Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

জনজীবনে নাভিশ্বাস

আসাদুজ্জামান আজম

অক্টোবর ২১, ২০২২, ১২:৩০ এএম


জনজীবনে নাভিশ্বাস

দফায় দফায় চলমান লোডশেডিংয়ে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। বিশেষ করে রাতের বেলায় এক ঘণ্টা পরপর বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ায় লুকোচুরিতে নগরবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতের জন্য হাহাকার চলছে। লোডশেডিংয়ের কারণে গরমে বৃদ্ধ ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে সামর্থ্য অনুযায়ী বিকল্প পথ খুঁজছে নগরবাসী। নতুন করে ভরসা বাড়ছে স্মৃতির পাতায় ঠাঁই নেয়া আইপিএস, জেনারেটর, চার্জার ফ্যান ও লাইটে।  এ সুযোগে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।  বিদ্যুতের পাশাপাশি গত মাস ধরে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে ঢাকা, গাজীপুর, সাভার, কোনাবাড়ী, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাতায় শিল্প-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

দিনের অধিকাংশ সময় কারখানা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। উৎপাদন ব্যাহত হলে সময়মতো বিদেশে পণ্য পাঠানো সম্ভব হবে না। ফলে রপ্তানি অর্ডার বাতিলের শঙ্কা দেখা দিতে পারে। বারবার আশ্বাস দিলেও গ্রিড বিপর্যয়ের পর গত মাসেও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি আগের লোডশেডিং অবস্থায়ও ফিরতে পারেনি। আগের চেয়ে লোডশেডিং আরো দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর আপাতত এই পরিস্থিতির উন্নতির কোনো আশাও নেই।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নিজেই গত মঙ্গলবার  বলেছেন, মধ্যরাতেও লোডশেডিং নিয়ে আপাতত বিছু করার নাই। সবাইকে আরো একটু কষ্ট করতে হবে। জ্বালানি তেল ও গ্যাস সংকটের কারণে বিদুৎকেন্দ্রগুলো চালানো যাচ্ছে না। দেশের ১৩৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে ৬৩টি কেন্দ্র এখন জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে বসে আছে। টাকার অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এখন অনেকটা প্রকৃতির ওপরই পরিস্থিতি ছেড়ে দিয়েছেন। তার কথা, শীত এলে বিদ্যুতের চাহিদা কমবে। তখন হয়তো কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে চলমান বিদ্যুৎ সংকট শুরু হয় জুলাই মাস থেকে।

১৯ জুলাই থেকে সারা দেশে লোডশেডিং করে বিদ্যুতের রেশনিং শুরু হয়। তখন কথা ছিল প্রত্যেক এলাকায় দিনে এক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকবে না। কিন্তু শুরুতেই তার চেয়ে অনেক বেশি লোডশেডিং করা হয়। পরিস্থিতি সামলাতে রাত ৭টার পর দোকান পাট বন্ধ, অফিস সময়সূচির পরিবর্তন করে লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। তখন বলা হয়েছিল, বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ডিজেল চালিত বিদু্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

বলা হয় দিনে সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ১৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। উৎপাদন করা যাচ্ছে ১৩ হাজার মেগাওয়াট। এক হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের ঘাটতি পূরণে এই ব্যবস্থা। কিন্তু গত ৪ অক্টোবর বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের পর বিদ্যুৎ সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন বলা হচ্ছে গ্যসের অভাবে আরো প্ল্যান্ট বন্ধ আছে। গ্রিড বিপর্যয়ের পর কিছু প্ল্যান্ট আর সচল হয়নি।

গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিনে দুই হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং করা হয়েছে। আর এখন তা বেড়ে দুই হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার ৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং করা হচ্ছে। লোডশেডিং গত তিন মাসের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে। ঢাকায় গড়ে দিনে চার থেকে-পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না।

 আর ঢাকার বাইরে জেলা ও উপজেলাগুলোতে সাত থেকে ১৫ ঘণ্টা। মধ্য রাতেও একাধিকবার লোডশেডিং হচ্ছে খোদ রাজধানীতেই। তেল চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখার পর এখন গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রেও উৎপাদন কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি কমিয়ে দেয়া হয়েছে। স্পট প্রাইসে এলএনজি আমদানি পুরোপুরি বন্ধ আছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের উচ্চমূল্য সব দেশকেই সমস্যায় ফেলেছে। বিষয়টি বাংলাদেশকেও বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত থাকলেও জ্বালানি না থাকায় উৎপাদনে যেতে পারছে না। গ্যাস সংকটে চুলা জ্বলছে না রাজধানীর অনেক আবাসিক এলাকায়। আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় স্পট মার্কেট থেকে গ্যাস কেনা বন্ধ করেছে সরকার। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়লেও এ মুহূর্তে গ্যাসের অভাবে এর পুরো সুফল পাচ্ছে না দেশবাসী।

ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘গ্রাহকদের বিদ্যুৎ দিতে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা এমন এক দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে আছি যেখানে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না।’

গত কয়েক দিন ধরে আমরা বরাদ্দের চেয়ে কম বিদ্যুৎ পাচ্ছি। ঢাকায় ৫০০ থেকে ৫৫০ মেগাওয়াটের ঘাটতি অনেক বেশি। দিনে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং করা ছাড়া আমাদের আর কিছু করার নেই।’ দেশে এখন মোট বিদ্যুৎকেন্দ্র ১৩৩টি। এরমধ্যে গ্যাসচালিত ৫৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১১ হাজার ১৭ মেগাওয়াট। সেখানে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র পাঁচ হাজার মেগাওয়াট। ফার্নেস অয়েল চালিত ৫৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা পাঁচ হাজার ৫৪১ মেগাওয়াট এবং ১১টি ডিজেল কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ৫১৫ মেগাওয়াট।

সব মিলিয়ে জ্বালানি তেল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা সাত হাজার মেগাওয়াটের বেশি হলেও দিনে গড়ে উৎপাদন হচ্ছে দুই হাজার ৫০০ মেগাওয়াট থেকে চার হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত। ঢাকা বিভাগের বিদ্যুতের স্বাভাবিক চাহিদা আনুমানিক চার হাজার ৪১৯ মেগাওয়াট। শিডিউল অনুযায়ী চাহিদার চেয়ে ১১ শতাংশ কম বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা ছিল এবং সেই ঘাটতি শহরগুলোর মধ্যে ভাগ করার কথা ছিল।

শিডিউল অনুযায়ী এসব এলাকায় দিনে চার ঘণ্টা করে লোডশেডিং হওয়ার কথা। তবে, এখন রাতেও দীর্ঘ সময় লোডশেডিং হচ্ছে। ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. কাউসার আমির আলী বলেন, ‘গত সপ্তাহ থেকে আমাদের প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু আজকের (গতকালের) পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত ভালো। কারণ এখন আমাদের ১৫০ মেগাওয়াট ঘাটতি রয়েছে।’  

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম তামিম আমার সংবাদকে  বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি আছে। কিন্তু গ্যাস ও তেল নেই। এ পরিস্থিতি চলতেই থাকবে। কারণ তেল ও গ্যাসের দাম বেড়েছে। ডলার সংকট অব্যাহত আছে। সরকারের হাতে ডলার নেই। গ্রিড বিপর্যয়ের পর যেসব প্ল্যান্ট এখনো চালু করা যায়নি বলা হচ্ছে, সে সব প্ল্যান্ট আসলে জ্বালানির অভাবে চালু হয়নি। এখন যা পরিস্থিতি তাতে বিদ্যুতের এই খারাপ অবস্থা চলতেই থাকবে। শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা একটু কম থাকে।

তাই হয়তো নভেম্বরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। মার্চে কী হবে জানি না। যদি রামপালের (কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র) এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট এবং ভারতের আদানির ৮০০ মেগাওয়াট আসে তাহলে দুই হাজার মেগাওয়াট তখন পাওয়া যাবে। এটি যদি যোগ হয় তাহলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। অন্যথায় নয়। আর রূপপুরের বিদ্যুৎ পেতে আরো অনেক সময় লাগবে। আর যদি এপ্রিলের দিকে তেল গ্যাসের দাম কমে আসে তাহলে প্ল্যান্টগুলো চালু করা যাবে। তবে তেলের বাকি আছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। এটি শোধ না করলে আমরা তেল পাবো না।’

এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য মো. মকবুল-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংকট এই রকমই থাকবে। এর চেয়ে আর অবনতি হবে না। তারপর কী হবে তার পরবর্তী পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। কারণ প্রাকৃতিকভাবে বাংলাদেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা কমে যায়। সংকট মেকাবিলায় আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে হবে।’

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল আলম বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হলে তো তেল গ্যাস আমদানি করতে হবে। আপাতত কোনো সমাধান নেই। এ জন্য পুরো সিস্টেম পরিবর্তন দরকার।’ ঢাকা জেলার সাভার কবিপুর, রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মপুর, শ্যামলী, আগারগাও, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, নন্দলালপুর, কাজলা ও মাতুয়াইলসহ রাজধানীর ৪০টি প্রান্তিক এলাকায় গতকাল প্রতি এক ঘণ্টা পরপরই লোডশেডিং হয়েছে। প্রতি মুহূর্তেই এ অঞ্চলের অন্তত একটি পাড়া অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল।

দেখা গেছে, এক এলাকায় বিদ্যুৎ থাকলে অন্য এলাকায় নেই। আবার সেই অন্য এলাকায় এলে আগের এলাকায় লোডশেডিং। শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প এবং সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনকারী কারখানাগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

গত ১৬ অক্টোবরের ওই বৈঠকে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) ২০২০-২১ অর্থবছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরা হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত এ কোম্পানি ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই লাখ ৩৬ হাজার ১৩২ দশমিক ৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বিক্রি করে ৮৯১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা আয় করেছে। একই সময়ে ১৫ লাখ ৩১ হাজার ৪৪৩ লিটার পেট্রল, ৪৮ লাখ ৯৮ হাজার ১৭৯ লিটার ডিজেল, ৯ লাখ ৪৫ হাজার লিটার লাইট কনডেনসেট ও দুই কোটি ৯ লাখ ৬১ হাজার হেভি কনডেনসেট বিক্রি করে ১২৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা এবং কনডেনসেট হ্যান্ডলিং বাবদ দুই কোটি ৪২ লাখ টাকা আয় করে। এ ছাড়া আমানতের ওপর সুদসহ আয় হয় ১০৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

২০২০-২১ অর্থবছরে এই কোম্পানির রাজস্ব আয় দাঁড়ায় এক হাজার ১২৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ভ্যাটসহ ব্যয় হয় ৯৫১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। করপূর্ব নিট লাভ ১৭৪ কোটি টাকা। ওই অর্থবছরে কোম্পানি ভ্যাট বাবদ ৪৫৪ কোটি ৮০ লাখ, লভ্যাংশ ৪৮ কোটি ৯৪ লাখ, আয়কর ৫৪ কোটি ৯৭ লাখ ও ডিএসএল বাবদ ২৯৯ কোটি টাকাসহ মোট ৮৫৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে। ওয়াসিকা আয়শা খান সাংবাদিকদের বলেন, গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির আয়-ব্যয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তারা এখনো লাভে আছে, তবে আয় কমেছে।

এছাড়া কমিটি গ্যাস উত্তোলনে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বাপেক্স) সক্ষমতা বাড়ানো, গ্যাসের সিস্টেম লস কমানো, তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি) পর্যালোচনা করে যুগোপযোগী করার পরামর্শ দিয়েছে। জ্বালানি সংকট কাটাতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির নীতি স্বল্পমেয়াদে কার্যকর হলেও দীর্ঘমেয়াদে নানা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে। এমনকি তা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপের সৃষ্টি করবে। 

ব্যয়বহুল এলএনজির পরিবর্তে সমুদ্র ও উপকূলের প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম বেগবান করতে হবে। জ্বালানি সংকট কাটাতে এটি সর্বোত্তম বিকল্প। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশের (আইসিসিবি) ত্রৈমাসিক বুলেটিনের সম্পাদকীয়তে এমনটাই তুলে ধরা হয়েছে। সম্প্রতি আইসিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে।

Link copied!