Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

ইসির ঘরে সিসিক্যামেরার সুফল

মো. মাসুম বিল্লাহ

অক্টোবর ১৮, ২০২২, ০১:২৭ এএম


ইসির ঘরে সিসিক্যামেরার সুফল

ভোট প্রয়োগে অনিয়ম, সহিংসতা, হামলা-পাল্টা হামলার অভিযোগ ছাড়াই গতকাল সারা দেশে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এ নির্বাচনে কোথাও কেন্দ্র দখল কিংবা সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। গাইবান্ধা উপনির্বাচনে বিতর্ক সৃষ্টি হলেও জেলা পরিষদ নির্বাচনে সিসিক্যামেরার সুফল পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

কমিশনের দাবি, শিক্ষিত ভোটাররা মার্জিত ও ভদ্রভাবে ভোট দিয়েছেন। সিসিক্যামেরায় নির্বাচন পর্যাবেক্ষণ হওয়ায় গোপন কক্ষে দ্বিতীয় ব্যক্তি যাননি। সিসিক্যামেরার ইতিবাচক প্রভাব এই নির্বাচনে পড়েছে।

জানা যায়, গতকাল সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এ নির্বাচনে বড় কোনো সহিংসতার ঘটেনা ঘটেনি। তবে ছোট ছোট কিছু বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণে সকাল থেকে কঠোর অবস্থানে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বিগত দিনের যেকোনো নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, জালভোট প্রয়োগ, এজেন্ট বের করে দেয়া, বিরোধী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মারপিটের ঘটনা ঘটলেও এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে এমন কিছুই ঘটেনি।

প্রতিটি ভোটার যেন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট প্রয়োগ করতে পারেন এজন্য প্রতিটি কেন্দ্র কড়া নজরদারিতে রেখেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতিটি কেন্দ্রে স্থাপন করেছিল সিসিক্যামেরা। সিসিক্যামেরা থাকায় বুথের মধ্যে অতিরিক্ত কেউ প্রবেশ করতে পারেনি। তবে নির্বাচনের শুরু থেকে বেশকিছু স্থানে বিলম্বে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল। মূলত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সমস্যা দেখা দেয়ায় ওইসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হতে বিলম্ব হয়েছে বলে জানা গেছে।

গতকাল জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে শিক্ষিত ভোটাররা মার্জিত ও ভদ্রভাবে ভোট দিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি স্বচ্ছ নির্বাচন চাই। ভোটাররা যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। আজ (গতকাল) গোপন কক্ষে কোনো দ্বিতীয় ব্যক্তি যাননি। অত্যন্ত সুন্দর, মার্জিত ও ভদ্রভাবে ভোট দিয়েছেন। আমরা নির্বাচনের শুরু থেকেই মনিটরিং সেলে অবস্থান করেছি। পর্যবেক্ষণ করেছি। এ নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোনো অনিয়ম, সহিংসতার তথ্য আসেনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনের যে পদ্ধতি সিসিটিভির মাধ্যমে এটা আমাদের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা নির্বাচন পরিচালনায়। আগামীতে আপনাদের সবাইকে আরও ভালো সুযোগ করে দেবে সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে গাইবান্ধায় যেটা হয়ে গেছে, সিসিক্যামেরার মাধ্যমে আমাদের পর্যবেক্ষণ ছিল। তারপর বেশ গুরুতর অনিয়ম আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। কমিশন বাধ্য হয়ে নির্বাচনটা বন্ধ করে দিয়েছে। তো সেখান থেকে একটা মেসেজ এসেছে যে, সিসিক্যামেরা দিয়ে যেভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়, যারা ভোটার বা প্রার্থী, তারা যদি গুরুতর অনিয়ম করেন, তাহলে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আমাদের মনে হয় ওইটার একটা ইতিবাচক প্রভাব এই নির্বাচনে পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত সময়ের পর ভোট দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর মেয়র শিব শংকর দাস। গতকাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে এমন বিতর্ক সৃষ্টি করেন তিনি।

জানা যায়, তখন ঘড়ির কাঁটা দুইটা ছুঁই ছুঁই। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে কয়েকজন ভোটারকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে আসেন পৌর মেয়র শিব শংকর দাস। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, বেলা দুইটায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কেন্দ্রে ভোটার থাকায় বেলা পৌনে তিনটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলেছে। একই চিত্র ছিল জেলার নবীনগর উপজেলা পরিষদ ভোটকেন্দ্রে। এর আগে সকাল থেকে জেলার কোথাও কোনো ধরনের অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। আমার সংবাদের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ—

নাটোর : নাটোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাজেদুর রহমান খাঁন বেসরকারিভাবে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। চশমা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৫৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত ঘোড়া প্রতীকের নুরুন্নবী মৃধা পেয়েছেন ২৪৭ ভোট।

গাজীপুর : গাজীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মোতাহার হোসেন (মোটরসাইকেল)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এসএম মোকসেদ আলম (আনারস)।

জয়পুরহাট : জয়পুরহাটে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত খাজা সামছুল আলম ২৯৫ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৯১ ভোট পেয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদ সমর্থিত প্রার্থী আবুল খায়ের মো. সাখাওয়াত হোসেন তালগাছ প্রতীক নিয়ে ৯৬ ভোট পেয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান বেসরকা?রিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট মো. আশরাফ উদ্দিন পেয়েছেন ২৫৭ ভোট।

পটুয়াখালী : পটুয়াখালীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ৫৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত আনারস প্রতীকের খলিলুর রহমান মোহন পেয়েছেন ৪৭১ ভোট।

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জে চেয়ারম্যান হলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল হুদা মুকুট। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৬১২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খায়রুল কবির রুমেন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৬০৪ ভোট পান।

মেহেরপুর : মেহেরপুর জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সাবেক ছাত্র নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম। তিনি কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ১৭৬ ভোট পেয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রসুল (আনারস) পেয়েছেন ১১৫ ভোট।

ফরিদপুর : ফরিদপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদাত হোসেন (চশমা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ফারুক হোসেন।

রাজশাহী : রাজশাহী জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। কাপ-পিরিচ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আক্তারুজ্জামান আক্তার পেয়েছেন ৫৬৬ ভোট। মোটরসাইকেল প্রতীকে লড়েছিলেন তিনি। ভোট গণনা শেষে মীর ইকবালকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।

রাজবাড়ী : রাজবাড়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনে পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ কে এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ (তালগাছ) প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

নরসিংদী : নরসিংদীতে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইশরাত উদ্দিন আহমেদ মনির আনারস প্রতীক নিয়ে ৬২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

খুলনা : খুলনা জেলা পরিষদে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদ। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৩৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এমএম মোর্ত্তজা রশিদী দারা চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪০৩ ভোট। আর ডা. শেখ বাহারুল আলম আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৭ ভোট।

মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন আনারস প্রতীকে ৪৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (চশমা) কে এম বজলুল হক খান পেয়েছেন ৪২৫ ভোট।

গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (তালগাছ প্রতীক) আবু বকর সিদ্দিক নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আতাউর রহমান সরকার আতা (ঘোড়া প্রতীক)।

পঞ্চগড় : পঞ্চগড়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল হান্নান শেখ। তিনি পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চশমা প্রতীক নিয়ে ২৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু তোয়াবুর রহমান। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩১ ভোট।

যশোর : যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের সাইফুজ্জামান পিকুল। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন আনারস প্রতীকের মারুফ হোসেন কাজল।

নড়াইল : নড়াইলে নতুন চেয়ারম্যান হলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ২৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত চয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির। মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১৭৫ ভোট।

ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন এক হাজার ১৩৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদ সমর্থিত চশমা প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম আমিন পেয়েছেন ৪৫৮ ভোট।

নেত্রকোনা : নেত্রকোনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট অসিত কুমার সরকার সজল (আনারস)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আসমা আশরাফ।

সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন আ.লীগ মনোনীত মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ নজরুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৬০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী খলিলুল্লাহ্ ঝড়ু পেয়েছেন ৪৪৭ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আল মামুন সরকার ৮২০ পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী শফিকুল আলম পেয়েছেন ৫৭৭ ভোট।

রংপুর : রংপুর জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬০১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আহমেদ পেয়েছেন ৪৮৪ ভোট।

নীলফামারী : নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩১৮ ভোট।

হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী। ৯৬১ ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু নাইম মো. শিবলী খায়ের পেয়েছেন ৭৭ ভোট এবং অপর প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরুল হক পেয়েছেন ৪৩ ভোট।

বগুড়া : বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে ডা. মকবুল হোসেন পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

চাঁদপুর : চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আলহাজ ওচমান গণি পাটওয়ারী মোবাইল প্রতীকে ৭৩৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী জাকির হোসেন প্রধানিয়া পেয়েছেন ৫২২ ভোট।

ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫ ভোট বেশি পেয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ড. হারুন অর রশীদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

কক্সবাজার : কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শাহিনুল হক মার্শাল।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন দুই হাজার ৫৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নারায়ণ রক্ষিত পেয়েছেন ১২৪ ভোট।

কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. সদর উদ্দিন খান আনারস প্রতীক নিয়ে ৭৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম মহসিন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২০৪।

সূত্রে জানা যায়, ২৬ জেলায় চেয়ারম্যান পদে ছাড়াও নারীদের জন্য সংরক্ষিত পদে ১৮ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৬৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন আদালতের নির্দেশে স্থগিত করা হয়েছে। ভোলা ও ফেনী জেলা পরিষদের সব পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এই দুই জেলায় ভোটের প্রয়োজন হয়নি।

Link copied!