নভেম্বর ২৯, ২০২২, ০১:১১ এএম
দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার প্রথম পাতায় গতকাল প্রকাশিত ‘ইসলামী ব্যাংকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারি, ভুয়া প্রতিষ্ঠানের খোলসে পাচার!’ শীর্ষক সংবাদের বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-আইবিবিএল।
এতে ব্যাংকটি বলেছে, ‘নাবিল গ্রুপের সহযোগী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বিনিয়োগের বিষয়ে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়নি।
ইসলামী ব্যাংক ব্যাংকিং নীতিমালা পরিপালন করে যথাযথভাবে বিনিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। ১৮ বছর ধরে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে নাবিল গ্রুপ বর্তমানে ১৭টি প্রতিষ্ঠানের বৃহৎ শিল্পগ্রুপে পরিণত হয়েছে।
এছাড়া মেডিগ্রিন ইন্টারন্যাশনালসহ অন্যান্য যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে তারাও যথাযথ নিয়মাচার পরিপালন করে বিনিয়োগ নিয়েছে।’
ব্যাংকটি আরও বলেছে, ‘ইসলামী ব্যাংকের সাথে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়িক সুসম্পর্ক রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ মেয়াদোত্তীর্ণ বা খেলাপি হয়নি। মুরাবাহা টিআর পদ্ধতিতে বিনিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের প্রয়োজনীয় দলিলাদি নিয়ে ইসলামি শরিয়াহ পরিপালন করে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এ বিনিয়োগকৃত অর্থ তাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডেই ব্যবহূত হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট সময়েই এ বিনিয়োগের টাকা ব্যাংক ফেরত পাবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
প্রতিবেদকের বক্তব্য : যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে লোন নেয়া হয়েছে— সরেজমিন অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এমনকি মেডিগ্রিন ইন্টারন্যাশনাল, এসএস স্ট্রেইট লাইন ইন্টারন্যাশনাল, মার্টস বিজনেস লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের প্রতিষ্ঠান বলে নাবিল গ্রুপ স্বীকার করছে না। অথচ নাবিল গ্রুপের অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করে ঋণ নেয়া হয়েছে। মাত্র এক মাস আগে চালু হওয়া ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতাহীন প্রতিষ্ঠানের সাথে ইসলামী ব্যাংকের সুসম্পর্ক কিভাবে হলো তার কোনো ব্যাংখ্যা দেয়া হয়নি। আর ঋণগুলোর গ্রেস পিরিয়ডের (ঋণ পরিশোধে বিরতি) মেয়াদ থাকায় এখনই খেলাপি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পর্যালোচনাপূর্বক যথাযথ তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।