ইসলাম রকিব/আব্দুল্লাহ হক, চুয়াডাঙ্গা
অক্টোবর ১৮, ২০২২, ০১:৩৯ এএম
ইসলাম রকিব/আব্দুল্লাহ হক, চুয়াডাঙ্গা
অক্টোবর ১৮, ২০২২, ০১:৩৯ এএম
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩১২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আরেফিন আলম রনজু ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪৯ ভোট। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আব্দুস সালাম চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন দুই ভোট।
গতকাল সোমবার বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান ফলাফল ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, জেলার চারটি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পোল হয়েছে। এর মধ্যে আলমডাঙ্গা ও সদর উপজেলায় দুটি ভোট বাতিল হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডের (চুয়াডাঙ্গা সদর) ৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জহুরুল ইসলাম (বৈদ্যুতিক পাখা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিরাজুল ইসলাম কাবা উটপাখি প্রতীক নিয়ে ৩০ ভোট পেয়েছেন। ২ নম্বর ওয়ার্ডের (আলমডাঙ্গা উপজেলা) সদস্য পদে মজনু রহমান (তালা) ১৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাফর উল্লাহ (ঘুড়ি) ৭৩ ভোট পেয়েছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে (দামুড়হুদা উপজেলা) সদস্য পদে অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম (বৈদ্যুতিক পাখা) ৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফিউল কবির (টিউবওয়েল) ৩৮ ভোট পেয়েছেন। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে মোসাবুল ইসলাম লিটন (হাতি) ৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কবির আহম্মদ (তালা) ৪০ ভোট পেয়েছেন।
সংরক্ষিত সদস্য পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে (চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা) প্রতিদ্বন্দ্বী বিথী খাতুন (টেবিলঘড়ি) ১১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজল রেখা (বই) ১০১ ভোট পেয়েছেন। সংরক্ষিত সদস্য পদে ২ নম্বর ওয়ার্ডে (দামুড়হুদা ও জীবননগর) কহিনুর বেগম (বই) ৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিরিনা পারভিন (হরিণ) ৮৬ ভোট পেয়েছেন।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। জেলার মোট চারটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, চার সদস্য পদে ১৬ জন ও দুই সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। জেলার মোট ৫৬৫ জন জনপ্রতিনিধি ভোট প্রদান করেন।