আগস্ট ২৪, ২০২২, ০৪:১৯ এএম
ভয়াল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক, নারীনেত্রী বেগম আইভউ রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে চারদিন মৃত্যুর সাথে লড়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানের পুরো নাম জেবুন নাহার রহমান আইভী। ১৯৪৪ সালের ৭ জুলাই ভৈরবে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
তার পিতা জালাল উদ্দিন আহমেদ ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও মা হাসিনা বেগম একজন আদর্শ গৃহিণী ছিলেন। আইভী রহমান ১৯৫৮ সালের ২৭ জুন নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তৎকালীন তুখোড় ছাত্রনেতা জিল্লুর রহমানের সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন।
আট বোন চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চম। তার একমাত্র ছেলে নাজমুল হাসান পাপন বর্তমানে কিশোরগঞ্জ-৭ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। আর দুই মেয়ে তানিয়া ও ময়না।
ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে আইভী রহমান অসামপ্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য জীবন শুরু করেন। সদালাপী আইভী রহমান ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি ভারতে গিয়ে সশস্ত্র ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা নির্বাচিত হন। ২০০২ সালে দলের জাতীয় কাউন্সিলেও তাকে একই পদে নির্বাচিত করা হয় এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ওই পদে দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
এর আগে ১৯৮০ সাল থেকে কয়েক বছর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। নারী অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ও সমাজের অবহেলিত শিশু প্রতিবন্ধীদের কল্যাণেও আইভী রহমানের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ছিল।
শহীদ আইভী রহমানের ১৮তম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে আজ সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও আইভী রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও মুনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।