নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ, রূপগঞ্জ
ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ১২:৫৭ এএম
নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ, রূপগঞ্জ
ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ১২:৫৭ এএম
এবারের বাণিজ্য মেলায় পুরোদমে স্টল নির্মাণকাজ চলছে। ব্যস্ত সময় পার করছেন মিস্ত্রিরা। স্টল মালিকরাও ভোর থেকে রাত পর্যন্ত স্টল নির্মাণের কাজ দেখাশোনা করছেন। ঠুকঠাক শব্দে মেলা প্রাঙ্গণ ব্যস্ত হয়ে পড়ছে।
দম ফেলার সুযোগটুকুও তাদের নেই। মেলার আশপাশের মানুষ স্টল নির্মাণকাজ পরিদর্শন করছেন। পুরোদমে ফিরেছে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম। তাই মেলা এবার জমে উঠবে বলে এখানকার ব্যবসায়ীরা মনে করছেন। করোনা মহামারি কাটিয়ে উঠায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এবার মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। গত বছরের ন্যায় এবারও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের ৪ নম্বর সেক্টরে স্থায়ী প্যাভিলিয়ন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে হবে এই মেলা। প্রথম দিন থেকেই মেলা জমিয়ে তুলতে চান ব্যবসায়ীরা। তাই আগেই স্টল নির্মাণকাজ শুরু করেছেন তারা। আর স্টল ও প্যাভিলিয়ন নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।
এবারের বাণিজ্য মেলায় ১২টি দেশের ২৫০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৪২টি প্যাভিলিয়ন, ৩১টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ২৩৮টি জেনারেল স্টল এবং ২৩টি খাবারের দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের এক লাখ ৫৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের দুটি হলে সব স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
গতবারের মতো এবারও মেলায় প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা আর অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। এ ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ফ্রি। প্রদর্শনী কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২২০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, ইরান, ভারত, ইন্দোনেশিয়াসহ ১২টি দেশ বাণিজ্য মেলায় অংশ নেবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ও বাণিজ্য মেলার পরিচালক মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, সময় মতো স্টল বরাদ্দ দেয়ায় নির্মাণকাজ যথাসময়ই শেষ হবে।
এদিকে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ৩০০ ফিট মূল সড়কটির কাজও প্রায় সমাপ্তির পথে। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মেলায় আসতে দর্শনার্থীদের যেন কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। মেলার আশা যাওয়ার সড়কের সংস্কার কাজ দ্রুত এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। এবারও দর্শনার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে চালু করা হবে বিআরটিসির স্পেশাল সার্ভিস। এবার বাণিজ্য মেলা জমজমাট হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু কর্নার তৈরির কাজ চলছে। থেমে নেই মেলার প্যাভিলিয়ন ও স্টলগুলোর নির্মাণকাজ। নির্মাণ শ্রমিকদের কথা বলার ফুরসত নেই। বেশির ভাগ স্টলের নির্মাণকাজ দ্রত এগিয়ে চলছে। স্টিলের কাঠামো নির্মাণকাজ শেষ। স্টলে বোর্ড লাগানো ও রঙ দেয়ার কাজ চলছে। কোনো কোনো স্টলের কাঠামো দাঁড় করানোর কাজও চলছে।
উদ্বোধনের আগেই স্টল নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হবে বলে জানান, মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকরা।
মি. বাইটের স্বত্বাধিকারী ইঞ্জিনিয়ার খোকন বলেন, স্টল নির্মাণকাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। করোনা মহামারি কাটিয়ে এবার সুপরিকল্পিতভাবে বাণিজ্য মেলার এবারের আসর বসবে।