নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ৩০, ২০২২, ০১:২৮ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ৩০, ২০২২, ০১:২৮ এএম
দেশে কাগজের দাম নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে কাগজ আমদানি উন্মুক্ত করা এবং সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির উদ্যোগে ‘কাগজের অস্বাভাবিক মূল বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও কাগজ আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি’ শীর্ষক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মো. আরিফ হোসেন ছোটন।
তিনি বলেন, ‘দেশে অস্বাভাবিক হারে কাগজের দাম বাড়ানো হচ্ছে। মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে দ্বিগুণেরও বেশি দাম বাড়াচ্ছেন। এই অবস্থায় যদি শুল্ক প্রত্যাহার করে কাগজ আমদানি সবার জন্য উন্মুক্ত ও অবাধ করা হয় তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিল মালিকদের সিন্ডিকেট ভেঙে যাবে। যদি এখনই সরকার এ ব্যাপারে পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে অচিরেই দেশে কাগজ নিয়ে ভয়াবহ সংকট তৈরি হতে পারে।’
এসময় সংগঠনের সহ-সভাপতি শ্যামল পাল বলেন, ‘বর্তমানে এক টন নিউজ প্রিন্ট কাগজ প্রায় এক লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ এর দাম ৬০ হাজার টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। তার মানে দ্বিগুণ দামে কাগজ বিক্রি হচ্ছে। তাই আগামী বইমেলার আগে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।’
শ্যামল পাল আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সরকারের বিনা মূল্যে দেয়া এনসিটিবির ৩৫ কোটি বই বিতরণ সম্ভব হলেও কাগজের অভাবে সব বই ছাপাতে দুই থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে।’ সংগঠনের আরেক সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘পাল্পের দাম যে হারে বাড়ছে কাগজের দাম তার চেয়ে দ্বিগুণ, আড়াই গুণ বাড়ছে। আমরা দেখেছি কিছুদিন আগে সিন্ডিকেট তৈরি করে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।
পরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তা নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু কাগজের দাম বাড়ানোর সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না? সরকারকে এ ব্যাপারে অবশ্যই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— সংগঠনের সহ-সভাপতি মির্জা আলী আশরাফ, সাবেক সভাপতি আলমগীর শিকদার লোটন, উপদেষ্টা ওসমান গনি, সিনিয়র সদস্য মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।