বিনোদন প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২, ০৪:৩৮ এএম
বিনোদন প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২, ০৪:৩৮ এএম
গুণী অভিনেতা ও নাটক, চলচ্চিত্র নির্মাতা সালাহ উদ্দিন লাভলুর ছদ্ম পরিচয়ে ফেসবুক আইডি পরিচালনা করে অভিনয়ে সুযোগ প্রত্যাশী তরুণ-তরুণীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের একজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান সালাহ উদ্দিন লাভলু।
তিনি জানান, প্রায় এক বছর আগে ফেক ফেসবুক আইডি খুলে একটি সাইবার অপরাধী চক্র। এই চক্রটি সালাহ উদ্দিন লাভলুর ছদ্ম পরিচয়ে বিভিন্ন নারী পুরুষের সঙ্গে মেসেঞ্জারে সখ্যতা গড়ে তুলত।
পরবর্তীতে তাদেরকে নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে, পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ দেয়ার কথা বলে নানান কৌশলে টাকা চাইত। এভাবে প্রায় অর্ধ শতাধিক মানুষের কাছ থেকে অনেক টাকা আত্মসাৎ করে। বিষয়টি সালাহ উদ্দিন লাভলুর দৃষ্টিগোচর হলে তিনি বনানী থানায় মামলা করেন।
ডিএমপির সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে সালাহ উদ্দিন লাভলুর নামে খোলা ফেইক আইডির বিশ্লেষণ ও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতারক চক্রটির ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট শনাক্ত করে।
এরপর নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের একটি দল প্রতারক মো. মোখলেসুর রহমানকে (২৬) মানিকগঞ্জ সিঙ্গাইর থেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির হেফাজত থেকে প্রতারণা ও অর্থ অত্মসাতের কাজে ব্যবহূত একটি মোবাইল ফোন ও সিমসহ অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামির বাড়ি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায়। সে এক সময় ইউটিউব ভিত্তিক শর্টফিল্মে অভিনয় করেছিল বলে জানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে।
ধৃত আসামিকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামির অন্য সহযোগীদেরও গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
সালাহ উদ্দিন লাভলু বলেন,‘ বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই আমার কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ আসছিলো। দিনের পর দিন নানান সময়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছিলাম।
পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে বনানী থানায় মামলা দায়ের করি। যার ফলশ্রুতিতে ডিএমপি’র সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন দায়িত্ব নিয়ে দ্রুত মূল আসামীকে গ্রেফতার করে।
আসামী মোখলেস আর কারো নামে এমন ফেইসবুক আইডি ব্যবহার করছে কী না সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে সবারই সচেতন থাকা উচিত। এমন বিষয় কারো জানা থাকলে ডিএমপি’র সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন’কে অবহিত করা উচিত।
তাতে করে অনেকেই প্রতারণা থেকে অভ্যাহতি পাবে। ক্রাইমও বন্ধ হবে। ধন্যবাদ সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনকে।’