জানুয়ারি ২১, ২০২৩, ০১:১৩ এএম
ঢাকায় মেট্রোরেলের পর এবার চালু হতে যাচ্ছে বিদেশের আদলে পাতাল রেল। মাটির নিচেই থাকবে আধুনিক স্টেশন। আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন। এ প্রকল্প থেকে রেললাইন নির্মাণ করা হবে দুটি। যার একটি লাইন হযরত শাহজাহাল রহ. বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার অংশ। এটি যাবে মাটির নিচ দিয়ে। আর নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার রেললাইন যাবে উড়ালপথে। নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জে ডিপোর জন্য ভূমি উন্নয়নের মাধ্যমে পরিবহন খাতের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। প্রকল্পের নথি অনুযায়ী এর কাজ শেষ করার সময়সীমা ২০২৬ সালের ডিসেম্বর।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লাইন-১ বা এমআরটি-১ নামে পরিচিত এই লাইনটির কাজ শেষ হলে দৈনিক আট লাখ যাত্রী পরিবহন করতে সক্ষম হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে প্রায় পাঁচ হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ২৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন। রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জের এমআরটি লাইন-১ এর ডিপোর উদ্বোধন করবেন।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক জানান, এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণকাজের উদ্বোধনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের দুটো লাইন থাকবে। হযরত শাহজালাল রহ. বিমানবন্দর থেকে মাটির নিচ দিয়ে কমলাপুর পর্যন্ত এই পাতাল পথে রেলের স্টেশন থাকবে ১২টি।
স্টেশনগুলোর নির্ধারিত জায়গাগুলোর মধ্যে রয়েছে— কমলাপুর, রাজারবাগ, মালিবাগ, রামপুরা, আফতাবনগর, বাড্ডা, উত্তর বাড্ডা, নতুন বাজার, নর্দা, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ ও বিমানবন্দর। এ ছাড়া এমআরটি লাইন-১ এর অপর অংশ নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত উড়ালপথে। স্টেশন থাকবে সাতটি।
সেগুলোর নির্ধারিত জায়গা হলো- জোয়ার সাহারা, বোয়ালিয়া, মস্তুল, শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, পূর্বাচল সেন্ট্রাল, পূর্বাচল পূর্ব এবং পূর্বাচল টার্মিনাল। এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের দৈর্ঘ্য হবে ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪০ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। বাকি ১২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা খরচ করবে বাংলাদেশ সরকার।