালোবাসার কথা এবং তিনিই যে শিরীন শিলার অভিনয়ের আদর্শ— তাও যেন ব্যক্ত করেন। নিজের মনের কথাগুলো ব্যক্ত করতে পেরে শিলাও যেন শান্তি পান।
শাবনূরও শিরীন শিলার আবেগের সাথে মিশে গিয়েছিলেন। শাবনূরের সর্বশেষ জন্মদিন যখন ঢাকায় উদ্যাপন হয়, সেই অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণের নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন শিরীন শিলা। একজন চিত্রনায়িকা হিসেবে শিরীন শিলা আজ যতটুকুই আসতে পেরেছেন, তা শাবনূরে অনুপ্রাণিত হয়েই।
শিরীন শিলা বলেন, ‘বাংলাদেশের সিনেমায় দীর্ঘ একটি সময় শুধুমাত্র অভিনয় দিয়েই রাজত্ব করেছেন আমার সবচেয়ে প্রিয় নায়িকা, আমার অভিনয়ের অনুপ্রেরণা, আমার ভালোলাগা-ভালোবাসার প্রিয় শাবনূর আপু।’
সত্যি কথা বলতে কী তার কারণেই আসলে সিনেমায় আমার আসা। আমি একজন অভিনেত্রী হিসেবে যতোটুকুই দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছি তা শাবনূর আপুর অভিনয়ের প্রেমে পড়ে অভিনয়ের দুনিয়ায় আসতে পেরেছি বলেই সম্ভব হয়েছে। প্রায় তিন বছর হলো তিনি দেশে নেই। শোনা যাচ্ছে আগামী জন্মদিন তিনি ঢাকাতেই উদযাপন করবেন।
যদি তাই হয় তবে আবার আমার প্রিয় শাবনূর আপুর সঙ্গে দেখা হবে, আড্ডা হবে। সত্যি বলতে কী তিনি এমনই একজন ভালো মনের মানুষ তার পাশে থাকতেই যেন শান্তি লাগে। আর তিনি এতো আদর করেন, যা আমি কোথাও পাইনা। আল্লাহ তাকে ভালো রাখুন, সুস্থ রাখুন এই দোয়াই করি সবসময়।’