Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪,

৭০টির সক্ষমতায় ১৫০ আসনে ইভিএম

মো. মাসুম বিল্লাহ

আগস্ট ২৪, ২০২২, ০৪:০৯ এএম


৭০টির সক্ষমতায় ১৫০ আসনে ইভিএম

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ দেড়শ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এক বৈঠকে ইসি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈঠক শেষে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে নির্বাচনকালীন সরকার রাজনৈতিক বিষয়সহ গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসেনি।

এর আগে সমপ্রতি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপের প্রস্তাবসমূহ পর্যালোচনা করে ইসি তার মতামতে জানিয়েছিল, ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি এবং সমর্থন দুই-ই রয়েছে। রাজনৈতিক সংলাপ ছাড়াও    ইতোপূর্বে ইভিএম নিয়ে যেসব কর্মশালা, মতবিনিময়, পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে তার সার্বিক ফলাফল বিচার-বিশ্লেষণ করে ইভিএম ব্যবহার বিষয়ে কমিশন যথাসময়ে অবহিত করবে।

সেই পরিপ্রেক্ষিতে ইসি গতকাল ইভিএম বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাল। ওই মতামতে কমিশন নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সংবিধান ও আইনে প্রদত্ত ক্ষমতা সততা ও সাহসিকতার সাথে প্রয়োগ করতে বদ্ধপরিকর বলেও উল্লেখ করে। যদিও এই মুহূর্তে ৭০ আসনে ইভিএমে ভোট করার সক্ষমতা আছে ইসির।

এর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ইসির সংলাপে ২২টি দল ইভিএম নিয়ে মতামত তুলে ধরে। এর মধ্যে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ১৪টি দল এ যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে সংশয়-সন্দেহ প্রকাশ করে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দল সরাসরি ইভিএমের বিরোধিতা করে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগসহ চারটি দল ইভিএমে ভোট গ্রহণের বিষয়ে মত দেয়। আর কয়েকটি দল শর্তসাপেক্ষে ইভিএমের পক্ষে মতামত দেয়।

তবে বিএনপিসহ ৯টি দল ইসির সংলাপ বর্জন করে। তারাও ইভিএমের বিপক্ষে। তারা কোনোমতেই এটির মাধ্যমে ভোট চান না। ইভিএমের প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান সমপ্রতি সংবাদমাধ্যমকে জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট করতে চাইলে কমিশনকে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এ নিয়ে গত ২১ আগস্ট নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ইসি ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ইভিএম ব্যবহার হবে; কিন্তু কত আসনে হবে, তা নিয়ে আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পরিনি।

এ নিয়ে আমরা মতবিনিময় করছি, আলোচনা করছি। আমাদের সক্ষমতা কী আছে, কত ইভিএম আছে, আমাদের প্রশিক্ষিত জনবল কত আছে, সাপোর্টিং জনবল কত আছে, এগুলো দেখছি, এগুলো দিয়ে কত আসনে ভোট করা যাবে। আর যদি বেশি করতে চাই, আরও কত (ইভিএম) লাগবে, তাতে কত টাকা লাগবে, এ জন্য নতুন প্রজেক্ট নিতে হবে কি-না, সেই সময় আমাদের আছে কি-না, প্রকিউরমেন্ট করতে, প্রশিক্ষণ দিতে, এসব নিয়ে আলোচনা চলছে।

জনপ্রশাসন, স্থানীয় সরকার, স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চায় ইসি : এদিকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচনকালীন জনপ্রশাসন, স্থানীয় সরকার, স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিজেদের অধীনে চায় নির্বাচন কমিশন।

তবে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় বলে মনে করছে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। সমপ্রতি অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি সংলাপে প্রাপ্ত সুপারিশের আলাকে এই মত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল স্বাক্ষরিত সংলাপের এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনে এই মতামত তুলে ধরা হয়েছে।

গত সোমবার সংলাপের সারসংক্ষেপটি (প্রতিবেদন) নিবন্ধিত ২৮টি দল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।

Link copied!